ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

মুক্তিযুদ্ধের অকৃত্রিম বন্ধু ফাদার রিগনের ৩য় মৃত্যু বার্ষিকী পালিত

প্রকাশিত: ১৩:৪৩, ২০ অক্টোবর ২০২০

মুক্তিযুদ্ধের অকৃত্রিম বন্ধু ফাদার রিগনের ৩য় মৃত্যু বার্ষিকী পালিত

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ মুক্তিযুদ্ধের অকৃত্রিম বন্ধু, শিক্ষানুরাগী, কবি-সাহিত্যিক-অনুবাদক ফাদার মারিনো রিগন এর তৃতীয় মৃত্যু বার্ষিকী আজ মঙ্গলবার পালিত হচ্ছে। এ উপলক্ষে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট মোংলা, ফাদার রিগন শিক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশন এবং সেবা সংস্থার পক্ষ থেকে তাঁর সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন এবং মালগাজী মিশন বাড়ীর মাঠে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান-সহ নানা আয়োজনে পালন করছে। ফাদার মারিনো রিগনকে বাংলাদেশ সরকার ২০০৯ সালে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব এবং মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রাখার জন্য ২০১২ সালে মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা প্রদান করে। ইতালিয়ান নাগরিক ফাদার মারিনো রিগন যাজকীয় দায়িত্বপালনের অংশ হিসেবে ১৯৫৩ সালে বাংলাদেশ’র মোংলার মালগাজী গ্রামে প্রথমে আসেন। ফাদার মারিনো রিগন যাজকীয় দায়িত্ব পালনের বাইরে এসে ইতালিয়ান ভাষায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গীতাঞ্জলিসহ ৪০টি কাব্যগ্রন্থ, লালন সাঁইয়ের সাড়ে তিনশো গান, জসিম উদ্দিনের নক্সীকাঁথার মাঠ, সোজন বাদিয়ার ঘাট ছাড়াও এদেশের গুরুত্বপূর্ণ কবিদের অসংখ্য কবিতা অনুবাদ করেছেন। ফাদার রিগন ১৯৮২ সালে কবি জসিম উদ্দিন একাডেমী সাহিত্য পুরস্কারসহ জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৫৩ সালে ফাদার মারিনো রিগন বাংলাদেশে আসার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে অবশেষে মোংলার শেলাবুনিয়ায় ৪০ বছরের স্থায়ী আবাস গড়ে তোলেন। তাঁর হাত দিয়েই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মোংলার স্বনামখ্যাত স্কুল সেন্ট পল্স উচ্চ বিদ্যালয়সহ ১৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ফাদার মারিনো রিগন উন্নততর চিকিৎসা গ্রহণের জন্য ইতালিতে থাকা অবস্থায় ২০১৭ সালের ২০ অক্টোবর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ফাদার রিগনের অন্তিম ইচ্ছা অনুযায়ি মৃত্যুর এক বছর পরে ২০১৮ সালের ২২ অক্টোবর তার মরদেহ দেশে এনে মোংলার শেলাবুনিয়াতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়।
×