ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

জয়ে ফিরেছে চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল

প্রকাশিত: ২২:৩৫, ২৬ অক্টোবর ২০২০

জয়ে ফিরেছে চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে জয়ে ফিরেছে লিভারপুল। নিজেদের মাঠে শনিবার টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা ২-১ গোলে হারিয়েছে শেফিল্ড ইউনাইটেডকে। যার ফলে দুই ম্যাচ পর এদিন পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছেড়েছে জার্গেন ক্লপের শিষ্যরা। লিভারপুল জয়ের দেখা পেলেও পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছেড়েছে ম্যানচেস্টারের দুই জায়ান্ট ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। দিনের প্রথম ম্যাচে পেপ গার্ডিওলার দল ১-১ ব্যবধানে ড্র করেছে ওয়েস্টহ্যামের সঙ্গে। অন্য ম্যাচে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে তাদের মাঠে এসেই গোলশূন্য ড্র করে চেলসি। এছাড়া ক্রিস্টাল প্যালেস ২-১ গোলে পরাজয়ের স্বাদ উপহার দিয়েছে ফুলহ্যামকে। পয়েন্ট টেবিলে এগিয়ে যাওয়ার মিশনে শনিবার শেফিল্ড ইউনাইটেডের মুখোমুখি হয় লিভারপুল। স্বাগতিক হয়েও এ্যানফিল্ডে শুরুর দিকে হোঁচট খেয়ে বসে অলরেডরা। মাত্র ১৩ মিনিটে লিড নেয় শেফিল্ড। পেনাল্টি এরিয়ায় ফ্যাবিনহো শেফিল্ডের ম্যাকবার্নিকে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় অতিথিরা। তা থেকেই গোল করে বার্জ এগিয়ে নেন দলকে। এরপর গোল পরিশোধে মরিয়া হয়ে ওঠে লিভারপুলও। একের পর এক আক্রমণ চালায় শেফিল্ড শিবিরে। তার ফল আসতে একটু দেরি হলেও প্রথমার্ধের আগেই সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা। ৪১ মিনিটে মানের হেড গোলরক্ষক ফিরিয়ে দিয়েও নিস্তার পাননি। ফিরিয়ে দেয়া শট শেফিল্ডের জালে পাঠান ফিরমিনো। তাতেই স্বস্তি ফেরে লিভারপুলে। দ্বিতীয়ার্ধে ফিরেও আক্রমণের ধার বজায় রাখে স্বাগতিকরা। ৬৪ মিনিটে গিয়ে দ্বিতীয় গোলের দেখা পায় তারা। এবার মানের এ্যাসিস্টে স্কোর খাতায় নাম তোলেন দিওগো হোতা। আক্রমণ চালিয়ে যায় শেফিল্ডও। কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হয়নি। ফলে জয় নিয়ে শেষ হাসি হাসে জার্গেন ক্লপের দল। এর আগের ম্যাচে ওয়েস্টহ্যাম স্বাগত জানায় ম্যানচেস্টার সিটিকে। মিখাইল এ্যান্টোনিও’র অসাধারণ ওভারহেড কিকে ১৮ মিনিটে এগিয়ে গিয়েছিল স্বাগতিক ওয়েস্টহ্যাম। ২০ বছর বয়সী ইংলিশ তরুণ মিডফিল্ডার ফোডেন বিরতির পর সার্জিও এ্যাগুয়েরোর পরিবর্তে মাঠে নামার ছয় মিনিটের মধ্যে সিটির হয়ে সমতাসূচক গোলটি করেন। পরাজয় এড়ালেও নতুন মৌসুমে দুর্ভাগ্য যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না সিটিজেনদের। প্রিমিয়ার লীগের শেষ চার ম্যাচে পেপ গার্ডিওলার দল মাত্র একটি জয়ের দেখা পেয়েছে। ইনজুরি আক্রান্ত সিটিজেনদের হয়ে এদিন খেলতে পারেননি ফার্নান্দিনহো, অমারিক লাপোর্তে, ন্যাথান আকে ও গাব্রিয়েল জেসুস। মূল একাদশের গুরুত্বপূর্ণ এই খেলোয়াড়দের হারিয়ে অন্যান্য সতীর্থরাও ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়। আগের দুটি ম্যাচে আর্সেনাল ও পোর্তোকে পরাজিত করলেও সেপ্টেম্বরে লিচেস্টার সিটির কাছে ৫-২ গোলের বিধ্বস্ত হবার ম্যাচটি থেকে যেন কিছুতেই বেরিয়ে আসতে পারছে না গার্ডিওলা শিষ্যরা। ইতোমধ্যেই টেবিলের শীর্ষে থাকা এভারটনের চেয়ে পাঁচ পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছে সিটি। ম্যাচের শেষে গার্ডিওলা বলেন, ‘ভবিষ্যত সম্পর্কে বলার আমি কেউ না। ইতোমধ্যেই আমরা সাত পয়েন্ট হারিয়েছি যা অনেক বেশি। এই ম্যাচেও আমরা প্রথমার্ধের ১০ থেকে ১৫ মিনিট বেশ কঠিন সময় পার করেছি। দ্বিতীয়ার্ধে ভাল শুরু করে দ্রুতই গোল পেয়েছি। এরপর ম্যাচে জয়ের বেশ কিছু সুযোগ পেলেও দুর্ভাগ্যবশত আমরা কোন গোল করতে পারিনি। বেশ কিছু কারণে আজকে ম্যাচে আমরা ভাল করতে পারিনি। সামনের দিনগুলোতে প্রতিটি ম্যাচকে লক্ষ্য করে সুনির্দিষ্ট কৌশলে এগিয়ে যেতে হবে।’ এদিকে ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ড কোচের চেয়ারে বসার পর থেকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে হারাতে পারেনি চেলসি। শনিবারও সেই ঘটনার পরিবর্তন হলো না। ওল্ডট্রাফোর্ডে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে শুরু থেকেই জমে উঠেছিল ম্যাচ। গোলের সুযোগ তৈরি হয় বেশ কিছু। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি কোন দলই। ৩০ মিনিটে নিজ দলের ডিফেন্ডার থিয়েগা সিলভাকে পাস দিতে গিয়ে নিজের জালেই বল জড়াতে গেছিলেন চেলসির গোলরক্ষক এদুয়ার্দ মেন্দি। শেষ পর্যন্ত তিনি নিজেই বল বিপদমুক্ত করেছেন। ৩৮ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল ইউনাইটেড। কিন্তু ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে মার্কাশ রাশফোর্ডের আক্রমণ প্রতিহত করেন মেন্দি। ৫৮ মিনিটে প্রথমবার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জার্সি গায়ে মাঠে নামা এডিনসন কাভানির ফ্লিক অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এরপর আরও কিছু আক্রমণ করে দুই দল। কিন্তু গোলের দেখা পায়নি কেউ।
×