চারাগাছ
ফারুক মাহমুদ
ছিল না পাপের চিহ্ন। তবু কেন অগ্নিদ-ে পুড়ে ভস্ম ছাই
মুছে গেছে পদরেখা, সময়ের খ্যাতি
প্রাপ্তির আলস্য চেয়ে আমার কী কাজ!
সুখ বড় কষ্ট দেয়। তার চেয়ে এই ভালো- ঘরে ফিরে যাই
জটিল মন্ত্রের চাপে ক্রমে নিচে নেমে যায় প্রেমের সূচক
মরে যায় শব্দ দ্যুতি, বর্ণ পূর্ণ আলো
ভ্রমণের ক্লান্তি নিয়ে ধুঁকে ধুঁকে চলা
এটা কি মনুষ্য কাজ! প্রত্যহিক চক্ষু দেখে একি আচানক
মানুষের স্বস্তি নেই। ধ্বংস ছড়িয়ে দেয় কাছে দূরে কাছে
প্রবিষ্ট পাথর যেন-ঘন হয়ে বসে
সবুজের আমন্ত্রণে লিখে প্রাপ্য নাম
ফুটুক-নাচিত্ত ফুল, ষড়ঋতু-আকাক্সক্ষার সব চারাগাছ।
** রাইসরিষার কাব্য
আমিনুল ইসলাম
নদীর বর্থ্যতা অপরিহার্য হলে শস্যের সংসারে টানাটানি বাড়ে;
তথাপি ভুলে গেলে চলে না যে আমাদের খুশি তরিকার জল
সনাতনী স্রোতে বয়ে যায় আজও। ফলে সঙ্গোপনে আমরাও
যথেষ্ট সিক্ত হয়ে আছি। আজও তো আমাদের ছোট জুতায়
বড় পা-এমনতর প্রকল্পের প্রশংসা করতে হয়! আর সিক্ত না হলে
স্নিগ্ধ শব্দগুলো হয়তোবা ঠেকে যাবে অধরে, বিদূষক উঠোনে
এও তো কাম্য নয়! আমাদের ইতিহাসবোধ নিয়ে পর্যাপ্ত সন্দেহ
উচ্চারিত; কিন্তু দ্যাখো-যাবতীয় শক্তিকেন্দ্রেনদীয়ার দরবারী
দৃশ্য আজও হাঁটু গেড়ে আছে! আহানদীয়ার মহারাজ মহাশয়!
আর আমরা তোনদীর দেশের লোক; পেছনের ঢেউ এসে বার বার
পা ধুয়ে দিলেও ঠিক সময়ে রিফর্মেশন ইন-সিটু হয়ে যেতে পারি।
স্বভাবতই হৃদরোগ বিষয়ক বিজ্ঞাপন বেড়ে গেলেও তৈলবীজবৈরী
আমাদের কিছুই করার নেই। তাই অভ্যাস বিষয়ে সাম্প্রতিক ফতোয়া
প্রবলতর হলেও আমরা রাইসরিষার চাষ বাড়িয়ে দিতে চাই। দ্যাখো-
আস্কিং রান রেটের মতো চাহিদা রেখা উঠে যায় শক্তিকেন্দ্রের চূড়ায়!
শীর্ষ সংবাদ: