ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মারুফ রায়হান

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ২০:২৮, ২৭ অক্টোবর ২০২০

ঢাকার দিনরাত

শনিবার বৃষ্টির ভেতর হাল্কা জ্বর নিয়েই অফিসে গেছি। দুপুরে জ্বর বাড়লে সহকর্মীর কাছ থেকে চেয়ে নিয়ে ওষুধ খেয়েছি। রোববার এ কলাম লেখার দিন দেখছি গলা আর মাথা ব্যথায় বিছানা ছাড়তে কষ্ট হচ্ছে। এ কেমন কাল এলো যে সাধারণ সর্দিজ্বর হলেও মনের ভেতর কেউ বলে ওঠে করোনা নয় তো! জ্বর হলেও মানুষের কাছে বলা আর ঠিক নয় যতদিন না করোনা বিদায় হচ্ছে। যেই শোনে সেই তাকায় সন্দেহের চোখে। একগাদা উপদেশ দিতেও ভোলে না। এটা এক অর্থে স্বাভাবকিই বলব। মানুষ খারাপটাই আগে ভাবে, চায় তার নিকট বা পরিচিতজনেরা কুশলে থাকুক। যাহোক, আমরা যারা সংবাদপত্রে চাপের মধ্যে কাজ করি তাদের অফিসের কাজ করে যেতেই হবে। অসুস্থতার কারণে অফিসে যেতে না পারলেও কাজটা করতেই হবে। তাই বিছানা ছেড়ে কিছুক্ষণ কম্পিউটারে বসে লিখি। মাথা চোখ টনটন করে উঠলে বাধ্য হয়ে আবার সুড়সুড় করে শয্যারই শরণ নিই। আজ সুস্থ থাকলে নিশ্চয়ই পূজামণ্ডপে যেতাম। নবমীর দিন না গেলে নিজের কাছেই মনে হয় কী যেন মিস করছি। গত বছর আমাদের উত্তরার তিন নম্বর সেক্টরের ফ্রেন্ডস ক্লাব মাঠে কী বিশাল মণ্ডপই না হয়েছিল। কোভিডের কারণে ঢাকাসহ সর্বত্রই কিছুটা সীমিত আকারে পূজা হচ্ছে। কিন্তু উত্তরার বিষয়টি ভিন্ন, অতীব লজ্জার। জেনে ক্ষুব্ধই হলাম অনেকের মতো। সে প্রসঙ্গে যাওয়ার আগে একটি সুখবর দেয়া যাক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হৃত গৌরব গবেষণামুখী হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শতবর্ষ সামনে রেখে চার প্রকল্পে গবেষণা প্রস্তাব আহ্বান, শিক্ষকদের ব্যাপক সাড়া- এমন একটি সংবাদের অপেক্ষায় শুধু আমি নই, নিশ্চয়ই অনেকেই থেকেছেন বছরের পর বছর। অবশেষে সুখবরটি পাওয়া গেল। শতবর্ষ পূর্ণ করতে চলেছে ‘প্রাচ্যের অক্সফোর্ড’ খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও গবেষণা কর্মে পিছিয়ে থাকা এ বিশ্ববিদ্যালয় এবার প্রস্তুতি নিয়েছে মানসম্মত ও প্রায়োগিক গবেষণার। শতবর্ষকে সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি মেম্বারদের কাছ থেকে আহ্বান করা হয়েছে গবেষণা প্রস্তাব। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং নিজস্ব উদ্যোগে মোট চারটি প্রকল্পের অধীনে শতবার্ষিক গবেষণা প্রকল্প চালাবে বিশ্ববিদ্যালয়। এ চারটি প্রকল্পে পাঁচ শতাধিক শিক্ষক গবেষণা প্রস্তাব জমা দেবেন বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে। আগাম অভিনন্দন। আগামী ৮ নভেম্বরের মধ্যে এসব গবেষণা প্রস্তাবনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে জমা দিতে হবে। গবেষণা কাজগুলোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল বাজেটের বাইরে বরাদ্দ থাকবে। আলাদাভাবে প্রতিটি গবেষণা কর্মের জন্য ৩ থেকে ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রকল্পগুলো হচ্ছে বিষয়ভিত্তিক গবেষণা প্রকাশের জন্য শতবার্ষিক গবেষণা অনুদান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষের বই সিরিজ প্রকল্প, শতবার্ষিক গবেষণা অনুদান (সিআরজি) ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন গবেষণা অনুদান। এর প্রথম দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে, তৃতীয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শেষ প্রকল্পটি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের উদ্যোগে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলোর মধ্যে ইউজিসির প্রকল্পটিতে ৩ লাখ, শতবার্ষিক গবেষণা অনুদানের জন্য ৫ লাখ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পে ১০ লাখ ও বই প্রকাশের জন্য প্রস্তাব-প্রতি সর্বোচ্চ ৭ লাখ টাকা বরাদ্দ থাকবে। সাগরে লঘুচাপ শহরে গুরুচাপ! ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা কেটে গেছে, এমন সংবাদ গোটা দেশকেই স্বস্তির সীমানায় নিয়ে আসে। তবে উপকূলের স্বস্তির সঙ্গে আর কোন এলাকাবাসীর নিশ্চিন্তির তুলনা হয় না। আবহাওয়া অধিদফতরের উপপরিচালক গণমাধ্যমকে বলেছেন, এই মেঘ-বৃষ্টি কেটে গেলেই শীতের প্রকোপ চলে আসবে। অক্টোবর-নবেম্বর মাস ঘূর্ণিঝড়ের মাস। আগামী মাসে এ রকম দু-একটা ঘূর্ণিঝড় হওয়ার আশঙ্কা আছে। আমাদের জনকণ্ঠের রিপোর্টার শুক্রবার দিনভর-রাতভর বৃষ্টি নিয়ে প্রতিবেদনে লিখেছেন : ‘সকাল থেকেই রাজধানীতে শুরু হয়েছে অবিরাম বৃষ্টির ধারা। কখনও তা মুষলধারে আবার কখনও গুঁড়ি বৃষ্টিপাত ছিল সারাদিন। ঢাকা আকাশের সারাদিন মেঘের ঘনঘটা। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিনের কারণে এদিন প্রয়োজন ছাড়াই কেউ ঘর থেকে বের হয়নি। রাস্তায় লোকজন এবং যানবাহন প্রয়োজনের তুলনায় ছিল অনেক কম। সারাদেশে সবাই ঘরবন্দী সময় পার করে পরিবার পরিজন নিয়ে। আবহাওয়া অফিস জানায় সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঢাকা ২৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টির কারণে অনেক স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। বাইরে বের হওয়া মানুষ ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়ে। এদিকে বৃষ্টিতে তাপমাত্রা কমে শীতল ভাব বিরাজ করছে। শীতের আগেই শীত শীত অনুভূত হচ্ছে।’ ঠিক। শীতের হাওয়া বইবে ঢাকায়, তাতে কাঁপন লাগুক আর না লাগুক। তবে শিশু আর বয়স্কদের নাজুক শরীরের ওপর তার প্রভাব পড়বে। সে পরের কথা। আজকের কথা হলো, এক দিনের বৃষ্টিতে নাকাল রাজধানীর ঘুরে দাঁড়াতে প্রয়োজন দিনমান রোদ্দুর। সেই রোদ কি আর মিলবে। জলাবদ্ধতার কষ্টের কথা আমরা জোরেশোরে বলি শুধু বর্ষাকালে। জলবায়ুর স্বরূপ বদলের পর এখন বছরের দুয়েকটা মাস রেহাই পায়, বাদবাকি সময় এক-দুবার ভারি বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে। আবহাওয়াবিদরা যতোই বলুন সাগরে ঘূর্ণিঝড়ের মৌসুম অক্টোবর নবেম্বর। কিন্তু আমরা তো চলতি বছর একবার পড়লাম বড় ঝড় আম্পানের কবলে। এ ছাড়াও ছোটখাটো ঝড় ছিল। লঘুচাপ এখন দেখছি প্রতি মাসেই দেখা দিচ্ছে। আর তার ‘গুরু চাপ’ সামাল দিতে হচ্ছে খোদ রাজধানীকেই। অবস্থাসম্পন্নদের গ্যারাজে দুয়েকখানা মোটরগাড়ি থাকে। কে জানে বছর দশেক পরে মোটর গাড়ির পাশাপাশি একখানা করে ডিঙি নৌকাও রাখতে হয় কিনা। বছরে অন্তত দুবার আমরা ঢাকার বড় সড়কে নৌকা চলতে দেখি। দশ বছর পর ঘন ঘন দেখতে হবে যদি এখনই জলাবদ্ধতা নিরসনে একটা পাকাপোক্ত ব্যবস্থা না নেয়া হয়। তাই সাধু সাবধান। পূজার সময়ে সাম্প্রদায়িকতার হুঙ্কার! কামারী পূজা হবে না সেটি আগেই জানা গিয়েছিল। মহামারীর কারণে করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে এ বছর বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করা হচ্ছে। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেছিলেন করোনা অতিমারীর কারণে এবার উৎসব সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো পরিহার করে সাত্ত্বিক পূজায় সীমাবদ্ধ রাখতে হবে বিধায় এবারের দুর্গোৎসবকে ‘দুর্গাপূজা’ হিসেবে অভিহিত করছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কীভাবে এবার পূজা করতে হবে, সে বিষয়ে দুই মাস আগেই পূজা উদযাপন পরিষদ ২৬ দফা দিকনির্দেশনা দিয়েছিল। পরে ৪ অক্টোবর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে পূজাকেন্দ্রিক সভার সিদ্ধান্তের আলোকে অতিরিক্ত ৭ দফা নির্দেশনা দেয়া হয়। নির্দেশনা মেনে এবারের পূজায় থাকবে না পূজার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক আয়োজন। অঞ্জলি দানের সময় ফেসবুক লাইভের সহযোগিতা নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। পূজাম-পে ‘প্রয়োজনের অতিরিক্ত দীর্ঘ সময়’ কোন দর্শনার্থী যেন না থাকে এবং সন্ধ্যার বিরতির পর দর্শনার্থীদের প্রবেশে যেন নিরুৎসাহিত করা হয়- সেসব বিষয়ও আছে নির্দেশনায়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দেয়া নির্দেশনায় এবার ভোগের প্রসাদ ব্যতীত ম-প কিংবা মন্দির কর্তৃপক্ষকে খিচুড়ি বা এ জাতীয় প্রসাদ বিতরণেও মানা করা হয়েছে। এটি অস্বাভাবিক মনে হলেও করোনার কারণে নতুন স্বাভাবিকতাও বটে। কিন্তু মুসলিম পরিচয়ধারী একটি গোষ্ঠী যদি তাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগবে বলে গত বছরের একটি পূজার ম-প যাতে ওই নির্দিষ্ট স্থানে না বসতে পারে সে জন্য প্রশাসন বরাবর চিঠি দেয়, তবে তা অত্যন্ত অস্বাভাবিক। এমনটা নজির নেই এই অসাম্প্রদায়িকতার চর্চার দেশে। গত মঙ্গলবার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উত্তরা ৩ নং সেক্টরের ফ্রেন্ডস ক্লাব মাঠে ২০২০ দুর্গাপূজার আয়োজন বন্ধে হুশিয়ারি প্রদান করে অত্র এলাকাবাসীর স্বাক্ষর সম্বলিত একটি আবেদনপত্র ডিএমপি’র উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনারের কাছে পেশ করে ‘তৌহিদী জনতা’ নামের একটি সংগঠন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চলেছে আলোচনা সমালোচনা। এ দেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। খুব কাছাকাছি মসজিদ ও মন্দিরও স্থাপিত রয়েছে বহু জায়গায়। কখনোই একদল অপর দলের ওপর চড়াও হওয়ার দৃষ্টান্ত নেই। তাই লেখার শুরুতে উত্তরার প্রসঙ্গটির উল্লেখ করেছি যা এলাকার শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষকেই লজ্জার ভেতর ফেলে দিয়েছে। ওই সেক্টরেরই একজন বাশিন্দা তার অভিমত এভাবে তুলে ধরেছেন : ‘উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টর মাঠ যে মাঠ সাধারণের তত্ত্ব¡াবধানে না। রাজনৈতিক মানুষদেরই তত্ত্বাবধানে সেই মাঠে পূজার অনুষ্ঠানের কারণে ব্যাঘাত ঘটছে বলে এলাকার মানুষ অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে। অথচ সারা বছর মাইক বাজিয়ে উচ্চ শব্দে এই মাঠে নানা অনুষ্ঠান চলে তাতে ব্যাঘাত ঘটেছে বলে জানিনি। যদিও বুঝিনি পূজার আয়োজনে কি ব্যাঘাত ঘটছে অন্য ধর্মের মানুষদের শুধু চাইছি এই অভিযোগকারীদের পরিচয় প্রকাশ্যে আসুক আর তাতে বাকিরা লজ্জা থেকে বাঁচি।’ এবারের পূজার সময়ে ঢাকা কি হোঁচট খেল না সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ওপর কালিমা লেপনের ওই অপচেষ্টায়? সর্বশেষ: শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের প্রতিবাদে কাজ হয়েছে। পিছু হটেছে সাম্প্রদায়িক শক্তি। শেষ পর্যন্ত পূজা হয়েছে উত্তরার মাঠটিতে। দশ লাখে পৌঁছুনোর উদযাপন ঢাকায় আবার থিয়েটার প্রদর্শনী শুরু হয়ে গেল চলতি সপ্তাহ থেকে। মানুষ হয়ত ফেসবুক লাইভের ঘেরাটোপ থেকে বেরিয়ে ঘরোয়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছাড়িয়ে মিলনায়তনমুখী হবে কবিতা-গান-আলোচনাধর্মী অনুষ্ঠান নিয়ে। তারই মহড়া কোথাও কোথাও দেখা যাচ্ছে, রেস্টুরেন্টে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্যোগও দেখছি। এই যেমন গানের শিল্পী সাব্বির নাসিরের ‘তুমি দমে দম’ গানের সেলিব্রেশন হয়ে গেল গুলশানে। এটিকে টু ইন ওয়ানও বলা যেতে পারে, কেননা সেদিন ছিল শিল্পীর জন্মদিন। ইউটিউবে গত এক পক্ষে দশ লক্ষ বার গানটি দেখা (মানে শোনা) হয়েছে। কম কথা নয়। ৯০ দশকের মিউজিশিয়ান সাব্বির নাসির, ১৮ বছর পর আবার গানে ফিরেছেন গত বছরের শুরু থেকে রোমান্টিক গান নিয়ে। ছোটবেলা থেকে পারিবারিক সূত্রে তার গানের হাতে খড়ি। গানের সঙ্গেই নিজের মনকে তৈরি করছিলেন সঙ্গীতের পূজারী, গায়ক ও লিড গীটারিস্ট হিসেবে। আরও একটু এগোনোর পরে ব্লুজ মিউজিকে বড় ভাইয়ের মাধ্যমে প্রভাবিত হওয়া ১৯৮৫ সালে। সুফীবাদ নিয়েও কাটিয়াছেন অনেকটা সময়। ১৯৯৮ সালে প্রথম ব্যান্ড মেটামরফোসিসের সঙ্গে ‘জীর্ন শহরে বৃষ্টি নামে’ নামক প্রথম এ্যালবাম বের করা। কিছুটা অভিমান নিয়েই মিউজিককে ছেড়ে চলে আসেন নিভৃতে। ২০১৮ সালে সমসাময়িক মিউজিশিয়ান, বন্ধুদের অনুপ্রেরণা আর মিউজিকের প্রতি আজীবন ভালবাসার টান তাকে আবার নিয়ে যায় স্টুডিওতে, হাতে আবার তুলে নেন পুরনো সেই গিটার আর স্বভাবসুলভ আচরণ, নতুন কিছু করার তাগিদ থেকে তৈরি হয় ‘তুমি যদি বলো।’ এরপর নিয়মিতভাবে গেয়েছেন একের পর এক গান, সবগুলোই জনপ্রিয় হয়েছে। সাব্বির নাসির তার সর্বশেষ গানটি নিয়ে বলেন, গানটির সফলতার পেছনের গল্পে আমি একা নয়, টিমের সকলের অবদান ছিল। চেষ্টা করেছি এ গানের ভাবকে অনুসরণ করে আত্মার জগতে প্রবেশ করতে। গানটি শ্রোতাদের ভাল লেগেছে, সেই সঙ্গে ভিডিওচিত্রটিও সকলে পছন্দ করছেন। তাই মনে হলো ছোট্ট একটা সেলিব্রেশন হতেই পারে। শ্রোতাদের জন্য আবার নতুন গান নিয়ে খুব শীঘ্রই হাজির হবেন বলেও জানান তিনি। ‘তুমি দমে দম’ গানটির শুটিং হয় বান্দরবানের বিভিন্ন মনোরম লোকেশনে। ২৫ অক্টোবর ২০২০ [email protected]
×