ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সৎ মাকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় পুলিশ লম্পট ছেলে কে গ্রেফতার করেছে

প্রকাশিত: ২০:০০, ২০ অক্টোবর ২০২০

সৎ মাকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় পুলিশ লম্পট ছেলে কে গ্রেফতার করেছে

নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট ॥ কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ীর নাওডাঙ্গা গ্রামে সৎ মাকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মিজানুর রহমান (২৩) নামে এক লম্পট মাদকাসক্ত ছেলে কে পুলিশ আজ মঙ্গলবার গ্রেফতার করেছে। সোমবার দুপুরে ভুক্তভোগী নারী ফুলবাড়ি থানায় মামলা দায়ের করে। এর আগে সৎ মাকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনাটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। নারীরটির বাড়ি লালমনিরহাট জেলার কালমাটি গ্রামে। জনকন্ঠের সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম শাহীন তার ফেসবুক আইডিটিতে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করেন। ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) রাজীব কুমার রায় জানান, গ্রেফতার মিজানুরের বিরুদ্ধে মাদক সেবনের অভিযোগও রয়েছে। মিজানুর উপজেলার নাওডাঙা ইউনিয়নের নাওডাঙা গ্রামের বাসিন্দা। সে তার সৎ মাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। গ্রামবাসী তাঁকে হাতেনাতে ধরে পুলিশের ফুলবাড়ি থানার এসআই হাবিবুরকে দিলে পুলিশ কেন তাঁকে গ্রেফতার না কওে ছেড়ে আসে সে বিষয়ে তিনি কোন প্রশ্নে উত্তর দেয়নি। অভিযোগকারী সৎ মা জানান, প্রায় ১০ বছর আগে প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়ে তাকে বিয়ে করেন মিজানুরের বাবা ছোবেদ আলী। তাদের ঘরে ছয় বছরের কন্যা শিশু আছে। তাঁর বাবার বাড়ি লালমনিরহাট জেলা সদরের কালমাটি গ্রামে। সতীনের মাদকাসক্ত ছেলে মিজানুর কয়েকবার তাঁকে যৌন হয়রানিসহ ধর্ষণচেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। গত শনিবার (১৭ অক্টোবর) রাতের খাওয়া শেষে মেয়েসহ নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। এ সময় তার স্বামী বাড়ির বাইরে ছিলেন। বাড়িতে কেউ না থাকায় মিজানুর ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত অবস্থায় জাপটে ধরে ধর্ষণচেষ্টা চালায়। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে পাশে ঘুমিয়ে থাকা মেয়ে জেগে ওঠে। মা-মেয়ের চিৎকারে গ্রামবাসী ছুটে এসে মিজানুরকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় হাতেনাতে আটক করে। প্রতিবেশী মকবুল হোসেন, মোফাজ্জল হোসেন ও মনিরুজ্জামান জানান, মিজানুর মাদক সেবন করে বলে আমরা জানি। নেশাগ্রস্ত হয়ে সে প্রায়ই তার সৎমাকে যৌন হয়রানির চেষ্টা করে। এ নিয়ে কয়েকবার চেয়ারম্যান মেম্বাররা বিচার করেছে। নাওডাঙ্গা ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাহাজামাল মিয়া জানান, মিজানুর কে হাতে নাতে আটকের পর থানা পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পুলিশের এসআই হাবিবুর রহমান ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে আসে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে মাদসাক্ত লম্পট যুবককে পাগল বলে ছেড়ে দিয়ে চলে যায়। গ্রামবাসী ও ভুক্তভুগি নারীর কথায় কোন কর্ণপাত করেনি। সে সময় পুলিশ কর্মকর্তাও মুখ দিয়ে গন্ধ বের হচ্ছিল বলে গ্রামবাসীরা জানায় তাঁকে। ঘটনাটি লালমনিরহাট হতে ফেসবুকের মাধ্যমে ভাইরাল হয়। আটকৃত যুবক কে ওই নারীর ভবিষ্যত নিরাপত্তার কথা ভেবে তাকে আইনের আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে । ওসি রাজীব কুমার রায় জানান, সৎ মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা গ্রহণ করে আসামী ধরা হয়েছে। পুলিশের এসআই হাবিবুরের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পর্কে তার জানা নেই। পুলিশ কর্মকর্তার আসামী ছেড়ে আসার ভিডিও ভাইরাল সম্পর্কে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানেনা বলে জানান। এদিকে ভিষয়টি রংপুরের ডিআইজিকে জানানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
×