ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

চট্টগ্রাম কাস্টমসে আজ চালু হচ্ছে ই-অকশন

প্রকাশিত: ০০:০০, ২৭ অক্টোবর ২০২০

চট্টগ্রাম কাস্টমসে আজ চালু হচ্ছে ই-অকশন

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রাম কাস্টমসে চালু হচ্ছে ই-অকশন অর্থাৎ অনলাইন পদ্ধতিতে পণ্যের নিলাম। নিলামের পুরো প্রক্রিয়াকে দ্রুত ও সহজ করতে সনাতনী পদ্ধতি বাদ দেয়ার এই পরিকল্পনা ছিল দীর্ঘদিনের। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে ই-অকশন চালুর উদ্যোগ নিলেও প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতায় তা সম্ভব হয়নি। অবশেষে আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস প্রবেশ করছে যুগোপযোগী প্রক্রিয়ার মধ্যে। প্রথমদিন ই-অকশন পদ্ধতিতে নিলামে উঠছে ১৬টি লটের পণ্য। কোন ধরনের ত্রুটি-বিচ্যুতি ধরা পড়লে তা শুধরে নিয়ে ভবিষ্যতে এই নিয়মেই কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার বেলা ১২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে ই-অকশন কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন এনবিআর সদস্য (কাস্টমস অডিট, মডানারাইজেশন এ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড) খন্দকার মুহাম্মদ আমিনুর রহমান। এদিন ১৬টি লটে নিলামে উঠছে ফেব্রিক্স, আয়রনপাইপ এবং রসুনসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য। অনলাইনে হওয়ায় ঘরে বসেই নিলামে অংশগ্রহণ করতে পারছেন আগ্রহী ব্যবসায়ীরা। কাস্টমস সূত্র জানায়, বন্দর থেকে যথাসময়ে ডেলিভারি না নেয়া আমদানির পণ্যের নিয়মিত নিলাম কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছিল সনাতনী মেনুয়াল পদ্ধতিতের কারণে। সে কারণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ই-অকশন প্রক্রিয়া চালু করার পরিকল্পনা গ্রহণ করে। গত বছরের মাঝামাঝি পর্যায়ে চালু হওয়ার কথা ছিল অনলাইন নিলাম। কিন্তু সফটওয়্যার সেভাবে ঠিক না হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। এখন আর কোন সমস্যা নেই ই-অকশনের ক্ষেত্রে। চট্টগ্রাম বন্দরে আসা আমদানির পণ্য ৩০ দিনের মধ্যে ডেলিভারি নেয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কোন কারণে আমদানিকারক এই সময়ের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি না নিলে তাকে নোটিস প্রদান করা হয়। নোটিসের ১৫ দিনের মধ্যেও পণ্য খালাস করে না নিলে সে পণ্য নিলামযোগ্য হয়। কিন্তু প্রক্রিয়াগত জটিলতা কারণে সে কার্যক্রম পড়ে যায় দীর্ঘসূত্রতায়। ফলে অনেক দিনের পুরনো পণ্যও পড়ে আছে বন্দর অভ্যন্তরে, যা বন্দর ইয়ার্ডে স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করছিল। ই-অকশন পদ্ধতি চালু হওয়ায় ঘরে বসেই ই-অকশনের আবেদন এবং অংশগ্রহণ করতে সক্ষম হবেন আগ্রহীরা। ফলে বেশ খুশি ব্যবসায়ীরা। এতে করে কমেছে কাগজপত্রের অনেক ঝামেলা এবং সশরীরে উপস্থিতি। তাছাড়া পণ্য আমদানির ৪৫ দিনের মাথায় নিলাম আয়োজনও সহজ হয়ে যাবে বলে মনে করছেন কাস্টমসের সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। চট্টগ্রাম বন্দরের জন্যও আনডেলিভার্ড পণ্যের দ্রুত নিলাম খুবই প্রয়োজন ছিল। অনলাইন পদ্ধতিতে নিলামের ক্ষেত্রে কাস্টমস কর্তৃপক্ষও অনেক ধরনের ঝামেলামুক্ত হবে। নিয়ম অনুযায়ী যথাসময়ে নিলামযোগ্য পণ্যের তালিকা চলে যাবে অনলাইনে। তথ্য দেয়া থাকবে কোন পণ্যের নিলাম কখন হবে। ব্যবসায়ীরা অনলাইনে অবগত হয়ে নিলামে অংশ নেবেন। নিলাম কাজের গতি বাড়ানোই ই-অকশনের মূল উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস।
×