ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিভিন্ন আইনে গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রিত ॥ ফখরুল

প্রকাশিত: ১৬:২৬, ২৯ অক্টোবর ২০২০

বিভিন্ন আইনে গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রিত ॥ ফখরুল

অনলাইন রিপোর্টার ॥ বিভিন্ন আইনে বাংলাদেশের গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রিত বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার সকালে রিপোর্টার্স ইউনিটির রজতজয়ন্তী উৎসবের শোভাযাত্রার উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, “আজকে বাংলাদেশের সঙ্গে সঙ্গে সারা বিশ্বে গণমাধ্যমকর্মীদের ওপরে একটা চাপ সৃষ্টি শুরু হয়েছে এবং বাংলাদেশে সেই চাপ অনেক বেশি আমরা লক্ষ্য করছি। আমরা মনে করি, গণতন্ত্রের জন্য এই যে গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করা, এজন্য যে আইনগুলো তৈরি করা হয়েছে ইতিমধ্যে, সেই আইনগুলো কখনও স্বাধীন গণমাধ্যমে কাজ করার জন্য উপযোগী নয়। “আমরা দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি যে, বাংলাদেশে গণমাধ্যম, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, ভিন্নমতকে সহ্য করার যে সহনশীলতা, তা ধীরে ধীরে একেবারেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে।” বাংলাদেশে গণমাধ্যমের অবস্থা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা এখানে দেখেছি, শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে অনেক সংবাদকর্মীকে নিগৃহিত হতে হয়েছে, প্রাণ দিতে হয়েছে এবং তাদেরকে অনেক সময় কারাগারে যেতে হয়েছে, সংবাদ প্রতিষ্ঠানগুলো অর্থাৎ সংস্থাগুলো অনেক সময়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।” র‌্যাব কর্মকর্তাদের ওপর ‘নিষেধাজ্ঞা’ চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটরদের চিঠির প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের দুঃখ হয়, আজকে বাংলাদেশে রাজনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষিতে এই বিষয়গুলো বিশ্বের কাছে এবং বিশ্বসভার কাছে যাচ্ছে, যা আমাদের জন্য কখনই সুখকর নয়। আমরা সবসময় বলে আসছি যে, বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রায় অনুপস্থিত। এখানে মানুষের স্বাধীনতাকে নিশ্চিত করতে হবে, সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে নিশ্চিত করতে হবে। আমরা সবসময় বহুদলীয় গণতন্ত্র, সংসদীয় গণতন্ত্র, গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে এসেছি । আমরা এটা অতীতে প্রমাণও করেছি। রজতজয়ন্তী উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্যদের শুভেচ্ছা জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা দেশের এই দুঃসময়ে একদিকে যখন করোনাভাইরাস আমাদের সমগ্র বিশ্বকে একেবারে গ্রাস করে ফেলেছে, মানব সভ্যতাকে বাধা প্রদান করেছে এই সময়ে আপনারা অত্যন্ত দায়িত্বশীলতার সঙ্গে করোনার বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ সেই যুদ্ধে ফ্রন্টলাইনার হিসেবে কাজ করেছেন, অনেকে মৃত্যুবরণ করেছেন। আমি তাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। পরে বিএনপি মহাসচিব রিপোর্টার্স ইউনিটির শোভাযাত্রার উদ্বোধন ঘোষণা করেন। শোভাযাত্রাটি সেগুনবাগিচার কার্যালয় থেকে কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় রজতজয়ন্তী কমিটির চেয়ারম্যান শাহজাহান সরদার, ডিআরইউর সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী, রজতজয়ন্তী কমিটির সদস্য শফিকুল করীম সাবু, সাখওয়াত হোসেন বাদশা, ইলিয়াস হোসেন, শাহনেওয়াজ দুলাল, মুফতি আহমেদ, নজরুল ইসলাম মিঠু, কাদের গনি চৌধুরী, আবু দারদা যোবায়ের, মোরসালীন নোমানী, রাশেদুল হক, মশিউর রহমান, তোফাজ্জল হোসেন, ডিআরইউর জিয়াউল হক সবুজ, হাবিবুর রহমান, জাফর ইকবাল, মাইদুর রহমান রুবেল, সাখাওয়াত হোসেন সুমন, এইচএম আখতার, খালেদ সাইফুল্লাহ, মইনুল আহসান, আহমেদ মুশফিকা নাজনীন, কামরুজ্জামান বাবলু, মাইনুল হাসান সোহেল, রুমানা জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
×