ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ডিআইজি প্রিজনস বজলুর রশীদ জামিন পেলেন

প্রকাশিত: ১৮:৩৭, ২৯ অক্টোবর ২০২০

ডিআইজি প্রিজনস বজলুর রশীদ জামিন পেলেন

অনলাইন রিপোর্টার ॥ কারা অধিদপ্তরের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজনস) বজলুর রশীদের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। দুদকের অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলার চার্জশিটে অভিযুক্ত হওয়ায় সাময়িকভাবে বরখাস্ত আছেন তিনি। আজ বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক ইকবাল হোসেন এ জামিনের আদেশ দেন। এর আগে বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ- ৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। একই সঙ্গে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ২২ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত। এর আগে এক সেপ্টেম্বর ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ চার্জশিট গ্রহণ করেন। একইসঙ্গে মামলাটি বিশেষ জজ-৫ আদালতে বদলির আদেশ দিয়ে চার্জ গঠনের জন্য ২২ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন। ২৬ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দীন ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে বলা হয়েছে, বজলুর রশীদ রূপায়ন হাউজিং স্টেট থেকে ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী রোডের ৫৫/১ (পুরাতন), ৫৬/৫৭ (নতুন) নির্মাণাধীন স্বপ্ননিলয় প্রকল্পের ২৯৮১ বর্গফুট আয়তনের অ্যাপার্টমেন্ট কেনেন। ইতোমধ্যে তিনি অ্যাপার্টমেন্টের মূল্যবাবদ তিন কোটি আট লাখ টাকা পরিশোধ করেছেন। এ অ্যাপার্টমেন্ট ক্রয়বাবদ বজলুর রশীদ যে টাকা পরিশোধ করেছেন, এর স্বপক্ষে কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি। এমনকি তিনি অ্যাপার্টমেন্টের ক্রয়-সংক্রান্ত কোনো তথ্য তার আয়কর নথিতে দেখাননি। পরিশোধিত তিন কোটি আট লাখ টাকা জ্ঞাতআয় উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ। সব মিলিয়ে তার বিরুদ্ধে প্রায় সোয়া তিন কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ দুদক আইন ২৭ (১) ধারায় চার্জশিট দাখিল করা হয়। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর সকাল ১০টায় বজলুর রশীদ ও তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকে দুদক। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই দিনই দুদকের উপপরিচালক মো. সালাউদ্দিন বাদী হয়ে বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। এরপর তাকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
×