ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিমা বিসর্জন

প্রকাশিত: ২১:১৪, ২৭ অক্টোবর ২০২০

চট্টগ্রামে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিমা বিসর্জন

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রামে শেষ হলো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসব। টানা চারদিন আনন্দের পর সোমবার ছিল বিদায়ের সুর। দুপুরের পর থেকে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে আসতে থাকে দুর্গার প্রতিমা। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও যথেষ্ট লোকসমাগম ঘটে সৈকতে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) তদারকিতে প্রতিমা নিরঞ্জন হয় সাগরে। যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে সম্পন্ন হয় এই আনুষ্ঠানিকতা। চট্টগ্রাম মহানগরী ও জেলায় এই বছর ২ হাজার ১৮৬টি ম-পে দুর্গাপূজা পালিত হয়। এরমধ্যে মহানগরীর ১৬টি থানায় ২৭৩টি ম-পে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়। প্রতিটি আয়োজনেই ছিল শোভাযাত্রা ও ধর্মসভাসহ নানা আনুষ্ঠানিকতা। করোনা পরিস্থিতিতে যতটা সম্ভব স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পালিত হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এই পূজা, যা তাদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। প্রতিটি ম-পেই অনেক রাত পর্যন্ত ছিল আনুষ্ঠানিকতা। তন্মধ্যে শেষ দিন অর্থাৎ নবমীর রাত ছিল সবচেয়ে বেশি মুখর। পরদিন দুপুরের পর সাঙ্গ হয় সবকিছু। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন প্রতিবারের মতো এবারও ছিল পতেঙ্গায় প্রতিমা বিসর্জনের ব্যবস্থাপনায়। চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন নিজেই পতেঙ্গা সৈকতে উপস্থিত থেকে সবকিছু দেখভাল করেন। উপস্থিত ছিলেন সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ও দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। নিরাপত্তা বিধান ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সৈকত এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পর্যাপ্তসংখ্যক সদস্য মোতায়েন ছিল। বিকেল ৫টার মধ্যেই সম্পন্ন হয় প্রতিমা নিরঞ্জন। চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এ্যাডভোকেট চন্দন তালুকদার জানান, দিনের আলো থাকতেই প্রতিমা বিসর্জনের অনুরোধ জানানো হয়েছে সকল পূজা ম-পের প্রতি। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী সম্পন্ন হয়েছে বিসর্জনের আনুষ্ঠানিকতা। করোনাভাইরাসের কারণে এবার বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাসহ বিপুল লোকসমাগম ঘটে এমন আয়োজন বাদ দেয়া হয়েছে। ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এবং কালুরঘাট সেতু এলাকায় কর্ণফুলী নদীতে বিসর্জন হয়েছে।
×