ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বসুন্ধরার পরীক্ষায় পাস করলে স্বপ্ন পূরণ হবে সুমাইয়ার!

প্রকাশিত: ২১:২১, ১৯ অক্টোবর ২০২০

বসুন্ধরার পরীক্ষায় পাস করলে স্বপ্ন পূরণ হবে সুমাইয়ার!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ জাতীয় দলের ক্যাম্প বন্ধ থাকায় বসুন্ধরা কিংসে অনুশীলনের সুযোগ পেলেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত মহিলা ফুটবলার জাপানী মাতসুশিমা সুমাইয়া। জাপানে জন্ম হলেও বাংলাদেশের প্রতি রয়েছে তার নাড়ির টান। আর তাই প্রিয় মাতৃভূমির জার্সিতে খেলার স্বপ্ন তার। কয়েকদিন আগে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে) গিয়ে নিজের ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সুমাইয়ার বয়স ২০ হওয়ায় চলমান বয়সভিত্তিক দলের হয়ে অনুশীলনের সুযোগ হয়নি তার। তবে স্বপ্ন পূরণে তারদিকে এবার হাত বাড়িয়েছে ঘরোয়া ফুটবলের শীর্ষস্থানীয় ক্লাব বসুন্ধরা কিংস। উল্লেখ্য, বিভিন্ন দেশের ফুটবল ফেডারেশন জাতীয় দলের শক্তি বাড়াতে দুটি পন্থা অবলম্বন করে থাকে। একটি হলো বিদেশী ফুটবলার, যাদের নাগরিকত্ব দিয়ে তাদের জাতীয় দলে ভেড়ায়। আরেকটি হলো প্রবাসী ফুটবলারদের যাচাই-বাছাই করে জাতীয় দলে নেয়া। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) এই পথে হাঁটছে। ২০১৩ সালে জাতীয় দলে তারা ভিড়িয়েছিল জামাল ভুঁইয়াকে। ডেনমার্ক প্রবাসী এই কুশলী মিডফিল্ডার পরে স্বীয় প্রতিভায় জাতীয় দলের অধিনায়ক বনে যান। এবার মহিলা জাতীয় দলে প্রবাসী এক নারী ফুটবলারকে নিয়ে আসার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। বাফুফের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল থমাস স্মলি ও জাতীয় মহিলা দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন সুমাইয়াকে বাফুফে ভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তার মা মাতসুশিমা তমোমি জাপানী ও তার বাবা মাসুদুর রহমান বাংলাদেশী। সুমাইয়া দুই বছর বয়সে বাংলাদেশে এসেছিলেন। শৈশব থেকেই তিনি ফুটবলের অনুরাগী। সুমাইয়া নিজ শহরের সি ব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে এ-লেভেলে পড়াশোনা করছেন। তিনি তার স্কুলে একটি ফুটবল দল গঠন করেছিলেন। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত আন্তঃ ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল টুর্নামেন্টে নেতৃত্ব দেন। আর প্রথমবারের মতো তার দল সেখানে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। সেই দলের মিডফিল্ডার হিসেবে খেলা সুমাইয়া ওই প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড়, শীর্ষ স্কোরার এবং সেরা ডিফেন্ডার হয়েছিলেন। তিনি এখন আই এম সি স্পোর্টিং একাডেমিতে খেলছেন। গত বছর তিনি ইনজুরিতে পড়েছিলেন। তার লিগামেন্ট ছিঁড়ে গিয়েছিল। চিকিৎসকরা তাকে আবার ফুটবল না খেলার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু সুমাইয়া ফুটবল খেলা ছাড়েননি। তিনি এই করোনাকালেও প্রতিদিন তিন থেকে চার ঘণ্টা ফুটবল অনুশীলন করে যাচ্ছেন। জাতীয় দলে খেলার সম্ভাবনাটা একটু জটিল হলেও এর আগেই তাকে অনুশীলনের সুযোগ দিয়েছে বসুন্ধরা। আপাতত কিংসে আখি-কৃষ্ণাদের সঙ্গে অনুশীলন করে যাবেন সুমাইয়া। অবশ্য এখানেই শেষ হয়ে যাচ্ছে না সবকিছু। দলের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারলে মেয়েদের লীগে বসুন্ধরা কিংসের জার্সিতে খেলার সুযোগ হবে তার। তেমনটিই জানিয়েছেন বসুন্ধরা কিংসের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর জোবায়ের নিপু।
×