ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

‘ইফরান সেলিমের মামলার তদন্তে প্রভাব খাটানোর সুযোগ নেই’

প্রকাশিত: ১৫:৪৪, ২৭ অক্টোবর ২০২০

‘ইফরান সেলিমের মামলার তদন্তে প্রভাব খাটানোর সুযোগ নেই’

অনলাইন রিপোর্টার ॥ ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইফরান সেলিমের মামলার তদন্ত পুলিশ প্রভাবমুক্ত হয়ে করছে। এখানে প্রভাব খাটানোর কোনও সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। মঙ্গলবার তেজগাঁও থানা কমপেক্সে ভিকটিম রেসপন্স ও হটলাইন নম্বর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। ডিএমপি কমিশনার বলেন, এখানে প্রভাব থাকার কোনও প্রশ্নই নেই। চাইলেও কেউ প্রভাব খাটাতে পারবে না। আমরা দ্রুততম সময়ে এই মামলার তদন্ত করবো ও অভিযোগপত্র জমা দেব। আমরা মামলাটি গুরুত্ব সহকারে নিয়েছি। সচরাচর হত্যা মামলার মতো ঘটনা থাকলে ঘটনাস্থল উপ-পুলিশ কমিশনার পরিদর্শন করেন না। এই ঘটনার পরপরই রমনা বিভাগের ডিসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এসেছেন। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন। পুলিশ কমিশনার বলেন, আমরা মামলার ডকুমেন্ট দেখছি। দেখে যদি মনে হয় প্রয়োজনে মামলা ডিবিতে হস্তান্তর করব। প্রসঙ্গত, সোমবার হাজী সেলিমের ছেলে ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইরফান সেলিম ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা হয়েছে। নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান বাদী হয়ে সোমবার ভোরে মামলাটি করেছেন। মামলার আসামিরা হলেন- ইরফান সেলিম, তার বডিগার্ড মোহাম্মদ জাহিদ, হাজি সেলিমের মদিনা গ্রুপের প্রটোকল অফিসার এবি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত আরও দুই তিন জন। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, রবিবার (২৫ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে ওয়াসিফ আহমদের মোটরসাইকেলটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় হাজী সেলিমের গাড়ি। ধাক্কা দেওয়ার কারণ জানতে পেছন পেছন আসলে কলাবাগানের ট্রাফিক সিগন্যালে হাজী সেলিমের গাড়ি থেকে দুই-তিন জন ব্যক্তি নেমে ওয়াসিম আহমেদ খানকে ফুটপাতে ফেলে এলোপাতাড়ি মারধর করে। পরিচয় দেওয়ার পরও তাকে গালাগাল করে ও হুমকি দেয়। পরে ট্রাফিক পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। পথচারীরা এই দৃশ্য ভিডিও করেন, যা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। গতকাল সোমবার মামলা দায়েরের পর দুপুরে র্যাব পুরান ঢাকায় চকবাজারের ২৬ দেবীদাস লেনে হাজী সেলিমের বাসায় অভিযান চালায়। র্যাব হাজী সেলিমের ছেলে ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদকে হেফাজতে নেয়। বাসায় অবৈধভাবে মদ ও ওয়াকিটকি রাখার দায়ে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের দুই জনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেন। হাজী সেলিমের গাড়ি চালক মিজানুর রহমান ও মামলার আরেক আসামি এবি সিদ্দিক দীপুকেও পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
×