স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বারি) ‘খেসারী, মাসকলাই ও ফেলনের জাত উন্নয়ন, বীজ উৎপাদন এবং সংগ্রহোত্তর প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও বিস্তার কর্মসূচীর’ সমাপনী পর্যালোচনা কর্মশালা রবিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বারি’র মহাপরিচালক ড. মো. নাজিরুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কর্মশালার উদ্বোধন করেন। বারি’র ডাল গবেষণা উপ-কেন্দ্রের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় বারি’র বিভিন্ন কেন্দ্র, উপ-কেন্দ্র ও বিভাগের বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
বারি’র পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. মিয়ারুদ্দীনের সভাপতিত্বে ইনস্টিটিউটের কাজী বদরুদ্দোজা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) মো. হাবিবুর রহমান শেখ ও পরিচালক (ডাল গবেষণা কেন্দ্র) ড. দেবাশীষ সরকার। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক এবং ডাল গবেষণা উপ-কেন্দ্র, গাজীপুরের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান ড. মো. ওমর আলী
কর্মশালার উদ্বোধনকালে বারি’র মহাপরিচালক ড. মো. নাজিরুল ইসলাম বলেন, দেশের মানুষের পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের ডাল ফসলের উৎপাদন বাড়াতে হবে। আর এ উৎপাদন বাড়ানোর জন্য আমাদের দেশে যেসব ডাল ফসল অধিক উৎপাদন হয় তার পাশাপাশি যেসব ডাল ফসলের চাষাবাদ কম সেগুলোর উৎপাদন বাড়াতে হবে। কারণ এসব ডাল ফসলগুলোতেও পুষ্টির পরিমাণ অধিক হারে রয়েছে। একই সঙ্গে আমাদের পুষ্টিসমৃদ্ধ নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে কাজ করে যেতে হবে। তাই আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে মাধ্যমে এসব ডাল ফসলের নতুন নতুন জাত উদ্ভাবনের মাধ্যমে এর উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে।
কর্মশালার কারিগরি সেশনে ‘খেসারী, মাসকলাই ও ফেলনের জাত উন্নয়ন, বীজ উৎপাদন এবং সংগ্রহোত্তর প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও বিস্তার কর্মসূচী’র আওতায় বিগত তিন বছরে গবেষণাসহ যে সমস্ত উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে তার উপর ব্যাপক পর্যালোচনা করা হয়। সেই সঙ্গে কর্মসূচীর আওতাভুক্ত ডাল ছাড়াও অন্যান্য ডাল ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়।
