ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মুস্তাফিজ-সাইফউদ্দিনের দীক্ষা নিচ্ছেন শরীফুল

প্রকাশিত: ২১:১৯, ১৯ অক্টোবর ২০২০

মুস্তাফিজ-সাইফউদ্দিনের দীক্ষা নিচ্ছেন শরীফুল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এখন পর্যন্ত চলতি বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের সেরা বোলিং নৈপুণ্য শরীফুল ইসলামের দখলে। মাত্র ১৯ বছর বয়সী এ তরুণ বাঁহাতি পেসার এ বছর যুব বিশ্বকাপ জয়ী দলের অন্যতম স্ট্রাইক বোলার ছিলেন। তাই তিন দলের এ ওয়ানডে সিরিজে বিশেষ নজর তার দিকেও আছে নির্বাচক, কোচদের। সেদিক থেকে দুর্দান্ত নৈপুণ্যে নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছেন শরীফুল নিশ্চিতভাবেই। প্রথম ম্যাচে উইকেট না পেলেও দারুণ বোলিং করেছিলেন। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে নাজমুল একাদশের বিরুদ্ধে ৩৭ রানে ৪ উইকেট নিয়ে সেরা বোলিং সাফল্য তার দখলে। এ জন্য তাকে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। আর বোলিংয়ের বিভিন্ন দিক নিয়ে প্রশ্ন করে যাচ্ছেন পেস অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের কাছ থেকে। ‘কাটার মাস্টার’ খ্যাত মুস্তাফিজুর রহমানও বাঁহাতি। তাই তার কাছেই সবচেয়ে প্রয়োজনীয় দীক্ষাটা পাচ্ছেন শরীফুল। রবিবার বিকেলে অনুশীলন শেষে জানিয়েছেন তেমনটাই। দীর্ঘ ৭ মাস পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা। বিসিবি প্রেসিডেন্টস একাদশে উদীয়মান তরুণদেরও সুযোগ করে দেয়া হয়েছে তাদের পরখ করে দেখার জন্য। এর মধ্যে বাঁহাতি পেসার শরীফুল অন্যতম। অনুর্ধ-১৯ দলের অপরিহার্য এই পেসার উচ্চতায় ৬ ফুট ৩ ইঞ্চি। অনেক আগে থেকেই ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে শুরু করেছেন দারুণ পেস বোলিংয়ের সুবাদে। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ৮ ম্যাচ, লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ২৭ ম্যাচ এবং ১২টি স্বীকৃত টি২০ খেলেছেন তিনি। এখন জাতীয় দলের হয়ে খেলার স্বপ্ন তার। সেই স্বপ্ন পূরণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভাল পৃষ্ঠপোষকতা হয়তো তিনিই পাচ্ছেন। কারণ ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম, স্বল্প পরিসরের ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলের দুই অপরিহার্য পেসার সাইফউদ্দিন ও মুস্তাফিজের সঙ্গে একই দলে আছেন শরীফুল। এ বিষয়ে এ তরুণ বলেন, ‘তামিম ভাই আমাকে বোলিং-এর সময় বা নেট করার সময় অনেক কিছু বলে। তারপর মুস্তাফিজ ভাই আছে আমাদের দলে, উনাকে আমি অনেক প্রশ্ন করি, উনি সবকিছু সুন্দরভাবে শেখায়, বুঝায়। ব্যাটসম্যানদের দুর্বলতার জায়গা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি। সাইফউদ্দিন ভাইকেও প্রশ্ন করি জাতীয় দল কিংবা বিপিএল এসব আসরে ব্যাটসম্যানদের কিভাবে বোলিং করতে হয়। তাদের সঙ্গে সবকিছু শেয়ার করে ভাল লাগছে যে তাদের কিছু জিজ্ঞাসা করলে সঙ্গে সঙ্গে সুন্দর করে বুঝিয়ে দেয়।’ অবশ্য দীর্ঘ বিরতির কারণে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে নামার পর বেশ কষ্ট হয়েছে খাপ খাওয়াতে। এ বিষয়ে শরীফুল বলেন, ‘অনুর্ধ-১৯’র পর প্রিমিয়ার লীগে একটা ম্যাচ খেলে এরপর ৬-৭ মাস পর সরাসরি এসেছি। কয়েকদিন অনুশীলন করার পর ম্যাচ খেললাম। প্রথমদিকে ম্যাচ ফিটনেস, গেম সেন্সটা কাজ করছিল না। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে আলহামদুলিল্লাহ মোটামুটি ভাল হয়েছে। ভাল লাগছে যে এতদিন পরে মাঠে ফিরেছি। মাঠ ছাড়া আসলে ভাল লাগে না।’ এখন ফাইনালে ওঠার দারুণ সুযোগ তামিম একাদশের। এ বিষয়ে শরীফুল বলেন, ‘আগামীকালের (আজ) ম্যাচটা গুরুত্বপূর্ণ, ফাইনালের থেকেও। যদি জিতি তাহলে ফাইনালে যেতে পারব ইনশাআল্লাহ। না গেলে পরেরটা কি হবে বলা যায় না।
×