ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মানি লন্ডারিং আইনে মামলা

জামিন পেলেন মাহবুবুল হক চিশতীর ছেলে রাশেদুল

প্রকাশিত: ১৫:২৫, ১৯ অক্টোবর ২০২০

জামিন পেলেন মাহবুবুল হক চিশতীর ছেলে রাশেদুল

অনলাইন রিপোর্টার ॥ মানি লন্ডারিং আইনের দুই মামলায় পদ্মা ব্যাংকের (আগের নাম ফারমার্স ব্যাংক) অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতীর ছেলে রাশেদুল হক চিশতীর জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার দুপুরে ঢাকা মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। এ দিন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক দুই মামলায় জামিন মঞ্জুর করেন। কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মো. শাহজাহান মিরাজ বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন। এর মধ্যে গত ২১ জুলাই একটি মামলায় প্রায় ৬৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়। মামলার অন্য আসামিরা হলেন—ব্যাংকটির সাবেক এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও মতিঝিল শাখা প্রধান মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম মজুমদার, বগুড়ার আল-ফারুক ব্যাগস লিমিটেডের চেয়ারম্যান চৌধুরী আল ফারুক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক রেদওয়ানুল কবির চৌধুরী, তার স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক নিম্মি কবির চৌধুরী। মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ঋণের নামে পদ্মা ব্যাংকের মতিঝিল শাখা থেকে ৪০ কোটি ৭৯ লাখ ২১ টাকা নিয়েছিলেন; যা ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সুদে-আসলে ৬২ কোটি ৯৬ লাখ ৭৫ হাজার ৬১৯ টাকা হয়। আসামিরা এই অর্থ পরিশোধ না করে আত্মসাৎ ও পাচার করেন। অপর মামলাটি এ বছর ২৭ জুলাই করা হয়। মামলাটিতে রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকেও আসামি করা হয়। মামলার অপর দুই আসামি হলেন— রিজেন্ট হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইব্রাহিম খলিল ও পদ্মা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাহী/অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী। মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার ও বিশ্বাস ভঙ্গ করে অর্থ স্থানান্তর- রূপান্তরের মাধ্যমে ঋণের নামে পদ্মা ব্যাংক লিমিটেড, গুলশান করপোরেট শাখা থেকে দুই কোটি টাকা নেন। সাহেদের এক কোটি টাকার একটি এফডিআর থাকায় তা সমন্বয় করার পর ২০২০ সালের ১৫ জুলাই পর্যন্ত সুদসহ তার খেলাপি অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় ২ কোটি ৭১ লাখ টাকা। এই অর্থ পরিশোধ না করে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ ও পাচার করেন।
×