স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ গাজীপুরে পৃথক ঘটনায় নিহত নিরাপত্তাকর্মীসহ দুইজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ময়না তদন্তের জন্য নিহতদের লাশ মঙ্গলবার শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
নিহতরা হলো- জামালপুরের ইসলামপুর থানার ঘোনাপাড়া পশ্চিম বাবনা এলাকার মো. আছিম উদ্দিনের ছেলে ছমেদ আলী (৪০) এবং খুলনা জেলা সদর থানার ছোটখালপাড় এলাকার নাসির উদ্দিনের ছেলে আইয়ুব আলী (৪৭)।
শ্রীপুর থানার এসআই মো. নাজমুল হক ও কারখানার জিএম মো. হাবিবুর রহমানসহ স্থানীয়রা জানান, গত ২১ অক্টোবর শ্রীপুর উপজেলার বহেরারচালা এলাকায় এক্স সিরামিকস কারখানায় নিরাপত্তাকর্মী পদে চাকুরিতে যোগ দেন ছমেদ আলী। সোমবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে তিনি রাতের পালার কাজে যোগ দেন। ঘন্টাখানেক পর রাত ৮টার দিকে কারখানা ক্যাম্পাসে থাকা জলাশয়ে ছমেদ আলীর লাশ পড়ে থাকতে দেখেন ওই কারখানার কর্মীরা।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করে। তার দেহে আঘাতের কোন আলামত পাওয়া যায়নি। তিনি মৃগী রোগী ছিলেন বলে তার স্ত্রী জানিয়েছেন। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
এদিকে একইদিন মহানগরের এক বাড়ি থেকে রাজমিস্ত্রি আইয়ুব আলীর (৪৭) অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
জিএমপি’র কাশিমপুর থানার এসআই দীপঙ্কর রায় ও স্থানীয়রা জানান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কাশিমপুর থানাধীন দক্ষিণ পানিশাইলের পূবালী হাউজিংয়ে টিপুর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন আইয়ুব আলী। প্রায় ৯বছর আগে প্রথম স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যাওয়ার পর তিনি ৩/৪বছর আগে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। কিন্তু প্রায় দুই মাস আগে দ্বিতীয় স্ত্রীও তাকে ছেড়ে চলে যায়। স্ত্রী সন্তান না থাকায় তিনি এ বাড়িতে একাই থাকতেন। গত দু’দিন ধরে তার ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ দেখতে পায় প্রতিবেশীরা। সোমবার ওই ঘর থেকে পঁচা দুর্গন্ধ বের হতে থাকলে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্টীলের দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে মেঝেতে আইয়ুব আলীর অর্ধগলিত লাশ দেখতে পায়।
নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অসুস্থ্যতার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
