ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সরকারকে উদ্দেশ করে ফখরুল অবিলম্বে পদত্যাগ না করলে ভেসে যাবেন

প্রকাশিত: ১৭:৪৫, ২৫ অক্টোবর ২০২০

সরকারকে উদ্দেশ করে ফখরুল অবিলম্বে পদত্যাগ না করলে ভেসে যাবেন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সরকারকে উদ্দেশ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অবিলম্বে পদত্যাগ করুন, তা না হলে আপনারা ভেসে যাবেন। রবিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজীর মুক্তির দাবিতে ‘সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। দেশবাসীকে উদ্দেশ করে ফখরুল বলেন, আপনারা আর চুপ থাকবেন না। দেশে এখন যে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে আজকে যদি আমরা প্রতিবাদ না করি, রুখে না দাঁড়াই, তাহলে বিরাট ক্ষতি হয়ে যাবে। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের আমরা যে স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছিলাম, আমরা যে ১৯৯০ সালে গণতন্ত্রের জন্যে লড়াই-সংগ্রাম করেছিলাম, যে গণতন্ত্রকে আমরা ছিনিয়ে নিয়ে এনেছি, সেই গণতন্ত্রকে আবার হরণ করা হয়েছে। তাই আমাদের সবাইকে আজ এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। আমাদের অধিকার ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চলছে। তাই এ সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, অনেক হয়েছে, এভাবে আর চলতে পারে না। আমরা পরিস্কারভাবে জানাতে চাই অবিলম্বে পদত্যাগ কওে জনগণের চোখের ভাষা বুঝে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় জনগণের উত্তাল ঢেউ সৃষ্টি হবে। বর্তমান সরকারের পতন ঘটাতে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, এ সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ভিন্নমতকে স্তব্দ করতে চায়। ভিন্নমতকে স্তব্দ করার জন্য তারা যারা ভিন্নমত পোষণে করে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখালেখি করছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে গ্রেফতার করছে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীকে গ্রেফফতার করে নির্যাতন ও নিপীড়ন করা হচ্ছে। আমরা অবিলম্বে রুহুল আমিন গাজীসহ সকল সাংবাদিকের মুক্তি দাবি করছি। তিনি বলেন, সাংবাদিকরা যেন সত্য কথা না লিখতে পারেন সেজন্য আইন করা হয়েছে। যার কারণে সাংবাদিকরা আজকে লিখতে ভয় পান। সারাদেশে একটা ভয় ও ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করা হয়েছে। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে তারা আজকে ক্ষমতায় টিকে আছে। আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচন নিয়ে খেলা করছে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, নির্বাচন কমিশন ও সরকার যৌথভাবে নির্বাচনকে তাদের একটা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে ক্ষমতায় থাকার জন্য। ঢাকা-১৮ আসনে যে উপনর্বিাচন হচ্ছে, সেই নির্বাচনে আমাদের দলের পক্ষে কাজ করছেন দলের নেতা মোস্তফা। যিনি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছিলেন। শনিবার রাতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা তার বাড়িতে আক্রমণ করেছে। সিরাজগঞ্জ-১ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী সেলিম রেজাকে সারাদিন ঘরের মধ্যে আটক করে রাখা হয়েছিলো। আমরা এ ঘঁনার নিন্দা জানাই। আয়োজক সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, সিনিয়র সাংবাদিক আবু সালেহ, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, এগ্রিকালচারিস্ট এ্যাসোসিয়েশনের নেতা অধ্যাপক আবদুল করীম, শামীমুর রহমান শামীম, প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন, ডক্টরস এ্যাসোসিয়েশনের (ড্যাব) নেতা রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
×