ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মানবতাবিরোধী অপরাধ ॥ কায়সারের মৃত্যু পরোয়ানা জারি

প্রকাশিত: ১৩:২৮, ২২ অক্টোবর ২০২০

মানবতাবিরোধী অপরাধ ॥ কায়সারের মৃত্যু পরোয়ানা জারি

অনলাইন রিপোর্টার ॥ একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতা ও সাবেক কৃষি প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার সাঈদ আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, গতকাল বুধবার দুপুর ৩টার পর আমরা রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি পেয়েছি। আজ মৃত্যু পরোয়ানা পাঠিয়েছি। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর এই পরোয়ানা পাঠানো হয়। এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতা ও সাবেক কৃষি প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারকে ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ড সাজা বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেন সুপ্রিমকোর্ট আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ রায় দেন। প্রসঙ্গত, জাতীয় পার্টির(জাপা) নেতা সাবেক কৃষি প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার খালাস চেয়ে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। আপিলে ট্রাইব্যুনালের রায় বাতিলের পাশাপাশি তাকে বেকসুর খালাস দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। ২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর তৎকালীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আদালত কায়সারকে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করে রায় দেন। গণহত্যার একটি, হত্যা, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ১৩টি ও ধর্ষণের দুটিসহ মোট ১৬টি অভিযোগ তার বিরুদ্ধে আনা হয়। এর মধ্যে ১৪টি ট্রাইব্যুনালের রায়ে প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে ৩, ৫, ৬, ৮, ১০, ১২ ও ১৬ নম্বর অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। দেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে ধর্ষণে সহযোগিতায় মৃত্যুদণ্ড সাজার এটাই প্রথম নজির। এছাড়া ১, ৯, ১৩ ও ১৪ নম্বর অভিযোগে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও ২ নম্বর অভিযোগে ১০ বছর, ৭ নম্বরে সাত বছর ও ১১ নম্বরে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ৪ ও ১৫ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ অভিযোগগুলোতে কোনও সাজা দেওয়া হয়নি তাকে। পরে ২০১৫ সালের ১৯ জানুয়ারি সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় তিনি খালাস চেয়ে আপিল করেন। আপিলে খালাসের আরজিতে ৫৬টি যুক্তি তুলে ধরা হয় এবং ৫০ পৃষ্ঠার মূল আপিলের সঙ্গে প্রয়োজনীয় নথি সংযুক্ত করা হয়।
×