ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান কারাগারে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে

প্রকাশিত: ১৩:১৩, ২৭ অক্টোবর ২০২০

হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান কারাগারে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে

অনলাইন রিপোর্টার ॥ নৌবাহিনীর একজন কর্মকর্তাকে মারধরের পর র্যাবের অভিযানে গ্রেফতার হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা নিয়ে কারাগারে গেছেন সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম। সোমবার রাতে গ্রেফতারের পর মঙ্গলবার প্রথম প্রহরে তাকে র্যাব হেফাজত থেকে কারাগারে পাঠানো হয়। তার আগে মদ্যপান ও ওয়াকিটকি ব্যবহার করার অপরাধে তাকে সাজা দেয় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল রকিবুল হাসান মঙ্গলবার সকালে জানান, ইরফানকে রাত দেড়টার পরে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ইরফানকে নেওয়া হয়েছে কেরানীগঞ্জের কারাগারে। ঢাকার জেলার মাহবুবুল ইসলাম বলেন, ইরফান কারাগারে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকবেন। করোনা ভাইরাস মহামারীকালে কারাগারের নিয়ম অনুযায়ী যে কোনো নতুন বন্দিকে একটি সেলে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। ইরফানের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা করতে যাচ্ছে র্যাব। পুরান ঢাকার তৃতীয়বারের এমপি হাজী সেলিমের দ্বিতীয় সন্তান ইরফান নিজেও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর। আরেক সংসদ সদস্য নোয়াখালীর একরামুল করিম চৌধুরীর জামাতা তিনি। বিদেশে লেখাপড়া করে আসা ইরফান বাবার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মদিনা গ্রুপের পরিচালকদের একজন। ইরফান ও তার সহযোগীদের হাতে নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তা মারধরের শিকার হওয়ার জের ধরে সোমবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সোয়ারিঘাটের দেবদাস লেনে হাজী সেলিমের বাড়ি ঘেরাও করে অভিযান শুরু করে র্যাব। কিছুক্ষণের মধ্যে ভবনের চতুর্থ তলা থেকে ইরফান ও তার দেহরক্ষী মোহাম্মদ জাহিদকে আটক করে। সাদা রঙের নয়তলা ওই ভবনের তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় ইরফান সেলিম থাকেন জানিয়ে বিকালে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার বলেন, ওই দুই ফ্লোর থেকে দুটি অবৈধ বিদেশি পিস্তল, গুলি, একটি এয়ারগান, ৩৭টি ওয়াকিটকি, একটি হাতকড়া এবং বিদেশি মদ ও বিয়ার পাওয়া গেছে। “আগ্নেয়াস্ত্রের কোনো লাইসেন্স নেই। আর ওয়াকিটকিগুলোও অবৈধ, কালো রঙের এসব ওয়াকিটকি শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ব্যবহার করতে পারেন।” পরে মদ্যপান ও ওয়াকিটকি ব্যবহার করার অপরাধে ইরফান এবং তার দেহরক্ষী জাহিদকে ছয় মাস করে এক বছরের কারাদণ্ড দেয় সারওয়ার আলম নেতৃত্বাধীন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে রাত সোয়া ৮টার দিকে ইরফান ও তার দেহরক্ষীকে ওই ভবন থেকে বের করে টিকাটুলীতে র্যাব-৩ এর কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
×