ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি সমৃদ্ধ আইনী কাঠামো ॥ আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২৩:০৪, ২৫ অক্টোবর ২০২০

আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি সমৃদ্ধ আইনী কাঠামো ॥ আইনমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, যে কোন রাষ্ট্রের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি হিসেবে নিয়ামক ভূমিকা পালন করে সমৃদ্ধ আইনী কাঠামো। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার মাধ্যমে জনগণের মৌলিক চাহিদাসমূহ পূরণ করে সুখী ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে তোলা এবং সুসংহত আইনী কাঠামো বিনির্মাণ এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার সুরক্ষার মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে উন্নয়ন সাধন করা। শনিবার ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে ‘পাবলিক ফিন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট ইন দি কনটেক্সট অব কনস্টিটিউশনাল ফ্রেমওয়ার্ক’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বনানীর বাসা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন লেজিসলেটিভ রিসার্চ এ্যান্ড রিফর্ম প্রজেক্ট এই সেমিনারের আয়োজন করে। মন্ত্রী বলেন, রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়ন, ২০৩০ সালের মধ্যে ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত দেশের মর্যাদা লাভ এবং সর্বোপরি ডেল্টাপ্ল্যান ২১০০ বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ। জননেত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য ও দক্ষ নেতৃত্বে আইনী কাঠামোর মধ্যে থেকে সরকার এসব অঙ্গীকার বাস্তবায়নে কাজ করছে। তার সরকারের উন্নয়নের রাজনীতির মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের জীবন মানের উন্নতি ঘটেছে এবং বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোড মডেল হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। উন্নয়নের সূচক বা মানদ-ের অনেক ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ আজ বিশ্ব দরবারে সমাদৃত ও অনুকরণীয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রের আর্থিক শৃঙ্খলা আনা আইনের শাসনের আওতায় পড়ে। তাই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সরকারী আর্থিক ব্যবস্থাপনার বিরাট ভূমিকা রয়েছে। সেমিনারে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মোঃ মইনুল কবির সভাপতিত্ব করেন, মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এবং প্রকল্প পরিচালক ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দীন স্বাগত বক্তৃতা করেন।
×