ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

নড়াইলে সাবেক কলেজ শিক্ষককে গলা কেটে হত্যা

প্রকাশিত: ২১:৪৬, ২৫ অক্টোবর ২০২০

নড়াইলে সাবেক কলেজ শিক্ষককে গলা কেটে হত্যা

নিজস্ব সংবাদদাতা, নড়াইল, ২৪ অক্টোবর ॥ নড়াইলের পল্লীতে একটি বেসরকারী কলেজের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অরুণ কুমার রায়কে নিজ বাড়িতে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনাটি ঘটেছে, সদর থানার তুলারামপুর ইউনিয়নের বেনাহাটি গ্রামে। ঘটনাটি শুক্রবার রাত ৮টার পরে জানাজানি হয়েছে বলে জানিয়েছে সদর থানা পুলিশ। নিহত অরুণ রায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর, খুলনা অঞ্চলের উপপরিচালক নিভা রানী পাঠকের স্বামী। জানা গেছে, অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষক অরুণ রায় সদর থানার তুলারামপুর ইউনিয়নের বেনাহাটি গ্রামে একা বসবাস করতেন। তার স্ত্রী, এক ছেলে প্রকৌশলী এবং এক মেয়ে চিকিৎসক চাকরির কারণে জেলার বাইরে অবস্থান করেন। তারা মাঝে মাঝে ছুটিতে বাড়ি আসতেন। শুক্রবার সারাদিন থেকে অরুণ রায়ের কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে সন্ধ্যার পর নিভা রানী পাঠক ও তার ছেলে ইন্দ্রজিৎ রায় বাড়িতে এসে মই বেয়ে দ্বিতল ভবনের দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে চেয়ারের ওপর গলা কাটা অবস্থায় তার লাশ দেখতে পান। সদর থানার তুলারামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বুলবুল আহম্মেদ বলেন, বাড়িতে অরুণ রায় একাই থাকতেন। আর কেউ থাকত না। এ বিষয়ে সদর থানার ওসি ইলিয়াছ হোসেন নিহতের ঘটনা স্বীকার করে বলেন, অরুণ রায়ের হত্যার বিষয়টি পুলিশ শুক্রবার সন্ধ্যার পর জানতে পেরেছে। পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। হত্যার বিষয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। সাভারে স্কুল কর্মকর্তা নিজস্ব সংবাদদাতা সাভার থেকে জানান, দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে মোস্তাফিজুর রহমান (৩০) নামে এক স্কুল কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে সাভার পৌর এলাকার সিআরপি সড়কের পাশ থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত মোস্তাফিজুর রহমান রাজশাহী জেলার দুর্গাপুর থানার নওয়াপাড়া গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে। সে সাভারের ডগরমোড়ায় ভাড়া বাড়িতে থেকে তার বন্ধুর সঙ্গে পাশর্^বর্তী কমলাপুর এলাকার গ্লোরিয়াস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এ্যান্ড কলেজে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করতেন। জানা গেছে, নিহত মুস্তাফিজুর রহমান গত বুধবার ছুটি নিয়ে গ্রামের বাড়ি রাজশাহী যান। শনিবার তার ছুটি শেষে গ্রামের বাড়ি থেকে সে সাভারে আসছিল। এদিন সকালে সড়কের পাশে ওই যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয়। ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহটি উদ্ধার করে। যশোরে যুবক স্টাফ রিপোর্টার যশোর অফিস থেকে জানান, যশোর শহরের সিএনবি রোডের ড্রেনের পাশ থেকে ইসরাফিল হোসেন ওরফে মন্নাত (৪০) নামে এক ব্যক্তির মরহেদ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি বকচর বিহারী কলোনির মোস্তফা বাড়ির ভাড়াটিয়া এবং মণিরামপুর উপজেলার কাশিপুর গ্রামের মৃত মুক্তিযোদ্ধা বজলুর রহমানের ছেলে। তাকে মারপিট করে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ ধারণা করেছে। পুলিশ জানায়, শনিবার সকাল ৭টার দিকে সিএনবি রোডের লুবনা কটেজ কৃষিবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলমের বাসার সামনে ড্রেনের পাশে ইসরাফিল হোসেন ওরফে মন্নাতের লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা থানায় সংবাদ দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেছে। মন্নাতের মাথায় ও মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং মাথায় লাল গামছা প্যাঁচানো রয়েছে। মন্নাত শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে বাসা থেকে বাইসাইকেল যোগে বের হয়। রাতে সে বাড়ি ফেরেনি। মৃতদেহের পাশ থেকে বাইসাইকেল ও একটা ছাতা উদ্ধার করা হয়েছে। তাড়াইলে শিশুর রহস্যজনক মৃত্যু নিজস্ব সংবাদদাতা কিশোরগঞ্জ থেকে জানান, জেলার তাড়াইলে লুৎফর রহমান নামে এক পীরের আস্তানায় মাইসা নামে (৭) এক শিশুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মাইসা ওই পীরের খাদেম ও উপজেলার রাউতি মৌগাঁও গ্রামের মানিক মিয়ার মেয়ে। শনিবার দুপুরে পুলিশ শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, উপজেলার তালজাঙ্গা দেওথানে প্রয়াত পীর বারী শাহের দরগার সামনে দীর্ঘদিন ধরে আস্তানা তৈরি করে পীরের দায়িত্ব পালন করছেন তারই মুরিদ লুৎফর রহমান। তার আস্তানায় বিভিন্ন এলাকার মুরিদরা বসবাস করেন। দরগার খাদেম মানিক মিয়া স্ত্রী ও দুই ছেলেমেয়ে নিয়ে ওই পীরের দরগায় থাকতেন। দরগা কর্তৃপক্ষ ও শিশুটির বাবা-মায়ের দাবি, দরগার ভেতর একটি খালি কক্ষে শুক্রবার সন্ধ্যার আগে মাইসাসহ দুই শিশু খেলা করছিল। মাইসা বউ সাজতে গিয়ে জানালার সঙ্গে একটি ওড়না বেঁধে এর এক পাশ গলায় জড়ায়। এ সময় সে পা পিছলে চৌকি থেকে পড়ে গেলে গলায় ফাঁস লেগে যায়। পরে শিশুটির বাবা-মা তাকে তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ব্যাপারে পীর লুৎফর রহমানের বক্তব্য জানা যায়নি। এদিকে পীরের আস্তানায় মেয়ে শিশুর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। প্রথমদিকে ঘটনাটিকে স্থানীয়ভাবে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার দুপুরে ঘটনাটি জানাজানি হলে পুলিশ শিশুটির লাশ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
×