ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মহেশখালীর গৃহবধূ হত্যার প্রতিবাদে সোচ্চার বিভিন্ন সংগঠন

প্রকাশিত: ১৩:৫৭, ২০ অক্টোবর ২০২০

মহেশখালীর গৃহবধূ হত্যার প্রতিবাদে সোচ্চার বিভিন্ন সংগঠন

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ মহেশখালীর কালারমারছড়ায় গৃহবধূ আফরোজাকে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে সোচ্ছার হয়ে উঠেছে বিভিন্ন সংগঠন। উপজেলা নারী উন্নয়ন ফোরাম ছাড়াও আফরোজার পৈত্রিক বাড়ি হোয়ানকের সোনার বাংলা যুব পরিষদ প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। এখনও আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন নেতৃবৃন্দ। মহেশখালী উপজেলা নারী উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি ভাইস চেয়ারম্যান মিনুয়ারা ছৈয়দ বলেন, এমন হত্যাকান্ড আমরা মেনে নিতে পারিনা। আফরোজা নিখোঁজ হওয়ার পরও আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়িয়েছে। তারা মহেশখালীতেই আত্মগোপনে আছে। তারপরও কেউ গ্রেফতার হয়নি। ঘাতকদের কঠোর শাস্তি না হলে মহেশখালীতে নারী নির্যাতন আরও বাড়বে। মুলত ফায়দা লুটতেই এই পরিবারের একেক সদস্য একেক দলের রাজনীতিতে জড়িত। তাদের পিতা হাসান বশির জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় থাকাকালে জাতীয় পার্টির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে ভুল পাল্টিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। তার দ্বিতীয় স্ত্রীর প্রথম সন্তান মুল ঘাতক রাকিব হাসান বাপ্পি ছিল মাদকাসক্ত। অপর দুই ভাই চাকরিজীবী। তারা ৩ জনই জামায়াতের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। উত্তর নলবিলার স্থানীয়দের দাবি অবৈধ পন্থায় টাকা আয় করা এই পরিবারের মুল কাজ। সরকার পরিবর্তন হলে তারাও পরিবর্তন হয়। এই পরিবারের নেতৃত্বে রয়েছে একটি বিশাল বাহিনী। তারা আধিপত্য বিস্তার করেছে মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে। বালু সহ বিভিন্ন পণ্য সরবরাহের কাজ করে। তাদের কাজ না দিলে কেউ ঠিকাদারী ও ব্যবসা করতে পারে না। দীর্ঘ ৫০ বছর যাবত এলাকায় চিংড়ি ঘের দখল, বালু মহাল দখল, চাঁদাবাজি ও ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত তারা। তার প্রথম স্ত্রীর বড় ছেলে হাসান রাসেল জেলার একজন শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী ও উপজেলা যুবদলের নেতা। ২০১৭ সালে ৩ হাজার ইয়াবা নিয়ে গ্রেফতার হলেও এখন জামিনে মুক্তি পেয়েছে। প্রথম স্ত্রীর দ্বিতীয় ছেলে হাসান আরিফ কালারমারছড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি। তার বিরুদ্ধে প্রজেক্ট দখল, বালু মহাল দখল ও স্থানীয় পান বাজার দখলের অভিযোগ রয়েছে। মুলত ফায়দা লুটতেই এই পরিবারের একেক সদস্য একেক দলের রাজনীতিতে জড়িত।
×