ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

পুজোয় হাই অ্যালার্ট প্রশাসন

প্রকাশিত: ১৬:৫৮, ২৪ অক্টোবর ২০২০

পুজোয় হাই অ্যালার্ট প্রশাসন

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ করোনা ভাইরাস ঘিরে শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসবে মন্ডবে মন্ডবে ভিড়ঠেকাতে নীলফামারীতে হাই অ্যালার্ট রয়েছে প্রশাসন । একে করোনার আতঙ্ক, তার উপর বাধ সেধেছে আকাশ। আজ শনিবার দুপুর থেকে শুরু হয় ঝিমঝিম বৃষ্টি। চেনা ছন্দে দেখা যায়নি এবারের পুজা মন্ডবগুলো। সকলেই যেন সরকারি বিধিনিষেধ নিয়ে সজাগ। করোনার কারনেই নিরানন্দেই থাকছে বিজয়া-দশমী পর্যন্ত। করোনা আবহে সামাজিক দূরত্ববিধি সহ অন্যান্য সরকারি বিধিনিষেধ মানতে বদ্ধ পরিকর সাধারণ মানুষ। কোভিডের দাপটে সব উৎসব আবহে একের পর এক ধাক্কা। দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণের কারনে মন্ডব গুলোতে নেই বিশাল প্যান্ডেল বা তোরণ। সামনে জনস্রোতের উত্তাল ঢেউ নেই। কচিকাঁচাদের কোলাহল নেই। দর্শকদের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবকদের ধস্তাধস্তিও নেই। মন্ডপ গুলি সকাল থেকেই ছিল খালি। তবে মাস্ক পরিহিত তরুণ-তরুণীদের অনেককেই মন্ডপের সামনে দেখা গিয়েছে সেলফি- তুলতে। মন্ডবের প্রবেশ পথেই রয়েছে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা। প্রশাসন পুলিশের টহল ও নজরদারী চোখে পড়ার মতো। আজ শনিবার মহাঅষ্টমীর সন্ধিপুজা বাসাবাড়িতেই অনেকে সেরেছেন। আবার মন্ডবে মন্ডবে সেই পুজা সকাল ১১টার মধ্যে শেষ করে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে প্রসাদ বিতরন করা হয়। জেলা প্রশাসনের সূত্রমতে, নীলফামারী ছয় উপজেলা ও চার পৌরসভা এলাকায় দুর্গাপূজা হচ্ছে ৮৪১টি মন্ডপে। এরমধ্যে সদরে ২৭৩, ডোমার উপজেলায় ৯৮, ডিমলা উপজেলায় ৭৫, জলঢাকা উপজেলায় ১৭৫, কিশোরীগঞ্জ উপজেলা ১৪১, সৈয়দপুর উপজেলায় ৭৯টি মন্ডপ রয়েছে। এসব মন্ডপের পূজার খরচ নির্বাহের জন্য প্রতিটিতে ৫০০ কেজি করে মোট ৪২২ দশমিক ৫ মেট্রিকটন ত্রাণের চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
×