ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নতুন করে শরীরে তৈরি হবে না করোনা

প্রকাশিত: ২০:০২, ১৯ অক্টোবর ২০২০

নতুন করে শরীরে তৈরি হবে না করোনা

শরীরে নোভেল করোনাভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া আটকানো গেলে ভয়াবহ এ ভাইরাসের পুনরুৎপাদন থামানো যাবে। ফলে আক্রান্ত রোগীদেরও দ্রুত সারিয়ে তোলা সহজ হবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। মার্কিন গবেষকরা জানিয়েছেন, এতে শরীরে অতিরিক্ত জটিলতাও তৈরি হওয়ার আশঙ্কা নেই। এদিকে মানুষের ত্বকে করোনাভাইরাস প্রায় ৯ ঘণ্টা ধরে সক্রিয় থাকতে পারে। জাপানের একদল গবেষক নতুন এক গবেষণায় এই প্রমাণ পাওয়ার পর কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবেলায় মানুষের ঘন ঘন হাত ধোয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। কলকাতা টুয়েন্টিফোর। করোনাভাইরাসের পুনরুৎপাদন ঠেকানোর পরীক্ষায় বেশ কিছুটা সফলতা এসেছে বলে দাবি করেছেন মার্কিন গবেষকরা। তারা জানিয়েছেন, ভাইরাসের আরএনএ কোষে ঢুকে পড়লে সেই কোষের প্রোটিন শৃঙ্খলকে ভেঙে ফেলতে সক্ষম হয় করোনাভাইরাস। এর জেরে ধীরে ধীরে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকে। দেহে ক্রমশ বিস্তার লাভ করতে থাকে করোনাভাইরাস। ওই কোষের থেকে রসদ সংগ্রহ করে বেঁচে থাকে করোনাভাইরাস, তৈরি হতে থাকে নতুন নতুন ভাইরাসের সংস্করণ। এখানেই সমস্যা তৈরি হয়। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা আরও জানিয়েছেন, অনেক সময় নতুন নতুন সংস্করণ তৈরি করতে গিয়ে কিছু বিক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পূর্ণ নতুন ভাইরাসের জন্ম হয়। একে মিউটেশন বলে। এর জেরে এমন কিছু ভাইরাস তৈরি হয়, যার সংস্পর্শে আগে কখনও শরীর আসেনি। ফলে আরও জটিলতা বাড়ে। এতে করে অনেক সময় রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথ সায়েন্স সেন্টারের গবেষকরা এখানেই সাফল্য পেয়েছেন, যে কীভাবে কোষ থেকে কোষে ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া বা মিউটেশন ঘটানো থামানো যায়। এজন্য দুটি মলিকিউল তৈরি করেছেন তারা। যাতে এই প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা যায়। সিসর উৎসেচক থেকে এই মলিকিউলগুলো তৈরি হয়েছে। মলিকিউলগুলো শরীরে প্রোটিনের উৎপাদনের হারকে বাড়িয়ে দেয়। ফলে প্রোটিন শৃঙ্খল ভাঙতে পারে না করোনাভাইরাস। সাইটোকিনস ও চেমোকিনস নামের এই মলিকিউল দুটি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে সতর্ক করে বহিরাগত ভাইরাসের উপস্থিতি সম্পর্কে।
×