ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ধর্ষকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়তে হবে ॥ ইন্দিরা

প্রকাশিত: ২৩:২৯, ২১ অক্টোবর ২০২০

ধর্ষকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়তে হবে ॥ ইন্দিরা

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, শুধু আইন নয়, ধর্ষকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি তিনি, চিকিৎসা, মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ও আইনী সহায়তাসহ নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুদের পাশে থাকাতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন। মঙ্গলবার ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমির সভাকক্ষ থেকে ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের মাঠ পর্যায়ের চারটি বিভাগের বত্রিশ জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের মহাপরিচালক পারভীন আকতারের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক সচিব কাজী রওশন আক্তার, অতিরিক্ত সচিব ড. মহিউদ্দিন আহমেদ ও যুগ্মসচিব মোঃ মুহিবুজ্জামানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালকবৃন্দ। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ধর্ষকরা বিকৃত মস্তিস্ক, কা-জ্ঞানহীন বিবেকবর্জিত ও মানসিক বিকারগ্রস্ত। এদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। ধর্ষকেরা যে পাড়া বা মহল্লায় থাকে, কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে থাকলে বা কোন পিতা মাতার সন্তান ধর্ষক হলে তাদের সমাজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও পরিবার থেকে ঘৃণা, বর্জন এবং বিতাড়িত করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা। মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা এদেশের নারীদের ধর্ষণ করেছিল তাদের নিয়ে জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে সরকার গঠন করে এদেশে ধর্ষণ ও নির্যতনের বীজ বপন করে। তারই ধারাবাহিকতায় তার স্ত্রী খালেদা জিয়া ২০০১ সালে নীল নক্সার নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে তাদের দলের লোকেরা পূর্ণিমা ও ফাহিমাসহ অসংখ্য নারীকে ধর্ষণ করে। তারা সেসময় বিচারও পায় নাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই এদেশ থেকে ধর্ষকদের মূলোৎপাটন হবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন ইতোমধ্যে ধর্ষণ প্রতিরোধে দেশে মৃত্যুদ-ের বিধান রেখে অধ্যাদেশ জারি হয়েছে এবং অতি অল্পসময়ের মধ্যে ধর্ষণের বিচারের রায় হতে শুরু হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা আরও বলেন, স্থানীয় সমাজের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, উন্নয়নকর্মী ও ধর্মীয় নেতাদের সমন্বয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে বিদ্যমান আইন বিষয়ে জনগণকে সচেতন করতে হবে। বাল্যবিয়ে বন্ধে বিয়ে নিবন্ধক ও পুরোহিতদের সঙ্গে কাজ করতে হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সচিব কাজী রওশন আক্তার বলেন, স্থানীয় প্রশাসন ও সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নির্যাতনকারী ও ধর্ষকদের প্রতিহত করতে হবে। পাড়া-মহল্লায় আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
×