ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

নতুন সরকারী তিন শতাধিক কলেজের শিক্ষকরা আন্দোলনে

প্রকাশিত: ২৩:১২, ২১ অক্টোবর ২০২০

নতুন সরকারী তিন শতাধিক কলেজের শিক্ষকরা আন্দোলনে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ক্যাডার-নন ক্যাডার দ্বন্দ্বে জটিলতায় পড়া নতুন তিন শতাধিক সরকারী কলেজের শিক্ষকরা এবার দ্রুত সঙ্কট নিরসনের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন। সঙ্কট নিরসনে মঙ্গলবার দেশজড়ে একযোগে কর্মসূচীতে অংশ নিয়ে শিক্ষকরা বলেছেন, তারা ক্যাডারে অন্তর্ভুক্তি চান না। সকল শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীতে অন্তর্ভুক্ত করে আগামী ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের মধ্যে এ্যাডহক নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিক ত্রুটিজনিত কারণে কোন শিক্ষক-কর্মচারীকে বঞ্চিত করা যাবে না। শিক্ষকরা কর্মসূচী থেকে ১৪ দফা দাবিও তুলে ধরেছেন। বর্তমান সরকারের মেয়াদেই গত কয়েক বছরে সরকারী হয়েছে তিন শতাধিক বেসরকারী কলেজ। কিন্তু এসব কলেজের শিক্ষকদের শিক্ষা ক্যাডারে উন্নীত করে নিয়োগের চেষ্টায় আমলাদের অনেকের চেষ্টা দৃশ্যমান হওয়ার পর শুরু হয় শিক্ষা ক্যাডারের আন্দোলন। এক পর্যায়ে জটিলতা বাড়তে থাকে। এরপর ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত না করারা পক্ষে অবস্থান আসলেও শিক্ষকদের তথ্য যাচাই বাছাইয়ে নানা কারণে সরকারী শিক্ষককে এ সংক্রান্ত প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে আছে। এমন অবস্থার মধ্যে এবার সরকারী কলেজ শিক্ষক সমিতির (সকশিস) ব্যানারে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষকরা। সরকারী হওয়া প্রতিষ্ঠানের এ শিক্ষকরা মঙ্গলবার জেলায় জেলায় মানববন্ধন ও সমাবেশ করে তাদের দাবি তুলে ধরেছেন। ৫৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবি ॥ বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে দ্রুত ‘তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি’ প্রকাশের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন চাকরি প্রত্যাশীরা। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাশী শিক্ষক ফোরামে’র ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে ফোরামের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুল্লাহ রাজু বলেন, বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান বেসরকারী শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) তৃতীয় নিয়োগ চক্রের জন্য ৫৭ হাজার ৩৫৮টি শূন্যপদের চাহিদার বিপরীতে নিবন্ধিত শিক্ষকদের নিয়োগ দিতে এখন পর্যন্ত ব্যর্থ।
×