ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

অপহৃত কিশোরীকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর

প্রকাশিত: ২২:২১, ২৭ অক্টোবর ২০২০

অপহৃত কিশোরীকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকার দক্ষিণখান থেকে কিশোরী অপহরণের চাঞ্চল্যকর ঘটনায় জড়িত দুই জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। অপহৃত কিশোরীকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। চিকিৎসা শেষে কিশোরীকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গত ২৬ অক্টোবর র‌্যাব-১ এর একটি দল নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানাধীন কালাদী থেকে অপহরণকারী ও ধর্ষক মোঃ শাকিলকে (২১) গ্রেফতার করে। তার পিতার নাম মোঃ জাকির হোসেন। মায়ের নাম পারভিন বেগম। শাকিলের দেয়া তথ্য মোতাবেক অপহরণ ও ধর্ষণের সহযোগী হিসেবে মোঃ জাকির হোসেনকে (৪৫) গ্রেফতার করা হয়। জাকিরের পিতার নাম মৃত আব্দুস সাত্তার তালুকদার। মায়ের নাম মনোয়ারা বেগম। গ্রেফতারকৃতদের বাড়ি পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া থানাধীন লক্ষণা গ্রামে। তারা দক্ষিণখান থানাধীন আশকোনা হাজী ক্যাম্প সড়কের দারুল উলুম মসজিদের পাশে থাকত। তাদের কাছ থেকে অপহৃত কিশোরীকে (১৩) অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল শাফী উল্লাহ বুলবুল গ্রেফতারকৃতদের বরাত দিয়ে জনকণ্ঠকে জানান, গত ১২ সেপ্টেম্বর বেলা এগারোটার দিকে ওই কিশোরীকে অপহরণর ঘটনাটি ঘটে। গ্রেফতারকৃতরা ঢাকার রাজধানীর দক্ষিণখান থানাধীন আশকোনা হাজী ক্যাম্প সড়কের আশকোনা আইসক্রিম ফ্যাক্টরির সামনে থেকে ওই কিশোরীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। দীর্ঘদিন আটকে রেখে তাকে ধর্ষণ করে। গ্রেফতারকৃত শাকিল ওই কিশোরীকে প্রেমের পাশাপাশি কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। তাতে রাজি না হওয়ায় তারা কিশোরীকে অপহরণ করে। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি সালিশের মাধ্যমে মীমাংসা করার চেষ্টা হয়। শেষ পর্যন্ত কিশোরীর পিতা দক্ষিণখান থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন এবং অপহরণের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন (নম্বর ৬৩)। মেয়ের পরিবার র‌্যাবের সঙ্গে যোগাযোগ করে। গ্রেফতারকৃতরা জানায়, অপহরণের পর ওই কিশোরীকে গ্রেফতারকৃত শাকিল তার চাচা আবুল কালামের সহায়তায় পিরোজপুর নিয়ে যায়। সেখানে মৌলভী ডেকে ওই কিশোরীকে জোরপূর্বক মৌখিকভাবে শাকিলের সঙ্গে বিয়ে দেয়। ওই কিশোরীকে শাকিলের সঙ্গে স^ামী-স্ত্রীর মতো বসবাস করতে বাধ্য করে। গত ৪ অক্টোবর আবুল কালাম নারায়ণগঞ্জে নিজ বাসার একটি টিনশেড রুম ভাড়া করে তাদের থাকার ব্যবস্থা করে।
×