ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সীতাকুন্ড ফের জিপিএইচ ইস্পাত কারখানায় ফার্নেস বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৬ শ্রমিক

প্রকাশিত: ২১:০৭, ১৯ অক্টোবর ২০২০

সীতাকুন্ড ফের জিপিএইচ ইস্পাত কারখানায় ফার্নেস বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৬ শ্রমিক

নিজস্ব সংবাদদাতা, সীতাকুন্ড, চট্টগ্রাম ॥ চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড অবস্থিত জিপিএইচ ইস্পাত কারখানায় ১৫ দিনের মাথায় ফের ফার্নেস বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কারখানায় কর্মরত ৬ শ্রমিককে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। সোমবার সকালে উপজেলার কুমিরা-বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের সুলতানা মন্দির এলাকায় অবস্থিত জিপিএইচ কারখানায় এই শ্রমিক দগ্ধের ঘটনা ঘটে। অগ্নিদগ্ধ শ্রমিকরা হলেন,চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর এলাকার হাফেজ জাকির হোসেনের পুত্র মফিজুর রহমান(২৮),বাগেরহাট জেলার রামপাল থানার গাবোনিসা এলাকার ছালাম শেখের পুত্র আবু সাঈদ(৩৭),সীতাকু-ের বাঁশবাড়িয়া মুহুরি পাড়া এলাকার রবিন্দ্র দাশের পুত্র শিমুল দাশ(২৯) এবং বাকি তিনজনের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। জানা যায়,উপজেলার বাঁশবাড়িয়া-কুমিরা ইউনিয়নে সুলতানা মন্দির এলাকায় অবস্থিত জিপিএইচ ইস্পাত কারখানায় প্রতিদিনের ন্যায় কাজ করছিল শ্রমিকরা। হঠাৎ বিকল শব্দে কারখানার ফার্নেস বিস্ফোরিত হয়। এতে কারখানায় কর্মরত ৬ শ্রমিক অগ্নিদগ্ধ হয়। পরে কর্মরত অন্যরা তাদেরকে আহতবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩ জনের অবস্থা ভালোর দিকে হওয়ায় কর্তব্যরত ডাক্তার তাদেরকে ছেড়ে দেন এবং অপর তিনজনের শরীলে প্রায় ৩০/৪০ ভাগ অংশ পুড়ে যাওয়ায় তাদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইস্পাত কারখানাটির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলমাস শিমুল বলেন,“ফ্যাক্টরিতে ফার্নেস বিস্ফোরণের কথা আমি শুনেছি। আহত শ্রমিকদের তাৎক্ষনিক উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।” অপরদিকে এ বিষয়ে সীতাকুন্ড মডেল থানার ওসি তদন্ত সুমন বণিক বলেন,“জিপিএইচ ইস্পাত নামে একটি কারখানায় ফার্নেস বিস্ফোরণে ৬ জন শ্রমিক অগ্নিদগ্ধ হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তিন শ্রমিককে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দিলেও অগ্নিদগ্ধ অপর তিন জনের চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রয়েছে।” উল্লেখ্য,গত ১৫ দিন আগেও জিপিএইচ ইস্পাত কারখানায় ফার্নেস বিস্ফোরণে ৬ শ্রমিক দগ্ধ হয়েছিল। যেখানে প্রতিটি শ্রমিকের শরীলের প্রায় ৩০/৪০ ভাগ অংশ পুড়ে যায়। প্রথমে তাদের চমেক হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করলেও পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত ডাক্তার ঢাকা মেডিকেলের বার্ণ ইউনিটে প্রেরণ করেছিলেন।
×