ভাড়া দিতে না পারায় ভাড়াটিয়াকে পিটিয়ে হত্যা

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ বন্দরের চৌধুরীবাড়ি এলাকায় বকেয়া বাসা ভাড়া নিয়ে বিরোধের জেরে ফয়েজ মিয়া (৪০) নামে এক ভাড়াটিয়াকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে। শুক্রবার বেলা ১১টায় উম্মে কুলসুমের বাড়িতে এ হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ শুক্রবার বিকেলে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতলের মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাড়ির মালিকসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। নিহত ভাড়াটিয়া ফয়েজ মিয়া মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানাধীন চরবলাকী গ্রামের আবুল মিয়ার ছেলে। রাত ৯টায় এ বিষয়টি নিশ্চিত করে বন্দর থানার ওসি মোঃ ফখরুদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, হত্যাকান্ডের বিষয়টি আমরা পরে জানতে পেরে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, চৌধুরী বাড়ির প্রধানবাড়ি এলাকার উম্মে কুলসুমের বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে ফয়েজ মিয়া তার স্ত্রী, সন্তানসহ বসবাস করছিলেন। করোনা মহামারীকালে কোথাও তেমন কাজ করতে না পারায় কর্মহীন হয়ে পড়েন ফয়েজ। ফলে বাড়ি ভাড়া ঠিকমতো পরিশোধ করতে না পারায় কয়েক মাসের ভাড়া বকেয়া থাকে। এই বকেয়া বাড়ি ভাড়া দ্রুত পরিশোধ করতে গত বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ির মালিক উম্মে কুলসুম ভাড়াটিয়া মোঃ ফয়েজ ও তার স্ত্রী রোজিনা বেগমকে চাপ দেন। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডাও হয়। এ ঘটনার জের ধরে শুক্রবার বেলা এগারোটায় বাড়ির মালিক উম্মে কুলসুম এবং অপর ভাড়াটিয়া মহিউদ্দিন ও তার স্ত্রী শিরিনা মিলে বকেয়া ভাড়া পরিশোধ করতে না পারলে এখনই বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিবে বলে ফয়েজ ও তার স্ত্রী রোজিনাকে গালমন্দ করে হুমকি দেয়। এ সময় উভয়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কিও হয়। এক পর্যায়ে বাড়ির মালিক উম্মে কুলসুম ও তার সহযোগী ভাড়াটিয়া মহিউদ্দিন ও তার স্ত্রী শিরিনা মিলে ফয়েজকে পিটিয়ে আহত করেন। এ অবস্থায় আহত ফয়েজ মাটিতে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে আশপাশের লোকজন এসে ফয়েজকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ সদরের জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।