ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

উইঘুর মুসলিমদের নিয়ে সোচ্চার কানাডা

প্রকাশিত: ১২:৫০, ২৩ অক্টোবর ২০২০

উইঘুর মুসলিমদের নিয়ে সোচ্চার কানাডা

অনলাইন ডেস্ক ॥ দীর্ঘ দিন ধরে জিনজিয়াং প্রদেশে বসবাসকারী উইঘুর মুসলিমদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছে চীন। জোর করে বন্দিশিবিরে আটকে রাখার পাশাপাশি উইঘুর নারীদের ওপর যৌন নিপীড়ন চালানোর অভিযোগও রয়েছে। এসবের প্রতিবাদে আবারও সোচ্চার হয়েছে কানাডা। উইঘুর মুসলিমদের নিয়ে চীনের নীতির কড়া সমালোচনা করা হয়েছে দেশটির সংসদীয় কমিটির প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়েছে, উইঘুরদের ধরে শিবিরে আটকে রাখা হয়, তাদের দিয়ে জোর করে কাজ করানো হয়। তারা সবসময় রাষ্ট্রের নজরদারিতে থাকেন। এছাড়া তাদের জোর করে জন্মনিয়ন্ত্রণও করা হয়। রিপোর্টে বলা হয়েছে, উইগুরদের বিরুদ্ধে চীন গণহত্যার নীতি নিয়েছে। তারা উইঘুরদের সংস্কৃতি ও ধর্ম মুছে দিতে চায়। এদিকে কানাডার এই প্রতিবেদনের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে চীন। বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়ে, এই প্রতিবেদন ভিত্তিহীন। কানাডা কখনোই চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। ওই এলাকার রাজনৈতিক স্থায়িত্ব, আর্থিক বৃদ্ধি, জাতিগত ঐক্য ও সামাজিক সৌহার্দ্যকে দেখেনি কানাডার সংসদীয় কমিটি। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, কানাডার এই প্রতিবেদন মিথ্যা ও ভুল তথ্যে ভরা। প্রতিবেতন থেকে বোঝা যাচ্ছে, কমিটির সদস্যরা এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না। সম্প্রতি কানাডা ও চীনের সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে চীনের এক বড় টেলিকম কোম্পানির প্রতিনিধিকে গ্রেফতার করে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেয় কানাডা। চীনও কানাডার এক সাবেক কূটনীতিক ও একজন ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। অক্টোবরের প্রথম দিকে কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, চীন ‘হোস্টেজ ডিপ্লোমেসি’ করছে। গত কয়েক মাসে আরও খারাপ হয়েছে দুই দেশের সম্পর্ক। চীনের মানবাধিকার ভঙ্গ, হংকং ও উইঘুরদের নিয়ে সোচ্চার হয়েছে কানাডা।
×