ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থিক অনিয়ম হলে ব্যবস্থা : ইউজিসি চেয়ারম্যান

প্রকাশিত: ১৯:১৫, ১৮ অক্টোবর ২০২০

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থিক অনিয়ম হলে ব্যবস্থা : ইউজিসি চেয়ারম্যান

অনলাইন রিপোর্টার ॥ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও ধরনের আর্থিক অনিয়ম সহ্য করা হবে না বলে জানিয়েছেন ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আর্থিক বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজ রবিবার ইউজিসি অডিটোরিয়ামে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বাজেট সংক্রান্ত দু’দিন ব্যাপী সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ভার্চুয়াল মাধ্যমে দেওয়া বক্তব্যে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও ধরনের আর্থিক অনিয়ম সহ্য করা হবে না। আর্থিক বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সকলকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং বিদ্যমান আর্থিক নিয়মাবলী শতভাগ অনুসরণ করতে হবে। ইচ্ছেমতো আইনের ব্যাখ্যা দিয়ে সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার কোনও সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে উপাচার্য যদি আর্থিক বিষয়ে আউট অব লাইন করে, আপনাদের (কোষাধ্যক্ষ এবং অর্থ হিসাব বিভাগের পরিচালক) দায়িত্ব প্রথমে বিষয়টি তাকে অবহিত করা। এরপরও উপাচার্য যদি কোনও অনিয়ম করেন, তাহলে এর দায়ভার তাকেই (উপাচার্য) নিতে হবে। যদি বিশেষ প্রয়োজন হয় কিংবা কাজটি করার ক্ষেত্রে আপনাদের (কোষাধ্যক্ষ এবং অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক) ওপর চাপ থাকে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইনে বিষয়টি নিষ্পত্তি না হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে ইউজিসি’র পরামর্শ ও অনুমোদন নিয়ে কাজটি সম্পাদন করতে পারেন।’ বাজেট এবং আর্থিক বিষয় যেকোনও প্রতিষ্ঠানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে অধ্যাপক ড. শহীদুল্লাহ বলেন, ‘শুধু বাজেট তৈরি করলেই হবে না, বাজেটের যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। বাজেট বাস্তবায়নে এক খাতের বরাদ্দকৃত অর্থ আরেক খাতে ব্যয় অগ্রহণযোগ্য। আর্থিক বিষয়ে পূর্ণ নিয়মের মধ্যে চলতে হবে। এ খাতে ঊনিশ-বিশ হওয়া যাবে না। প্রতিটি খাতের ব্যয় সুনির্দিষ্টভাবে তুলে ধরতে হবে।’ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে ইউজিসি’র প্রত্যাশা তুলে ধরে চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা চাই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আরও স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা ও সম্পদের যথাযথ ব্যবহার সুনিশ্চিত করবে।’ বাজেট বাস্তবায়নে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ এবং অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালককে শক্তিশালী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আপনাদের কাজ উপাচার্যের সামনে আর্থিক বিধি-বিধান, পে-স্কেল, অডিট আপত্তিসহ বাজেটের বিভিন্ন প্রসঙ্গ তুলে ধরা। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক স্বাধীনতা বিষয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক স্বাধীনতা আর আর্থিক স্বাধীনতা এক নয়। প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজস্ব আইন, নীতিমালা ও বিধি-বিধান রয়েছে। এগুলো পূর্ণমাত্রায় মেনে চলতে হবে। অর্থ হচ্ছে একটি প্রতিষ্ঠানের প্রাণ। এ খাতে শৃঙ্খলা না থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় সুন্দরভাবে পরিচালনা করা যাবে না।’ কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহেরের সভাপতিত্বে বাজেট সভায় ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর ও অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন কমিশনের সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামান। এছাড়া সভায় ইউজিসি’র বিভাগীয় প্রধান ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
×