ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে তামিম-নাজমুল

প্রকাশিত: ২৩:৩৯, ২১ অক্টোবর ২০২০

ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে তামিম-নাজমুল

মোঃ মামুন রশীদ ॥ আর মাত্র একটি ম্যাচ। বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের ফাইনালে কোন দুটি দল খেলবে তা নিশ্চিত হবে আজ। ৩ দলের এই ওয়ানডে সিরিজে রাউন্ড রবিন লীগপর্বের সর্বশেষ ম্যাচে আজ মুখোমুখি হচ্ছে তামিম একাদশ ও নাজমুল একাদশ। ৪ পয়েন্ট আর সবচেয়ে ভাল রানরেট নিয়ে ইতোমধ্যে ফাইনালে এক পা দিয়েই রেখেছে নাজমুল একাদশ। কিন্তু অনিশ্চয়তায় পরিপূর্ণ ক্রিকেটে কোনকিছুই ফলাফলের আগে নিশ্চিত হয় না। তাদের ফাইনাল না খেলাটাই এক প্রকার অসম্ভব। সে জন্য অনেক বড় ব্যবধানের পরাজয়টাই শুধু ছিটকে দিতে পারে তাদের। সেক্ষেত্রে ফাইনাল খেলবে তামিম একাদশ ও মাহমুদুল্লাহ একাদশ। তবে তামিমরা যে কোন ব্যবধানে হারলেই বাদ পড়বে। কারণ মাহমুদুল্লাহদের রানরেট তামিমদের চেয়ে খারাপ হলেও পয়েন্ট ৪। সে জন্য ন্যূনতম ব্যবধানে হলেও জিততেই হবে তামিম একাদশকে। জিতলেই শুধু ফাইনালে পা রাখবে তারা। নাজমুল একাদশের লক্ষ্য বড় পরাজয় এড়ানো, কারণ স্বল্প ব্যবধানে হারলেও রানরেটের কারণে ফাইনালে উঠবে তারা। গুরুত্বপূর্ণ এ ম্যাচটি আজ বেলা ১টা ৩০ মিনিটে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মাঠে গড়াবে। নাজমুল একাদশ আছে সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে। তারা ৩ ম্যাচের ২টিতেই জয় তুলে নিয়ে ৪ পয়েন্ট অর্জন করার পাশাপাশি রানরেটও খুব ভাল রাখতে পেরেছে। মূলত মাহমুদুল্লাহ একাদশকে দ্বিতীয় সাক্ষাতে ১৩১ রানের বিশাল ব্যবধানে বিধ্বস্ত করেই তাদের রানরেট অন্য দুই দলের চেয়ে বেড়ে গেছে অনেক বেশি। আর সেটাই তাদের ফাইনালে ইতোমধ্যে এক পা দেয়ার অবস্থানে রেখেছে। আর সেই পরাজয়টাই মাহমুদুল্লাহ একাদশের অবস্থানকে খারাপ করে দিয়েছে। যদিও তারা ইতোমধ্যে রাউন্ড রবিন লীগ শেষ করে অপেক্ষায় আছে আজকের ম্যাচটার ফলাফলের জন্য। কারণ তামিম একাদশ হেরে গেলেই একমাত্র স্বস্তিদায়ক কোন খবর মিলতে পারে তাদের জন্য। সেক্ষেত্রেই শুধু ফাইনাল খেলার সুযোগটা আসবে তাদের। কিন্তু তামিমরা জিতে গেলে কোন সুযোগই নেই। অভাবনীয় বিশাল ব্যবধানে তামিমরা জিতলেই শুধু সুযোগ আসতে পারে। সে জন্য মাহমুদুল্লাহ একাদশ চাইবে আজ তামিমদের পরাজয়। এখন পর্যন্ত চলতি আসরে ৩ দলের পারফর্মেন্স বিবেচনা করলে অবশ্য নাজমুল একাদশই সবচেয়ে ভাল করেছে। বাকি দুই দলই তেমন চোখে লাগার মতো পারফর্মেন্স দেখাতে পারেনি। যদিও নাজমুল একাদশ প্রথম সাক্ষাতে ৪২ রানে হেরে গিয়েছিল তামিমদের কাছে। তবে সেই ম্যাচটি ছাড়া বাকি দুই ম্যাচেই মাহমুদুল্লাহ একাদশের কাছে হার দেখেছে তারা। দুই দলের জন্যই বড় দুশ্চিন্তার কারণ হচ্ছে টপঅর্ডারদের ব্যর্থতা। তামিম একাদশের অধিনায়ক তামিম ইকবাল, তরুণ তানজিদ হাসান তামিম, এনামুল হক বিজয়, মোহাম্মদ মিঠুনরা ব্যাট হাতে পুরোপুরিই ব্যর্থ। এরপরও এই লাইনআপ পরিবর্তন করার তেমন কোন সুযোগ নেই। যদিও আজ এই ৪ জনের মধ্যে একজন একাদশের বাইরে চলে যেতে পারেন। গত ম্যাচে ইয়াসির আলী রাব্বি ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন। তারা থাকছেন আজও একাদশে। লেটঅর্ডারে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মেহেদী হাসান। এ রকমই হওয়ার কথা ব্যাটিং অর্ডার। অন্যদের মতো তামিমদেরও বোলিং নিয়ে কোন সমস্যা নেই। নাজমুল একাদশের টপঅর্ডাররাও রান পাননি পুরো আসরে। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত তো পুরোপুরিই ব্যর্থ। এছাড়া সৌম্য সরকার, সাইফ হাসান, পারভেজ হাসান ইমনরা সুবিধা করতে পারেননি। তবে আফিফ হোসেন ধ্রুব রানে ফিরেছেন এটা তাদের জন্য স্বস্তির। সেই সঙ্গে বেশ ভাল ব্যাট করছেন মুশফিকুর রহিম, তৌহিদ হৃদয়, ইরফান শুক্কুর। তাদের সঙ্গে বাকিরা ফর্মে ফিরলে নাজমুল একাদশের জয় ঠেকানো কঠিন হবে তামিমদের। সঙ্গে দুর্দান্ত বোলিং আক্রমণ আছে। তবে মিরপুরের উইকেট ব্যাটসম্যানদের জন্য কিছুটা সহায়ক হতে শুরু করেছে। ব্যাটসম্যানরা কিছুটা ধাতস্থও হয়ে উঠেছেন। তাই হাড্ডাহাড্ডি এক লড়াইয়ের আশা আজ।
×