নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, পটুয়াখালী ॥ সড়কে চলাচল কিংবা শহরে প্রবেশ করতে মোটরসাইকেলের জন্য টোল দিতে হয় এমনটি আর কোথাও আছে কিনা তা জানেন এমন কাউকে এই মুহুর্তে খুজে পাওয়া যায়নি। কিন্তু কলাপাড়ায় এর প্রচলন রয়েছে। এমনকি মহাসড়কে কুয়াকাটাগামী শেখ কামাল সেতুর সংযোগ সড়কে আদায়কারী পর্যন্ত রয়েছে। মোটরসাইকেল চলাচলে ২০ টাকা দিতে হয়। রাজা এবং বাদশার নেতৃত্বে এই চাঁদাবাজি বছরের পর বছর চলে আসছে। এরা চাঁদাবাজদের মতো পৌরটোলের নামে দিনরাত ২৪ ঘন্টা এমন চাঁদা আদায় করে আসছে। অটোবাইক, ইজিবাইক, মাহিন্দ্র, ট্রাক-ট্রলি, কার্গো, বাসের থেকে পর্যন্ত চাঁদা তোলা হয়। এসব বন্ধে মানুষ দাবি জানিয়ে আসলেও কখনও বন্ধ হয়নি। মাঝে মাঝে পুলিশি অভিযান চলে। কিন্তু টোলের নামে চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। আজ বৃহস্পতিবার বেলা একটার দিকে নাচনাপাড়ার রফিক গাজীর ছেলে বাদশা গাজী (৩৫) ও সিদ্দিক প্যাদার ছেলে জুয়েল প্যাদাকে (৩০) গ্রেফতার করা হয়েছে। জুয়েলের মূল বাড়ি তালতলীর শারিকখালী। কলাপাড়ায় এসে সরকারি দলের ভাবমূর্তির ১২টা বাজাচ্ছে সে মহাসড়কে চাঁদাবাজি করে। এছাড়া মূল হোতা রাজা মিয়াকেও থানায় ডেকে নেয়া হয়েছে। এচক্রের রয়েছে ১২-১৩ সদস্য। এরা কলাপাড়া পৌর শহরকে ঘিরে রেখেছে। যে কোন প্রান্ত থেকে কোন যানবাহন প্রবেশ করলে এরা হামলে পড়ে। এ চক্রের কারণে সরকারের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে। অথচ এরাও সরকারি দলের নেতাকর্মীও তকম্ লাগিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। দলকে যেন জলাঞ্জলি দিয়ে নিজেদের আখের গোছাচ্ছে। কলাপাড়া থানার ওসি খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।