ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কেন্দ্রীয় ব্যাংক জোগান দিচ্ছে ৭৮ হাজার কোটি টাকা বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর টাকার প্রবাহ বেড়েছে প্রায় ৬০ হাজার কোটি

মূল্যস্ফীতি সহনীয় রাখার চ্যালেঞ্জ ॥ করোনায় প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন

প্রকাশিত: ২২:৩৫, ২৩ অক্টোবর ২০২০

মূল্যস্ফীতি সহনীয় রাখার চ্যালেঞ্জ ॥ করোনায় প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন

রহিম শেখ ॥ করোনাভাইরাস মহামারীতে দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে প্রায় সোয়া লাখ কোটি টাকার ২১টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে সরকার। এই প্রণোদনার অর্ধেকের বেশি অর্থ ঋণ হিসেবে ইতোমধ্যেই পেয়েছেন বিভিন্ন খাতের উদ্যোক্তারা। এরমধ্যে বড় খাতগুলোর প্রণোদনা বাস্তবায়ন সবচেয়ে বেশি হয়েছে। কিছুটা সহজ শর্তে এবং কম সুদে এই ঋণ পেয়েছেন উদ্যোক্তারা। এতে বাজারে টাকার প্রবাহজনিত কারণে আগামীতে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা করছেন অনেকেই। তবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ‘সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে ব্যাংকের মাধ্যমে যেসব টাকা বের হবে সেগুলো যাতে উৎপাদন খাতে ব্যবহৃত হয়। যাতে কোন অবস্থাতেই টাকার প্রবাহ উৎপাদন খাতের বাইরে বেশি না যায়। তাহলেই মূল্যস্ফীতি নমনীয় থাকবে। সরকারকে শক্ত একটা ম্যাসেজ দিতে হবে যে, বন্যায় ফসলের ক্ষতি হলেও কোনভাবেই দাম বাড়বে না। এর জন্য কঠোর সুপারভিশনের পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।’ করোনা মহামারীতে অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবেলায় গত ১২ এপ্রিল প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কয়েক দফায় ২১ প্যাকেজের মাধ্যমে ১ লাখ ১১ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকেই জোগান দেয়া হচ্ছে ৭৮ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে আমানতকারীদের জমা অর্থের নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকে টাকা জমা রাখার বিধি-বিধানেও ছাড় দেয়া হয়েছে। ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর টাকার প্রবাহ বেড়েছে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা। এরমধ্যে বড় খাতগুলোর প্রণোদনা বাস্তবায়ন সবচেয়ে বেশি হয়েছে। অর্থাৎ শিল্পঋণসহ বড় খাতগুলোতে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে ঋণ বিতরণ হয়েছে। কিছুটা সহজ শর্তে এবং কম সুদে এই ঋণ পেয়েছেন এসব খাতের উদ্যোক্তারা। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত আগস্ট পর্যন্ত বেসরকারী খাতে দেশে কার্যত সকল ব্যাংক ঋণ বিতরণ করেছে ১১ লাখ ১ হাজার ৬৭৫ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ে যা ছিল ১০ লাখ ৭ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা। এ হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে বেসরকারী খাতের ঋণ বিতরণ বেড়েছে ৯৪ হাজার ৩৭৭ কোটি টাকা বা ৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত অর্থবছরে টাকার প্রবাহ বেড়েছে ১২ দশমিক ৭ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে তা বাড়িয়ে ১৫ দশমিক ৬ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা দেয়া হয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতিতে। একই সঙ্গে আগামী জুনের মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঋণপ্রবাহ ১৯ দশমিক ৩ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। একই সময়ে বেসরকারী খাতে ঋণপ্রবাহ ৮ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৪ দশমিক ৮ শতাংশে উন্নীত করা হবে বলে মুদ্রানীতিতে উল্লেখ করা হয়। সম্প্রতি প্রকাশিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ ত্রৈমাসিক (মার্চ-জুন) প্রতিবেদনে বলা হয়, উন্নত ও উদীয়মান দেশগুলোর অর্থনীতি করোনার প্রভাব সীমিত করে লকডাউনের আওতা থেকে পর্যায়ক্রমে বেরিয়ে এসেছে। সচল হতে শুরু করেছে অর্থনৈতিক কর্মকা-। এর সঙ্গে সমন্বয় রেখে বাংলাদেশের অর্থনীতিও পুরোমাত্রায় সচলের দিকে এগুচ্ছে। তবে করোনার প্রভাব মোকাবেলা করতে সহজ শর্তে টাকার জোগান বাড়ানোর ফলে আগামী প্রান্তিকে পণ্যমূল্যের স্থিতিশীলতায় ঝুঁকি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বেড়ে যেতে পারে মূল্যস্ফীতির হার। এ পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘প্রবৃদ্ধির গতি বাড়ানো ও দামের স্থিতিশীলতার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মধ্যে নজরদারি বাড়াতে হবে। যাতে কোনক্রমেই টাকার প্রবাহ উৎপাদন খাতের বাইরে বেশি না যায়। একই সঙ্গে এসব এসব অর্থ অর্থনীতির মূল ধারায় ঘূর্ণায়মান থাকে।’ এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গবর্নর ড. আতিউর রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, মূল্যস্ফীতি বাড়ার পেছনে দুটি কারণ থাকে। এক. করোনার মধ্যে অর্থনীতি তার নিজস্ব ক্ষমতায় পৌঁছায়নি। যখন অর্থনীতি তার নিজস্ব ক্ষমতায় (ফুল ক্যাপাসিটিতে) পৌঁছাবে তখন মূল্যস্ফীতি তৈরি হওয়ার শঙ্কা থাকবে। করোনার মধ্যে অর্থনীতি তার নিজস্ব ক্ষমতায় এখনও পৌঁছায়নি। দুই. বিশ^্যাপী আমদানি মূল্য এখনও অনেক কম। যেসব পণ্য জাহাজে আমদানি হয়ে আসছে সেগুলোর মূল্য আগের তুলনায় অনেক কম। অর্থাৎ আমদানিকৃত পণ্য যেমন কম আসছে, ঠিক তেমনি আমদানি ব্যয়ও কম হচ্ছে। সুতরাং আমদানি পণ্যের বিপরীতে মূল্যস্ফীতি বাড়ার আশঙ্কা কম দেখা যাচ্ছে। ড. আতিউর রহমান বলেন, ‘যদি আমদানি ব্যয় বেশি হতো তাহলে ডলারের দাম বেড়ে যেত। আর ডলারের দাম যদি বেড়ে যায় তাহলে আমদানি ব্যয়ও বেড়ে যাবে। এতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা থাকে। কিন্তু করোনার এই সময়ে আমরা উল্টো চিত্র দেখছি। ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার বিপরীতে কমে যাচ্ছে। টাকার দাম বেড়ে যাচ্ছে। সেজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক বাজার থেকে ডলার কিনে নিচ্ছে। ডলার কিনে নেয়ার ফলে ব্যাংকিং খাতে তারল্য আরও বাড়ছে। অর্থাৎ মার্কিন ডলারের বিপরীতে মূল্যস্ফীতি ক্রমান্বয়ে কমছে।’ মূল্যস্ফীতি বাড়ার পেছনে আরও একটি কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এবার অসময়ে (অক্টোবর মাসে) একটা বন্যা এসেছে। এই বন্যায় উত্তরাঞ্চলে বিশেষ করে আমন ধান উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এই বন্যা যদি আরও দীর্ঘস্থায়ী হয় তাহলে আমন ধান উৎপাদন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। একই সঙ্গে আমন ধানের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। যদিও কৃষকের কাছে বোরো ধান আছে। কিন্তু সরকারের কাছে প্রচুর পরিমাণে বোরো ধান নেই। যেটা আছে মিল মালিকের কাছে। বন্যায় আমন ধানের সঙ্কটে মিল মালিকরা বোরো ধানের দাম বাড়িয়ে সুযোগ নিতে পারে। যদিও ইতোমধ্যে সরকার বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ইতোমধ্যে চাল আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্ক কমানো হয়েছে। যাতে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকে। এখন সরকারের উচিত পর্যাপ্ত পরিমাণে চাল আমদানি করে রাখা। এছাড়া ব্যক্তিখাতে যারা চাল আমদানি করছেন তাদের কঠোরভাবে মনিটরিং করা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকও চাল আমদানিতে এলসি খুলতে বেশ কিছু সুযোগ দিয়েছে। এলসি কিভাবে, কোন ব্যাংকে, কোন শাখায় খোলা হয়েছে, কবে আসবে তা কঠোরভাবে তদারকি করতে হবে সংশ্লিষ্ট সকল দফতরকে। যাতে করে একটা সঙ্কেত দিতে হবে সরকারকে যাতে আমন ধান সঙ্কট হলেও চালের দাম সহনীয় মাত্রায় থাকবে। সরকারকে শক্ত একটা ম্যাসেজ দিতে হবে যে, সরকারী-বেসরকারী পর্যায়ে চাল আমদানির মাধ্যমে কোনভাবেই দাম বাড়বে না।’ তিনি বলেন, ৪ দফা বন্যায় সবজি চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সবজি চাষ বাড়াতে খাদ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দফতরকে এখনি প্রস্তুতি নিতে হবে। বিশেষ করে আগামী শীত মৌসুমকে প্রাধান্য দিয়ে ব্যাপকভাবে সবজি, মাছ চাষ বাড়াতে হবে। পতিত জমি কোনভাবে খালি রাখা যাবে না। তাহলে মূল্যস্ফীতি কোনভাবেই বাড়বে না। বরং নমনীয় পর্যায়ে থাকবে। গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান মনসুর জনকণ্ঠকে বলেন, নানা বাধা-বিপত্তি সত্ত্বেও গত কয়েক বছর ধরে দেশে ফসলের ভাল ফলন হয়েছে। বিশ্ববাজারেও জ্বালানি তেল ও খাদ্যপণ্যের দাম কম ছিল। সে কারণে দেশে মূল্যস্ফীতিও লাগামের মধ্যেই ছিল। অর্থনীতির পরিভাষায়, বাজারে টাকার প্রবাহ বাড়লে চাহিদা তৈরি হয়। তখন স্বাভাবিক নিয়মে পণ্যের ওপর চাপ পড়ে। এতে দাম বেড়ে যায়। ফলে বাড়ে মূল্যস্ফীতির হার। এতে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার ওপর বাড়তি চাপ পড়ে। বাজারে ইতোমধ্যে চাল, ডাল, আটা, শাকসবজি, মাছ, মাংসসহ প্রায় সব পণ্যের দাম বেড়েছে। করোনার কারণে সরবরাহ চেন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া, বন্যার প্রভাব ও কারসাজির কারণে এগুলোর দাম বেড়েছে। এর সঙ্গে টাকার প্রবাহ বাড়ানোর বার্তাটি কাজ করেছে। জানতে চাইলে বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্টের (বিল্ড) ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপার্সন ও এ কে খান এ্যান্ড কোম্পানির পরিচালক আবুল কাসেম খান জনকণ্ঠকে বলেন, ‘করোনায় যে অর্থনৈতিক ক্ষতি হচ্ছে, তা থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে সময় লাগবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা বাস্তবায়ন এবং উৎপাদন কার্যক্রম ও কৃষি খাত চাঙ্গা থাকলে অর্থনীতি শক্তভাবে এগিয়ে যাবে। এতে সাময়িক সময়ের জন্য পণ্যের দাম বাড়লে মূল্যস্ফীতি বাড়বে না। তিনি বলেন, বন্যায় ফসলের ক্ষতি হওয়ার কারণে কৃষিপণ্যের দাম কিছুটা বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। জানা গেছে, দেশে গত কয়েক বছর ধরে অর্থনীতির অন্যতম প্রধান সূচক মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়েই রয়েছে। ২০০৭-০৮ অর্থবছরে সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১২ দশমিক ৩০ শতাংশে উঠেছিল। এরপর থেকে তা নিম্নমুখী। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৭ দশমিক ৯১ শতাংশ। ২০১১-১২ অর্থবছরে ছিল ৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ। ২০১২-১৩ অর্থবছরে তা কমে ৬ দশমিক ৭৮ শতাংশে নেমে আসে। এপর থেকে মূল্যস্ফীতি ৫ থেকে ৬ শতাংশের মধ্যেই রয়েছে। গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ। করোনার মধ্যেও নমনীয় ছিল মূল্যস্ফীতি ॥ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ হিসাব মতে, গত সেপ্টেম্বর মাসে মাসওয়ারি ভিত্তিতে ৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছে। টানা তিন মাস ধরেই মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। মূল্যস্ফীতির হার গত আগস্ট মাসে ছিল ৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ। তবে মূল্যস্ফীতির নিম্নমুখী প্রবণতা দিয়ে শুরু হয় অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই। ওই মাসে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ। জুন মাসে সার্বিকভাবে ১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ। মে মাসে আরও একটু কমে এ হার ছিল ৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এপ্রিল মাসে করোনার ধাক্কায় সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়ায় ৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ। করোনার প্রকোপ সামলাতে মার্চের শেষ দিকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পণ্যমূল্যের স্থিতিশীলতায় নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ বাংলাদেশ ব্যাংকের ॥ করোনার প্রভাব মোকাবেলা করতে সহজ শর্তে টাকার জোগান বাড়ানোর ফলে আগামী প্রান্তিকে পণ্যমূল্যের স্থিতিশীলতায় ঝুঁকি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বেড়ে যেতে পারে মূল্যস্ফীতির হার। দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে এ আশঙ্কার কথা ব্যক্ত করা হয়েছে। এডিবির মতে চলতি বছর মূল্যস্ফীতি হতে পারে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ ॥ চলতি অর্থবছরে (২০২০-২০২১) বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি হতে পারে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। গত মাসে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) তাদের ‘এশীয় ডেভেলপমেন্ট আউটলুক (এডিও) ২০২০’ এর হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। যদিও এর আগে গত ১৮ জুন এডিবি তাদের এক পূর্বাভাস প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি হতে পারে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। অর্থাৎ মূল্যস্ফীতির উন্নতি হয়েছে দশমিক ১ শতাংশ। বাংলাদেশে নিযুক্ত এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ বলেছেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি করোনার প্রভাব কাটিয়ে উঠছে।
×