ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

একুশে গ্রন্থমেলার প্রস্তুতি, নামমাত্র মূল্যে স্টল চান প্রকাশকরা

প্রকাশিত: ২৩:০০, ২৮ অক্টোবর ২০২০

একুশে গ্রন্থমেলার প্রস্তুতি, নামমাত্র মূল্যে স্টল চান প্রকাশকরা

মনোয়ার হোসেন ॥ আসছে মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ। আর এই চ্যালেঞ্জকেই মোকাবেলা করেই অনুষ্ঠিত হবে ২০২১ সালের অমর একুশে গ্রন্থমেলা। নিউ নরমাল বাস্তবতায় বইমেলা আয়োজনের সব প্রস্তুতি নিয়েছে মেলার আয়োজক বাংলা একাডেমি। চলছে মেলাকে এগিয়ে নেয়ার কাজ। এদিকে করোনাকালে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আসছে বইমেলায় নামমাত্র মূল্যে স্টল ও প্যাভিলিয়ন বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন প্রকাশকরা। বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি এবং বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি যৌথভাবে এই দাবি জানিয়েছে। তবে এ ব্যাপারে বাংলা একাডেমি কোন সিদ্ধান্ত জানায়নি। তারা বলছে, স্টল ভাড়া কমানোর বিষয়টি বিবেচনা করবে সরকার কিংবা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। প্রকাশকরা সরকারের কাছ থেকে প্রণোদনা পেলে সেটা থেকে মওকুফ হতে পারে স্টল ভাড়া। ২০২১ সালের বইমেলা উপলক্ষে প্রকাশকদের সঙ্গে বিশেষ আলোচনায় বসবে বাংলা একাডেমি-এমনটা আগেই বলা হয়েছিল। মঙ্গলবার বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি এবং বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির নেতৃবৃন্দ বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মেলার বিষয়ে দুই সমিতির পক্ষ থেকে তাদের প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়। সেখানে নেতারা বলেন, করোনাকালে যেহেতু আমরা কোন ধরনের সরকারী প্রণোদনা, সহযোগিতা বা পৃষ্ঠপোষকতা পাইনি সেহেতু স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ এবং ২০২১ সালের একুশের চেতনাকে বিশেষভাবে স্মরণযোগ্য করে তুলতে প্রকৃত ও পেশাদার প্রকাশকদের নামমাত্র মূল্যে স্টল বরাদ্দের অনুরোধ জানাচ্ছি। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ জনকণ্ঠকে বলেন, করোনার কারণে প্রকাশকরা বিপুলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত বইমেলার পর থেকেই মহামারী নেমে এলে থমকে যায় প্রকাশনা জগত। ইতোমধ্যে কয়েক শ’ কোটি টাকার ক্ষতি হলেও প্রকাশকরা কোন সরকারী প্রণোদনা পায়নি। সেই সুবাদে বইমেলায় নামমাত্র মূল্যে স্টল ভাড়া পাওয়াটাকে আমরা প্রণোদনা হিসেবে বিবেচনা করছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী নিজেও একজন লেখক। এমনকি মন্ত্রিপরিষদের অনেকেই লেখালেখি করেন। তাই সংস্কৃতিবান্ধব এ সরকারের কাছ থেকে আমরা এই সহযোগিতা পাওয়ার বিষয়ে শতভাগ আশাবাদী। এ বিষয়ে বাংলা একাডেমির পরিচালক ও মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ জনকণ্ঠকে বলেন, নামমাত্র মূল্যে স্টল ভাড়া দেয়ার বিষয়টি আমরা বিবেচনায় নিলেও এ বিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই। সরকার বা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় যদি প্রকাশকদের প্রণোদনা সেক্ষেত্রে স্বল্পমূল্যে স্টল বরাদ্দ দেয়া যাবে। সেই বাস্তবতায় স্টল ও প্যাভিলিয়নের ভাড়া কমানোর বিষয়ে একাডেমি এখনও কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি। সরকারের পক্ষ থেকে প্রণোদনা বা আর্থিক সহযোগিতা পেলে প্রকাশদের ভাড়া বাবদ বাড়তি টাকা ফেরত দেয়া হবে। তবে এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হলো পূর্বের ভাড়াই নেয়া হবে।
×