ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নবেম্বরে আসছে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন, হাসপাতালকে প্রস্তুতির নির্দেশ

প্রকাশিত: ০০:২৩, ২৭ অক্টোবর ২০২০

নবেম্বরে আসছে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন, হাসপাতালকে প্রস্তুতির নির্দেশ

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি এ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের প্রথম চালান আগামী নবেম্বরে আসতে পারে। অক্সফোর্ডের এই ভ্যাকসিনের প্রথম চালান গ্রহণ করার জন্য লন্ডনের প্রধান একটি হাসপাতালকে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। সোমবার ব্রিটিশ দৈনিক দ্য সানের বরাত দিয়ে রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, লন্ডনের প্রধান একটি হাসপাতালের ট্রাস্টকে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং এ্যান্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের প্রথম চালান গ্রহণে প্রস্তুত হতে বলা হয়েছে। খবর ইয়াহু নিউজের। দ্য সান বলছে, ওই হাসপাতালকে আগামী ২ নবেম্বর থেকে শুরু হওয়া সপ্তাহে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত যে কয়টি ভ্যাকসিন শেষ ধাপের পরীক্ষায় পৌঁছেছে তার মধ্যে এগিয়ে রয়েছে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন। কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পাওয়ার দৌড়ে অক্সফোর্ড ছাড়াও ফাইজার এবং বায়োএনটেকের ভ্যাকসিনও প্রথম সারিতে রয়েছে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের তৈরি করোনাভাইরাসের এজেটডি১২২২ অথবা চ্যাডক্স১ এনকোভ-১৯ নামের ভ্যাকসিনটি গত এপ্রিলে ওষুধ প্রস্তুতকারক জায়ান্ট কোম্পানি এ্যাস্ট্রাজেনেকার মালিকানায় নিবন্ধন পায়। এ্যাস্ট্রাজেনেকা ও অক্সফোর্ড যৌথভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভ্যাকসিনটির পরীক্ষা এবং উৎপাদন কার্যক্রম এগিয়ে নিচ্ছে। শেষ ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফল পাওয়া মাত্রই ভ্যাকসিনটি যাতে বিশ্বজুড়ে পৌঁছে দেয়া যায় সে লক্ষ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার ও কোম্পানির সঙ্গে সরবরাহ এবং উৎপাদন চুক্তি করেছে এ্যাস্ট্রাজেনেকা। বিশ্বের কয়েকটি দেশে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা চলছে অক্সফোর্ডের এই ভ্যাকসিনের। এদিকে, সোমবার ব্রিটিশ আরেক প্রভাবশালী দৈনিক দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমস এক প্রতিবেদনে বলছে, অক্সফোর্ড এবং এ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনটি প্রাপ্তবয়স্কদের দেহে করোনার বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। গবেষণার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুই ব্যক্তির বরাত দিয়ে দৈনিকটি বলছে, বয়স্কদের দেহে ভ্যাকসিনটি এ্যান্টিবডি ও টি-সেল তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। প্রাপ্তবয়স্ক স্বেচ্ছাসেবীর দেহে ইমিউনোজেনিসিটি রক্ত পরীক্ষায় এসব তথ্য পাওয়া যায়।
×