ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

চাকরিজীবীদের প্রশিক্ষণ দেয় আইপিডিপি

প্রকাশিত: ২১:৫০, ২৪ অক্টোবর ২০২০

চাকরিজীবীদের প্রশিক্ষণ দেয় আইপিডিপি

২০১১ সালে এএফএম শিহাব উদ্দিনের হাত ধরে যাত্রা শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। একাডেমিক পড়াশোনার বাইরেও একজন চাকরিজীবীকে তার কর্মক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে অবদান রাখতে হয়। কোম্পানিতে নিজেকে আরও ভাল একটি পর্যায়ে নিতে যেতে প্রয়োজন হয় কিছু প্রফেশনাল সফটস্কিলের। সেসব স্কিলের উপরই বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম আয়োজন করে থাকে ইনস্টিটিউট অফ প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামস (আইপিডিপি ট্রেনিং)। আইপিডিপি ট্রেইনিংয়ের যাত্রা শুরু হয় চাকরি বাজারে একটি ভ্রান্ত ধারণাকে নির্মূল করার চ্যালেঞ্জ নিয়ে। প্রতিষ্ঠানটি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শিহাব উদ্দিন বলেন, ‘মানুষের মধ্যে চাকরি নিয়ে একটি অদ্ভুত ধারণা কাজ করে যে রেফারেন্স ব্যতীত চাকরি পাওয়া যায় না। কিন্তু আমি বেশ কয়েকটা জায়গায় চাকরি করে এবং দেশের চাকরির বাজার নিয়ে গবেষণা করে দেখলাম যে আসলে একটা কোম্পানি যতটা স্কিলড এমপ্লোয়ি চায়, ততটা পর্যাপ্ত এমপ্লোয়ি আমাদের দেশে নেই। আর এই স্কিলগুলোর ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করে তেমন কোন প্রতিষ্ঠানও দেশে তেমন ছিল না। সে জায়গা থেকেই আইপিডিপি ট্রেইনিং যাত্রা শুরু করে। দেশের চাকরির বাজার নিয়ে এই ভ্রান্ত ধারণা দূর করে পর্যাপ্ত স্কিলের মাধ্যমে একটা চাকরি প্রত্যাশীকে তার কাক্সিক্ষত চাকরির জন্য প্রস্তুত করার পাশাপাশি চাকরি করছে এমন মানুষদের আরও যোগ্য করার মাধ্যমে নিজ কর্মস্থলে আলাদা ভ্যালু তৈরি করার কাজটিই করে যাচ্ছি আমরা।’ আইপিডি ট্রেইনিংয়ের উল্লেখযোগ্য প্রশিক্ষণ কার্যক্রমগুলো হলো ইনকাম ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট (৫ সপ্তাহ, ১০ ক্লাস), নতুন ভ্যাট আইন এবং কাস্টমস ম্যানেজমেন্ট (৫ সপ্তাহ, ১০ ক্লাস), সাপ্লাইচেন ম্যানেজমেন্ট (৫ সপ্তাহ, ১০ ক্লাস), হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট (৫ সপ্তাহ, ১০ ক্লাস), ভ্যাট ম্যানেজমেন্ট (৫ সপ্তাহ, ১০ ক্লাস), প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট (৫ সপ্তাহ, ১০ ক্লাস), লিডারশিপ এ্যান্ড স্কিল ডেভেলপমেন্ট (৫ সপ্তাহ, ১০ ক্লাস), নিউজও প্রোগ্রাম উপস্থাপনা (৫ সপ্তাহ, ১০ ক্লাস), গ্রাফিক্স ডিজাইন (২ মাস, ১৬ ক্লাস) করোনাকালীন সময়ে যখন দেশের প্রায় সব ট্রেইনিং সেন্টার বন্ধ, প্রশিক্ষণ নিতে ইচ্ছুক মানুষগুলো যখন ঘরে বসে অলস সময় কাটাচ্ছিল, তখন আইপিডিপি ট্রেইনিং শুরু করে অনলাইন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম। গুগলমিট এবং জুম সফটওয়্যারের মাধ্যমে দেশের সেরা ট্রেইনারদের দিয়ে প্রায় ৫০০ জন প্রফেশনালকে প্রশিক্ষণ দিতে সক্ষম হয়েছে তারা। ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে শিহাবউদ্দিন বলেন, ‘করোনার মধ্যে অনেকে চাকরি হারিয়েছেন। দেশের চাকরির বাজারে সামনে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। এখানে টিকে থাকতে হলে প্রত্যেকটা মানুষকে শুধু একাডেমিক পড়াশোনাই নয়, নিজ কর্মক্ষেত্র সম্পর্কিত বেশ কিছু সফটস্কিল আয়ত্বে রাখতে হবে। আর সেজন্য প্রফেশনাল ট্রেইনিংগুলোর কোন বিকল্প নেই। আমরা মানুষের স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখতে, স্কিলের অভাবে কাউকে যেন চাকরি না হারাতে হয় সে জায়গাটিতে কাজ করছি এবং ভবিষ্যতেও করে যাব। আমরা ট্রেইনিং প্রোগ্রামগুলোকে নতুন আঙ্গিকে সাজাচ্ছি যেখানে আরও কম খরচে দেশের সেরা প্রফেশনাল ট্রেইনিং পাবে একজন শিক্ষার্থী!’www.ipdpbd.com অথবা ফোন করুন : ০১৩০২২৭২৫৬৪
×