ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

খ্যাতিমান রেফারি আবদুল আজিজ আর নেই

প্রকাশিত: ২১:৪২, ২৮ অক্টোবর ২০২০

খ্যাতিমান রেফারি আবদুল আজিজ আর নেই

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দেশের খ্যাতিমান ফুটবল রেফারি আবদুল আজিজ আর নেই। সবাইকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে গতকাল মঙ্গলবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুর কাছে হার মানার সময় তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থেকে বাঁচার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে। শেষ পর্যন্ত মৃত্যু নামক অমোঘ নিয়তির কাছে হেরে যান সাবেক ফিফা রেফারি আবদুল আজিজ। মৃত্যুকালে তার বয় হয়েছিল ৭০। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে গতকাল বিকেলে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় এই ফুটবল রেফারি। গত ১২ অক্টোবর হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে দ্রুত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়। এরপর প্রায় দুই সপ্তাহ ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে। অবশেষে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। আবদুল আজিজ বাংলাদেশের ফুটবলের একজন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন। ১৯৭৪ সালে সহকারী রেফারি হিসেবে প্রথম ফুটবল ম্যাচ পরিচালনা করেন তিনি। পেশদার রেফারি ১৯৭৫ সালে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও ঢাকা ওয়ান্ডারার্সের ম্যাচ দিয়ে তার বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার শুরু হয়। ২০০০ সালে অবসর নেয়ার আগে তিনি ফিফা রেফারি হিসেবে ১৯৮১ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত দাপটের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। মাত্র ২৮ বছর বয়সে ফিফা রেফারির সম্মান পেয়েছিলেন। আজিজ ছিলেন সে সময় সর্বকনিষ্ঠ ফিফা রেফারি। বিশ্বকাপ বাছাই, অলিম্পিক বাছাই, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি গেমসসহ ২৮টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করেছেন। বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন থাকার সময় কিছুটা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি। ১৭ অক্টোবর কিডনিজনিত সমস্যার কারণে তাকে আবারও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২১ অক্টোবর তার করোনা পজিটিভ আসে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে নেয়া হয় লাইফ সাপোর্টে। গতকাল দুপুরে আবারও হার্ট এ্যাটাক হলে তাকে আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি। মৃত্যুকালে আবদুল আজীজ স্ত্রী ও তিন কন্যা রেখে গেছেন। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ পরিচালনা করেছেন তিনি বেশ দক্ষতার সঙ্গে। ১৯৮৭ সালের লীগের একটি আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ পরিচালনা করে স্মরণীয় হয়ে আছেন আবদুল আজিজ। ম্যাচটি ছিল গোলযোগপূর্ণ ও উত্তেজনাময়। শক্ত হাতে সেই ম্যাচটি পরিচালনা করেছিলেন তিনি। কঠোর ব্যক্তিত্বের জন্য বাংলাদেশের ফুটবলারদের সমীহ আদায় করে নিয়েছিলেন আজিজ। কর্মকর্তা হিসেবে ১৯৯০ সালে তিনি অগ্রণী ব্যাংকে যোগ দেন। পরবর্তীতে ২০১১ সালে অবসরগ্রহণ করেন।
×