ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার পেলেন আলমগীর ও দীপেন

প্রকাশিত: ২২:৫৬, ২৭ অক্টোবর ২০২০

ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার পেলেন আলমগীর ও দীপেন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গত শতকের পঞ্চাশের দশক। তখনও এই ভূখ-ে নির্মাণ করা হয়নি কোন সিনেমা। তবে চলচ্চিত্র শিল্পের যাত্রা শুরুর আগেই প্রকাশিত হয়েছে চলচ্চিত্রবিষয়ক পত্রিকা ‘সিনেমা’। চলচ্চিত্রবিষয়ক প্রথম সেই পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক ছিলেন ফজলুল হক। পরবর্তীতে ষাটের দশকেই এই কীর্তিমান মানুষটি প্রেসিডেন্ট নামের শিশুতোষ চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। দেশের চলচ্চিত্র সাংবাদিকতার এই পথিকৃতের প্রয়াণবার্ষিকী ছিল ২৬ অক্টোবর সোমবার। দিবসটি উপলক্ষে প্রদান করা হলো ১৭তম ‘ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার’। চলচ্চিত্র পরিচালনা ও চলচ্চিত্র সাংবাদিকতাÑএই দুই শাখায় পুরস্কারটি প্রদান করা হয়। চলচ্চিত্র পরিচালনায় পুরস্কার অর্জন করেন চিত্রনায়ক এম এ আলমগীর। আর চলচ্চিত্র সাংবাদিকতায় পুরস্কার পেয়েছেন শামীম আলম দীপেন। পুরস্কারের অর্থমূল্য হিসেবে উভয়কে ২৫ হাজার টাকা, সম্মাননাপত্র ও স্মারক প্রদান করা হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তেজগাঁওয়ের চ্যানেল আই স্টুডিওতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে উত্তরীয়, ক্রেস্ট, সনদ ও অর্থমূল্য তুলে দেন অনুষ্ঠানের অতিথিরা। বিশেষ অতিথি ছিলেন গীতিকবি গাজী মাজহারুল আনোয়ার এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা ও নাট্য নির্দেশক নাসির উদ্দিন ইউসুফ। সভাপতিত্ব করেন চলচ্চিত্র নির্মাতা সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী। পুরস্কারপ্রাপ্তির অনুভূতিতে চিত্রনায়ক ও চিত্রপরিচালক আলমগীর বলেন, অনেকেই জানেন না আমি চলচ্চিত্র পরিচালনা করি। এ পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে আমাকে চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। জীবনে অনেক পুরস্কার পেলেও এই পুরস্কার আমার জন্য বিশেষ কিছু। ভবিষ্যতে চলচ্চিত্র নির্মাণে আমাকে অনুপ্রাণিত করবে এই পুরস্কার। আজ সকলের আশীর্বাদে বলতে চাই যে, যতদিন বেঁচে থাকব অভিনয় করার পাশাপাশি চলচ্চিত্রও বানাব। অনুষ্ঠানে ফজলুল হকের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়। ভিডিও বার্তায় ফজলুল হকের প্রতি স্মৃতিচারণ করেন মেয়ে কেকা ফেরদৌসী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে স্মৃতিচারণ করেন চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব শফিউজ্জামান খান লোদী, ‘আনন্দ আলো’ সম্পাদক রেজানুর রহমান, সাবেক ‘প্রিয়জন’ সম্পাদক আবদুর রহমান প্রমুখ। প্রয়াত ফজলুল হক স্মরণে ২০০৪ সাল থেকে এই পুরস্কার প্রবর্তন করেন বিশিষ্ট কথাশিল্পী রাবেয়া খাতুন। ইতোমধ্যে এই পুরস্কার পেয়েছেন ফজল শাহাবুদ্দীন, আহমদ জামান চৌধুরী, চাষী নজরুল ইসলাম, হুমায়ূন আহমেদ, সাইদুল আনাম টুটুল, রফিকুজ্জামান, সুভাষ দত্ত, হীরেন দে, আবদুর রহমান, গোলাম রাব্বানী বিপ্লব, সৈয়দ শামসুল হক, আমজাদ হোসেন, চিন্ময় মুৎসুদ্দী, মোরশেদুল ইসলাম, ই আর খান, অনুপম হায়াৎ, নাসির উদ্দিন ইউসুফ, গোলাম সারওয়ার, নায়করাজ রাজ্জাক, রেজানুর রহমান, সৈয়দ সালাহউদ্দীন জাকী, আরেফিন বাদল, মাসুদ পারভেজ, শহীদুল হক খান, আজিজুর রহমান, মোস্তফা জব্বার, আবদুল লতিফ বাচ্চু, নরেশ ভুঁইয়া, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, শফিউজ্জামান খান লোদী, কোহিনূর আক্তার সুচন্দা ও রাফি হোসেন।
×