ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নিরাপদ সড়ক দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী

ড্রাইভারদের ডোপ টেস্টের নির্দেশ

প্রকাশিত: ২২:২৯, ২৩ অক্টোবর ২০২০

ড্রাইভারদের ডোপ টেস্টের নির্দেশ

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরাপদ সড়ক প্রতিষ্ঠায় ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানে ঘুষ-দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং চালকের মাদকাসক্ত হয়ে গাড়ি চালানো বন্ধে প্রয়োজনে চালকদের ডোপ টেস্ট করানোর ব্যবস্থা নিতে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে দুর্ঘটনা ঘটলেই আইন হাতে তুলে নেয়ার মানসিকতা পরিহার এবং সবাইকে ট্রাফিক আইন মেনে চলার আহ্বানও পুনর্ব্যক্ত করেছেন তিনি। জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস-২০২০ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী পথচারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা শুধু ড্রাইভারদের কথা বলি, ড্রাইভারদের দোষ দেই। শুধু ড্রাইভারদের দোষ দিলে হবে না, পথচারীদেরও সচেতন থাকতে হবে। সেখানে সচেতনতার খুবই অভাব। আমরা মুখে খুব বলে টলে যাই, কিন্তু কাজের বেলা আমরা কি দেখি? পাশেই ফুটওভার ব্রিজ, রাস্তার মধ্যখান দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। একটা গাড়ি আসছে একটু হাত দেখিয়েই হাঁটা দিল।’ তিনি বলেন, এটা একটা যান্ত্রিক ব্যাপার। ব্রেক কষলেও সেটা থামতে কিন্তু কিছু সময় লাগে। হাত দেখালেই থেমে যেতে পারে না। সে কথাটায় সবাইকে সচেতন করতে হবে। সেটা প্রচার করতে হবে, বলতেও হবে, মানুষকে জানাতে হবে। আর দুর্ঘটনা ঘটলেই চালককে সব দোষ দিয়ে তাকে প্রহার করা বা প্রহার করতে করতে মেরে ফেলার মতো আইন হাতে তুলে নেয়ার যে সংস্কৃতি দেশে রয়েছে, তা সবাইকে ত্যাগ করতে হবে। মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানের সময় ভালভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে। যেন ভালমতো সে ড্রাইভিংটা জানে কি না বা টাকা দিয়ে যেন কেউ ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে না পারে- সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আরেকটা বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে, যারা গাড়ি চালাচ্ছে তারা মাদক সেবন করছে কি না। ডোপ টেস্ট বা মাদক সেবনের বিষয়ে পরীক্ষা করা দরকার। প্রতিটি ড্রাইভারের এই পরীক্ষাটা একান্তভাবে অপরিহার্য। প্রধানমন্ত্রী নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতে যত্রতত্র রাস্তা পারাপার বন্ধের আহ্বান জানিয়ে ট্রাফিক আইন মেনে চলারও পরামর্শ দেন। চালকদের জন্য সড়কের পাশে বিশ্রামাগার তৈরির পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে জানিয়ে তাদের ভালমন্দ দেখতে মালিকদের প্রতি অনুরোধ রাখেন। তিনি বলেন, প্রাইভেট সেক্টর বা সরকারী সবাইকে বলব আপনারা যদি স্পট ঠিক করে রাখেন, এই ড্রাইভারটা কত মাইল গাড়ি চালাবে, তারপর সে সেখানে বিশ্রাম নেবে। ওখানে অলটারনেটিভ ড্রাইভার থাকবে। এইভাবে যদি আমরা ব্যবস্থা করতে পারি আমাদের দুর্ঘটনা আরও কমে যাবে। তিনি চালকদের ওভারটেক করার প্রবণতাও বন্ধের আহ্বান জানান। দেশে ট্রাফিক আইন মেনে চলার বিষয়ে নাগরিক সচেতনতাটা আমাদের খুব বেশি প্রয়োজন উল্লেখ করে উদাহরণ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্যক্তির নিজের ভুলে সে দুর্ঘটনার শিকার হলেও অনেক সময় অহেতুক চালককে, সরকারকে বা সড়ককে দোষ দেয়া হয়। তা নিয়ে আন্দোলন হয় এবং সরকারের পদত্যাগও দাবি করা হয়, যদিও প্রকৃত দোষটা কার সেটা বিবেচনা করা হয় না। তাই ট্রাফিক আইন মেনে চলা এটা সকলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। ছোট বাচ্চাদের থেকে শুরু করে স্কুল পর্যায়ের প্রত্যেক জায়গাতেই এই ট্রাফিক আইন সম্পর্কে শিক্ষা দেয়া দরকার। প্রধানমন্ত্রী এ সময় স্কুল পর্যায়ে এবং অফিস আদালতে সকলের জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য পোস্টারিং করে জনসচেতনতা সৃষ্টির ওপরও গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে বিশেষ নজর দেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে আহ্বান জানাচ্ছি। সচেতনতার অভাব দুর্ঘটনা ঘটনার উদাহরণ দিয়ে গাড়ি চালকদের দোষ দেয়ার প্রবণতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, কেন ড্রাইভারকে দোষ দেব? দোষ তো ওই মায়ের, যে বাচ্চাকে নিয়ে যাচ্ছে বা আরেকজন বাবা দেখলাম বুকের মধ্যে বাচ্চাকে নিয়ে যেখানে রাস্তায় গ্রিল দেয়া, গ্রিলের ওপর শার্পইয়ে দেয়া, সেটা পার হয়ে যাচ্ছে। একটু পা পিছলালে ওই শার্প নেইলটাতে বাচ্চা একদম ফুটো হয়ে যাবে। তাই কাকে দোষ দেবে? সড়কের দোষ, সরকারের দোষ, আন্দোলন হবে সরকারের বিরুদ্ধে, কিন্তু দোষটা কার সেটা আর দেখবে না। এসব বিষয়ে নাগরিক সচেতনতা আমাদের দেশে খুব বেশি প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। সড়ক এবং জনপদ বিভাগের সচিব মোঃ নজরুল ইসলাম স্বাগত বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মোঃ একাব্বর হোসেন এবং বনজীর আহমেদ, এমপি সংযুক্ত ছিলেন। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে রাজধানীর বনানীর বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) ভবন মিলনায়তনে মূল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এছাড়া রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল এবং ফুলবাড়িয়া বাস টার্মিনালসহ কয়েকটি স্থানে বড় পর্দার মাধ্যমে গাড়ি মাালিক এবং চালকবৃন্দ এই ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানটি প্রত্যক্ষ করেন। টানা চতুর্থবারের মতো এ বছর দেশে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উদযাপিত হচ্ছে। এবারের জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘মুজিববর্ষের শপথ, সড়ক করবো নিরাপদ।’ প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে ড্রাইভিং লাইসেন্সের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, অনেক সময় ড্রাইভার হেলপারের কাছে গাড়ি ছেড়ে দিয়ে একটু বিশ্রাম করতে চায়, তারপরেই দুর্ঘটনা ঘটে। অনেক সময় দেখা যায় ড্রাইভার এত ক্লান্ত থাকে যে, সে ঘুমিয়ে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটে। তাই যারা হেলপারের কাজ করেন আমি মনে করি তাদেরও একটু প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে। তাদেরও যেন গাড়ি সম্পর্কে এবং গাড়ি চালনা সম্পর্কে প্রশিক্ষণ থাকে। পাশাপাশি, গাড়ির ফিটনেস বজায় রাখাটাও খুব দরকার। শেখ হাসিনা বলেন, গাড়ির ফিটনেস পরীক্ষাটা যেন নিয়মিত হয়, সেজন্য যেমন ব্যবস্থা নিতে হবে তেমনি চালকদের জন্য নির্দিষ্ট সময় পর বিশ্রামের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রাইভেট গাড়ি চালনার ক্ষেত্রেও তিনি নির্দিষ্ট সময়ের পরে চালকের বিশ্রাম এবং আহারের ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেন এবং তাঁর সরকার পর্যায়ক্রমে সকল সড়কের (মহাসড়ক) পাশে বিশ্রামাগার নির্মাণ করবে বলেও উল্লেখ করেন। পর্যায়ক্রমে সারাদেশে চালকদের জন্য বিশ্রামাগারের ব্যবস্থা করে যাচ্ছে সরকার এবং অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির আবেদন গ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, এই ড্রাইভিং শিক্ষাটাকে জেলা-উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত নিয়ে যেতে হবে এবং সবাইকে (চালক) ড্রাইভিং শিক্ষাটা দিতে হবে। অনলাইনেও শিক্ষানবিস ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী এ সময় ওভারটেকিং থেকে বিরত থাকার চন্য চালকদের পরামর্শ দিয়ে বলেন, চালকদের মধ্যে একটা প্রবণতা রয়েছে ওভারটেক করা। একটা গাড়ি সামনে চলে গেছে, বেহুশ হয়ে সেই গাড়িটিকে ওভারটেক করতে গিয়েই কিন্তু দুর্ঘটনা ঘটায়। এই প্রবণতাটাও বন্ধ করতে হবে। গাড়িচালকদের নির্দিষ্ট গতিসীমা ও আইন মেনে নিরাপদে যানবাহন চালাতে হবে। তিনি ওভারটেকিং এবং ওভার স্পিড প্রতিরোধে সড়ক-মহাসড়কে স্পিডো মিটার লাগানোর বিষয়েও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে চিন্তা-ভাবনার পরামর্শ দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সড়ক নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দিয়ে তাঁর সরকার দেশের ২১টি স্থানে একমুখী ও উভয়মুখী মিলে মোট ২৮টি ‘এক্সেল লোড কন্ট্রোল স্টেশন’ স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সারাদেশে সড়ক নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠায় তাঁর সরকারের প্রচেষ্টার বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপের চৌম্বক অংশ তুলে ধরে তিনি বলেন, তাঁর সরকার সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে ‘ন্যাশনাল রোড সেফটি স্ট্রাটেজিক এ্যাকশন প্লান-২০১৭ থেকে ২০২০ প্রণয়ন করেছে। তিনি বলেন, তাঁর সরকার ‘এসডিজি’-এর রোড সেফটি সংক্রান্ত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ‘এসডিজি এ্যাকশন প্লান’ বাস্তবায়ন করছে। এছাড়া তাঁর সরকারের ‘জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিল গঠন’, ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮,’ এর বাস্তবায়নের উদ্যোগ, ফিটনেস ও ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান এবং ড্রাইভারদের প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য ৬৪ জেলায় ‘ভেইকেল ইন্সপেকশন সেন্টার (ভিআইসি) স্থাপন করছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সারাদেশের মহাসড়কে ১৪৪টি ব্লাকস্প্ট চিহ্নিত করে দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থান ও বাজার এলাকায় রোড ডিভাইডার স্থাপনসহ বাঁক সরলীকরণ, রোড মার্কিং, সাইন-সিগনাল ইত্যাদি স্থাপন করা হয়েছে। একইসঙ্গে দেশের ২২টি মহাসড়কে সব ধরনের থ্রি-হুইলার চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা দেশ ধ্বংস এবং ষড়যন্ত্রের রাজনীতির জন্য বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের অগ্নিসন্ত্রাসসহ নানা ধ্বংসাত্মকমূলক কর্মকা-ের কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, তাঁর সরকার ’৯৬ সালে সরকারের এসেই বিআরটিসির জন্য ১ হাজার নতুন বাস ক্রয় করেছিল, পরবর্তীতে ২০০৮ সালে সরকার গঠনের পর সেগুলোর আর হদিস মেলেনি। আবার বিআরটিসির জন্য নতুন বাস ক্রয় করা হলেও বিএনপি জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসের শিকার হয়ে ৬শ’ বিআরটিসি বাস, ট্রাক এবং প্রাইভেটকারসহ প্রায় সাড়ে ৩ হাজার যানবাহন ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। আমরা কষ্ট করে কিনে নিয়ে আসি মানুষের সুবিধার জন্য, আর তা তারা (বিএনপি-জামায়াত) ধ্বংস করে আন্দোলনের নামে, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে। ঢাকা এবং চট্টগ্রামে মেয়েদের জন্য ২২টি বাস সার্ভিস সুনির্দিষ্ট করে দিয়েছে তাঁর সরকার উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ছাত্রছাত্রীদের ব্যবহারের জন্য ১৮৮টি বাস প্রদান করা হলেও অনেক স্কুলের মাঝে সরকারী বাস গ্রহণের আগ্রহ দেখা যায়নি। তিনি অভিযোগ করেন, স্কুল পর্যায়ে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহারের সুযোগ থাকলেও অনেক অভিভাবকই তাঁদের অর্থের শো-আপের জন্য পুত্র-পোষ্যকে বিলাসবহুল গাড়িতে করে বিদ্যালয়ে পাঠায়, যেটা এক ধরনের অহমিকাবোধ এবং এই অহমিকা একদিকে যেমন তাঁর সন্তানের ক্ষতি করছে, তেমনি দেশে যানজটও বাড়াচ্ছে। তিনি বলেন, মানুষের আর্থিক সচ্ছলতা আরও বাড়ুক, গাড়ি কেনার ক্ষমতা বাড়ুক- সে ধরনের সুযোগ আমরা করে দিচ্ছি। তারপরেও আমি বলব, ছেলেমেয়েকে সেভাবেই শিক্ষা দেয়া উচিত, একই স্কুলে পড়লে তারা যেন ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান না করে মানুষকে মানুষ হিসেবেই দেখে। কারণ সম্পদের অহমিকা করে লাভ নেই। আর তা নিশ্চয়ই এই করোনাভাইরাস আসার পর মানুষ সেই শিক্ষা পেয়েছে । তিনি বলেন, অর্থ থাকলেই সব সুবিধা ভোগ করা যায় না বা সবকিছু করা যায় না, তার থেকেও শক্তিশালী কিছু থাকে। এই করোনাভাইরাস আমাদের সেই শিক্ষাটা দিয়ে যাচ্ছে। করোনার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসে সবাইকেই স্বাস্থ্য রক্ষার নিয়ম মেনে চলতে হবে। করোনার সেকেন্ড ওয়েভ সম্পর্কে সকলকে সচেতন করে বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহারের তাগিদ দেন এবং সিনথেটিকের পরিবর্তে স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং সহজলভ্য বিবেচনা কাপড়ের মাস্ক ব্যবহারেরই পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে তিনি গাড়ি চালানোর সময় চালকদেরও মাস্ক ব্যবহারের আহ্বান জানান। দেশের সড়ক ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সড়ক নির্মাণের ক্ষেত্রে আমি অনুরোধ করব, সড়ক যোগাযোগে যেমন নিরাপত্তা প্রয়োজন, সেই সঙ্গে সড়ক নির্মাণ করার সময় আমাদের প্রাকৃতিক ভারসাম্যটা যেন বজায় থাকে সেটার দিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে কালভার্ট করতে হয়, ব্রিজ করতে হয়। তিনি বলেন, আমাদের মাটি হচ্ছে দোআঁশ মাটি। এই মাটিতে কোন কিছু তৈরি করতে গেলে কিন্তু খরচ অনেক বেশি। সড়ক নির্মাণের সময় অনেকে প্রশ্ন তোলেন অমুক দেশে এত কম তাহলে আমাদের দেশে কেন এত বেশি। তাদের অনুরোধ করব আমাদের মাটিটা আপনারা একটু পরীক্ষা করে দেখবেন। আর যে দেশের কথা বলবেন তাদের মাটিটাও পরীক্ষা করে আপনারা দেখবেন যে সেখানে সড়ক নির্মাণ করতে কত খরচ হয় আর আমাদের দেশে কত খরচ হয়। কাজেই এগুলোও কিন্তু আমাদের বিবেচনা করতে হবে। অহেতুক দোষ দিলে হবে না। বাস্তবতাটাও মেনে নিতে হবে।
×