নিজস্ব সংবাদদাতা, হবিগঞ্জ, ২৬ অক্টোবর ॥ লাখাই উপজেলাতে প্রায় ২ লাখ লোকের বাস। হাওড়বেষ্টিত এ উপজেলার জনগণের ভরসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। কিন্তু নানা সমস্যায় জর্জরিত হাসপাতালটি।
এই হাসপাতালের এক্স-রে মেশিন অকেজো হয়ে আছে আট বছর ধরে। কোন রোগীর এক্স-রে করার প্রয়োজন হলে যেতে হয় হবিগঞ্জ শহরে। এতে সময় ও অর্থের অভাবে অনেকেই এক্স-রে করাতে পারছেন না। শুধু এক্স-রে মেশিন নয় অন্যান্য পরীক্ষার যন্ত্রপাতিও বিকল হয়ে তালাবদ্ধ রুমে পড়ে আছে। রয়েছে চিকিৎসক সঙ্কট। জানা গেছে, প্রায় ৬ একর জমিতে লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স স্থাপিত হয় ১৯৮১ সালে। শুরু থেকে তৃণমূলের স্বাস্থ্য সেবায় এ হাসপাতালটি ভূমিকা পালন করে আসছিল। সরকারী ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত ৩১ শয্যা হাসপাতালে দৈনিক কমপক্ষে ১০০ রোগী সেবা নিয়ে থাকে। তবে ভর্তি রোগীর সংখ্যা কম। সেবা নিয়ে প্রায় রোগীই বাড়ি ফিরে যান। অনুসন্ধানে জানা গেছে, হাসপাতালে নয়জনের জায়গায় পাঁচজন চিকিৎসক আছেন। গাইনি, সার্জারি, এ্যানেসথেসিয়া ও মেডিসিনের চিকিৎসক নেই। ১৮ নার্স থাকার কথা থাকলেও রয়েছে ১৬ জন। পরীক্ষা করার জন্যও নেই পর্যাপ্ত লোকবল। হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) কাজী আব্দুল্লাহ কায়সার বলেন, ‘গাইনি চিকিৎসক না থাকায় এখানে সিজার হচ্ছে না। তবে প্রতিমাসে ২৫ থেকে ৩০টি নরমাল ডেলিভারি করানো হচ্ছে।’ কাজী আব্দুল্লাহ কায়সার বলেন, ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত হওয়ার অপেক্ষায় আছে এ হাসপাতাল। নতুন ভবনের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। পুরাতন ভবনও সংস্কার করা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, নির্মাণ কাজ শেষ হলে নতুনভাবে ডাক্তার, নার্স ও টেকনিশিয়ান বাড়ানো হবে। এরপর থেকে রোগীদের আর অন্য জায়গায় গিয়ে পরীক্ষা করাতে হবে না।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: