ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা

গ্রাহকের ১০ কোটি টাকা হাতিয়ে লাপাত্তা

প্রকাশিত: ২০:১৩, ১৯ অক্টোবর ২০২০

গ্রাহকের ১০ কোটি টাকা হাতিয়ে লাপাত্তা

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ সদর উপজেলায় একটি সমবায় সমিতির নামে সহস্রাধিক গরিব মানুষের সঞ্চয়ের জমাকৃত ১০ কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে সমিতির কর্ণধারদের বিরুদ্ধে। নগরীর বাবুরাইল বৌ-বাজার এলাকার সম্মিলিত সঞ্চয় তহবিল সমবায় সমিতির নামে গ্রাহকদের কাছে থেকে কমপক্ষে ১০ কোটি টাকা নিয়ে একই এলাকার রমজান মিয়া ও তার পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ করেছেন সমিতির ক্ষুদ্র গ্রাহকরা। রবিবার দুপুরে সমবায় সমিতির কয়েক শ’ গ্রাহক রমজান মিয়াকে প্রতারক হিসেবে আখ্যা দিয়ে তাকেসহ তার পরিবারের সদস্যদের গ্রেফতার ও তাদের সঞ্চিত টাকা ফিরিয়ে দেয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন। নগরীর চাষাঢ়ার নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচীতে গ্রাহকদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র আফরোজা হাসান বিভা ও আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী সংগঠনের সভাপতি মোঃ নুরুদ্দিন। এ সময় বক্তারা জানান, ১৮ বছর ধরে এলাকার রমজান মিয়া ও পরিবারের সদস্যরা এই সমিতি পরিচালনা করছেন। সমিতির অধিকাংশ সদস্য নিম্ন আয়ের পরিবারের সদস্য। করোনাকালে গত জুলাই মাস থেকে গ্রাহকদের সঞ্চয়ের টাকা পরিশোধ না করে এলাকা থেকে পালিয়ে গেছেন। গ্রাহকরা সঞ্চয়ের টাকা না পেয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। গ্রাহকরা জানান, আর্থিক মুনাফার আশায় বিভিন্ন এলাকার সহস্রাধিক মানুষ অর্থ বিনিয়োগ করেছেন এই সমিতিতে। মাসিক ভিত্তির সঞ্চয়, দীর্ঘমেয়াদী সঞ্চয় ও দুই থেকে দশ বছর মেয়াদে মোটা অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করেন তারা। সর্বনিম্ন তিন লাখ থেকে শুরু করে পাঁচ লাখ ও দশ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করেছেন কেউ কেউ, যাদের অধিকাংশই নারী। সারাজীবনের সঞ্চয় ও জমি বিক্রি করে বিনিয়োগ করেছেন তারা। সমিতির গ্রাহক আলী আব্বাস জানান, গত ১৫/ ১৬ বছর ধরে বৌ-বাজারে সমিতি চালিয়ে আসছে রমজান মিয়া। গ্রহকরা তাকে বিশ্বাস করে প্রতি মাসে এবং সপ্তাহে টাকা জমা দিত। বছর বছর বৈশাখ মাসে কিছু কিছু মানুষের টাকা ফেরত দিয়ে দিত। এভাবে মানুষের কাজে আস্থা অর্জন করে রমজান ও তার পরিবার স্থানীয় গরিব প্রায় ১ হাজার মানুষের কাছে থেকে টাকা ও সঞ্চয় জমা নিয়ে গত দুই মাস ধরে গা-ঢাকা দিয়েছেন। যার কারণে অসহায় মানুষগুলো দিশেহারা হয়ে পড়ছে। এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×