ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নড়াইলে একটি সেতু নির্মাণে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

প্রকাশিত: ১৯:২৬, ১৮ অক্টোবর ২০২০

নড়াইলে একটি সেতু নির্মাণে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, নড়াইল ॥ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সেতু/কালভার্ট নির্মাণ কর্মসূচীর আওতায় নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার আমাদা গ্রামে একটি সেতু নির্মাণে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অনুমোদিত নকসা পরিবর্তন করে মনগড়া নিয়মে দরপত্রে উল্লেখিত নিয়ম অনুসারণ না করে সেতুটি নির্মাণে লাখ লাখ টাকা হরিলুট করা হয়েছে। গ্রামবাসীসহ সংশ্লিষ্টদের অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে নড়াইলের লোহাগড়ায় ১৬ টি সেতু নির্মাণে দরপত্র আহবান করা হয়। ওই দরপত্রের প্যাকেজ নং-৪ এ আমাদা হাজরাখালী খালের উপর গোলাম নবীর বাড়ির পাশে সেতুটি নির্মাণ করবার কথা থাকলেও স্থান পরিবর্তন করে নির্ধারিত স্থানের অন্তত তিন-চার শত ফুট দূরে হাসান মৃধার বাড়ির পাশে ৩০ লাখ ৭৯ হাজার ৩৬৪ টাকা ব্যায়ে ৩৬ ফুট দৈর্ঘ্য সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। নির্মিত সেতুটির গভীরতা বা মোট উচ্চতা ১৯ ফুট করবার কথা থাকলেও করা হয়েছে সর্বসাকুল্যে ১৫ ফুট। যে কারনে সেতুটির ভিত্তি অত্যন্ত দূর্বল। তাই দুর্ঘটনার আশংকা করছেন গ্রামবাসীরা। তাছাড়া সেতুটির দুপাশে সংযোগ সড়ক এখনো নির্মাণ করা হয়নি। অথচ সংযোগ সড়ক করা বাবদ বরাদ্দকৃত সরকারি অর্থ উত্তোলন করে মেসার্স ফারহান এন্টারপ্রাইজের মালিক ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এস,এম,এ করিম ভাগবাটোয়ারা করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ। সেতুটির উইং ওয়াল তৈরীতে দরপত্রের পরিমাপ মানা হয়নি। সেতুটির নিচের অংশের বেজ ঢালাইয়ে রড ও বালুর ব্যবহার দপরপত্র অনুয়ায়ি হয়নি বলেও অভিযোগ। আমাদা গ্রামের আব্দুর ওহাব গাজীর ছেলে সিদ্দিকুর রহমান গাজী অভিযোগ করেন, সেতুটির গভীরতা ১৯ ফুট করবার কথা থাকলেও ঠিকাদার ও পিআইও যোগসাজসে করেছেন ১৫ ফুট। সেতুটি যে কোন সময় ভেঙ্গে পড়তে পারে। এখনো সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়নি। বৃদ্ধরাসহ স্কুল-কলেজ গামী শিক্ষার্থীরা চলাচল করছেন ঝুঁকি নিয়ে। একই গ্রামের সিন্টু সরদার বলেন, সেতুটি যত টুকু গভীর থেকে করবার কথা তা করা হয়নি। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেন মূলত উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এস,এম,এ করিমের সহযোগিতায় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সেতু নির্মাণে অনিয়ম করেছেন। লাখ লাখ টাকা াÍ¥সাৎ করেছেন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এস,এম,এ করিম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সেতুটির স্থান পরিবর্তন করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ গ্রামবাসী। সেতুর ডিজাইন উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে পরিবর্তন করা যায়। মসার্স ফারহান এন্টারপ্রাইজের মালিক ঠিকাদার মোঃ আশরাফ মুন্সী এ বিষয়ে বলেন, আমার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নামে সেতুটির কাজ হয়েছে কিন্তু আমি কাজটি করিনি। করেছেন উজ¦ল নামে এক ব্যাক্তি। সাব- ঠিকাদার উজ¦ল বলেন, আমি দরপত্র মোতাবেক কাজ করেছি।
×