ফ্রি ফায়ার ও পাবজি গেমসে আসক্ত শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ২৬ অক্টোবর ॥ ধনবাড়ীতে দিন দিন ইন্টারনেটে ঝুঁকছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। করোনায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অলস সময়ে ফ্রি ফায়ার ও পাবজি গেমস খেলায় জড়িয়ে পড়ছে তারা। জানা গেছে, ধনবাড়ীর উঠতি বয়সের শিক্ষার্থীরা ও পুরো যুব সমাজ দিন দিন ফ্রি ফায়ার নামক গেমের নেশায় জড়িয়ে পড়ছে। যে সময় তাদের ব্যস্ত থাকার কথা নিয়মিত পড়ালেখাসহ শিক্ষাপাঠ গ্রহণ নিয়ে ও খেলার মাঠে ক্রীড়া চর্চার মধ্যে। সেখানে তারা ডিজিটাল তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে জড়িয়ে পড়ে নেশায় পরিণত করছেন। ৮ বছর থেকে ২৫ বছরের উড়তি বয়সের যুবকরা প্রতিনিয়ত এ্যান্ড্রয়েড ফোন দিয়ে এসব গেমে আসক্ত হচ্ছেন। এসব বিদেশী গেম থেকে শিক্ষার্থী বা তরুণ প্রজন্মকে ফিরিয়ে আনতে না পারলে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। ফায়ার গেমসে অনুরাগী নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী বকুল হোসেন জানায়, প্রথমে তার কাছে ফ্রি ফায়ার গেমস ভাল লাগত না। কিছু দিন বন্ধুদের দেখাদেখি খেলতে গিয়ে এখন সে আসক্ত হয়ে গেছে। এখন গেমস না খেলে তার অস্বত্বিকর মনে হয়। সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী শিশির হোসেন জানায়, সে পূর্বে গেমস সম্পর্কে কিছু জানত না। এখন নিয়মিত ফ্রি ফায়ার গেমস খেলা তার নেশা হয়ে গেছে। মাঝে মধ্যে নেট সমস্যায় এ গেমস খেলতে না পারলে মুঠোফোন ভেঙে ফেলার ইচ্ছাও হয় তার। ফ্রি ফায়ার নামক গেমসকে মাদকদ্রব্যের নেশার চেয়ে ভয়ঙ্কর বলে উল্লেখ করে স্থানীয় সমাজসেবক হুমায়ুন কবির জানান, এই সমস্যা থেকে আমাদের সন্তান, ভাই-বোনদের বাঁচাতে হলে অভিভাবকদের পাশাপাশি সমাজের সচেতন মহল, শিক্ষক-শিক্ষিকা, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। এ ব্যাপারে একাধিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা জানান, তাদের সময় অবসর সময়টি বিভিন্ন খেলাধুলার মধ্য দিয়ে কাটত। কিন্তু এখনকার যুগে সন্তানদের দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র। অনেক শিক্ষার্থীই পড়ার টেবিল ছেড়ে খেলছে মোবাইল গেমস, কখনও ইন্টারনেটের খারাপ সাইটে বিভিন্ন ছবি দেখছে। এতে তাদের ভবিষ্যত বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অন্যদিকে অপরাধ প্রবণতাও বাড়ছে। তাই কিশোর-কিশোরীদের মা-বাবাসহ সমাজের সবারই খেয়াল রাখতে হবে। যেন তারা মোবাইলের অতিরিক্ত ব্যবহার না করে।