ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শীঘ্রই ভুটানের সঙ্গে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি সই ॥ মোমেন

প্রকাশিত: ২২:৫৮, ৩০ অক্টোবর ২০২০

শীঘ্রই ভুটানের সঙ্গে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি সই ॥ মোমেন

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন ভুটানের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েন্টসিল। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধিসহ অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। খবর বাংলানিউজের। ভুটানের সঙ্গে বাংলাদেশের শীঘ্রই অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি সই হবে বলেও উভয়পক্ষ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এটা হবে বাংলাদেশের সঙ্গে কোন দেশের প্রথম অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বুধবার এ সাক্ষাত অনুষ্ঠিত হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে লেখাপড়া করায় আমরা গর্ববোধ করি। বর্তমানে বাংলাদেশের সরকারী মেডিক্যাল কলেজে গত পাঁচ বছর ধরে প্রতিবছর ভুটানের ১৫ শিক্ষার্থী লেখাপড়া করার সুযোগ পাচ্ছে। এছাড়াও বেসরকারী মেডিক্যাল কলেজে ভুটানের অনেক শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশের বেসরকারী মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও উন্নতমানের। দু’দেশের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ চালুর বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তিতিতে দক্ষ ব্যক্তিরা ভুটানকে সহযোগিতা করতে পারবে বলে তিনি জানান। করোনা মোকাবেলায় উভয় দেশ একসঙ্গে কাজ করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন ড. মোমেন। নবেম্বরে কিছু রোহিঙ্গা পরিবারকে ভাসানচরে পাঠানো হতে পারে ॥ নবেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে কিছু রোহিঙ্গা পরিবারকে ভাসানচর আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। বৃহস্পতিবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। তবে কতজনকে পাঠানো হতে পারে, সে সংখ্যা জানাননি মন্ত্রী। খবর অনলাইনের। মন্ত্রী বলেন, এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে পাঠানোর সিদ্ধান্তে সরকার অটল রয়েছে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য সংস্থার মহাপরিচালক আমাকে বলেছেন, ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের খাওয়ানোর জন্য কুতুপালং ক্যাম্পের চেয়ে খরচের বেশি পার্থক্য হবে না। রোহিঙ্গা যারা ভাসানচরে যাবেন তারা সেখানে মাছ ধরা, মুরগি পালন ও গরু পালনের মতো অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হতে পারবেন। মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্পর্কে অনেক বক্তব্য শুনি কিন্তু কাজের সময় উল্টো পরিস্থিতি হয়। বিশেষ করে চীন, যাদের ওপর বাংলাদেশ অনেক আশা করেছিল তারা এ বিষয়ে উদ্যোগ নেবে। সবাই বলে কিন্তু একজন রোহিঙ্গাও নিজ দেশে ফেরত যায় না। তিন বছর পার হয়ে গেছে একজনও ফেরত যায়নি।
×