ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কার্যকর হলে গ্লোবের টিকা বিবেচনা করবে সরকার : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১৮:৫২, ১৮ অক্টোবর ২০২০

কার্যকর হলে গ্লোবের টিকা বিবেচনা করবে সরকার : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

অনলাইন রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের গ্লোব বায়োটেকের টিকা কার্যকর হলে সরকারি বিষয়টি বিবেচনা করবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। আজ রবিবার রাজধানীর একটি হোটেলে সোসাইটি অব সার্জনস অব বাংলাদেশ আয়োজিত ‘বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কোভিড-১৯ মহামারিতে সার্জনদের ভূমিকা’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে তিনি একথা বলেন। গ্লোব বায়োটেকের ভ্যাকসিন বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তালিকাতে বাংলাদেশের গ্লোব বায়োটেকের তিনটি টিকার নাম থাকার কথা গণমাধ্যমে জেনেছেন বলে জানান তিনি। মন্ত্রী বলেন, গ্লোবের টিকা কার্যকর হলে সরকার বিষয়টি বিবেচনা করবে। জাহিদ মালেক বলেন, ‘এ বিষয়টি আপনারা যেমন জানেন আমরাও তেমন জানি। পত্রিকায় দেখলাম তারা ডব্লিউএইচওর তালিকায় আছে। এটা যদি ভালো প্রমাণিত হয় বা কার্যকর হয় তাহলে আমরা অবশ্যই কনসিডার করব। কারণ ভ্যাকসিন কোনওটাই কার্যকর হয় নাই। তো যারা যারা ভ্যাকসিন তৈরি করছে, আমাদের দেশের কোম্পানিসহ, যা ভালো হবে তা আমরা অবশ্যই নেব।’ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলা করতে গিয়ে গত সাত মাস স্বাস্থ্য বিভাগকে নিয়ে অনেকে অনেক নেতিবাচক কথা বলেছে। কিন্তু কেউ মানুষের পাশে দাঁড়ায়নি। তারা ঘরে বসে নিরাপদ দূরত্বে থেকে সমালোচনা করেছে। কেউ পাশে এসে দাঁড়ায়নি। কিন্তু আমাদের চিকিৎসক-নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, সেনাবাহিনী মাঠে থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে। এজন্যই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।’ স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, টিকা সংগ্রহে বেশকিছু অগ্রগতি হয়েছে। বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হয়েছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীও জানেন। উনারও একটা নির্দেশনা আছে আমরা সেইভাবে কাজ করছি। আপনারা অল্পকিছু দিনের মধ্যেই জানতে পারবেন আমরা কোন ভ্যাকসিন নিতে পারবো। আমরা ওই ভ্যাকসিন নেব যেটা তাড়াতাড়ি এবং সুলভ মূল্যে পাওয়া যাবে।’ অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ ( স্বাচিপ) এর সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান বলেন, যেসব দেশ করোনাকে নিয়ন্ত্রণ করেছিল সেখানেও এখন কোভিডের প্রাদুর্ভাব এমন বৃদ্ধি পেয়েছে যে তারা প্রথম দিকের মতো সীমিত আকারে লকডাউন শুরু করেছে। আশঙ্কা করছি আসন্ন শীতে করোনার প্রকোপ বাড়তে পারে। তিনি বলেন, আমরা মনে হয় আমরা খুব বেশি ভ্যাকসিন নিয়ে আলোচনা করছি, ভ্যাকসিন কেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছি কোভিড নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে।’ ‘আমি ভ্যাকসিন নিয়ে বেশি আশাবাদী না’ মন্তব্য করে অধ্যাপক ইকবাল আর্সলান বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, সিডিসি, মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্বসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর জোর দিচ্ছে, আমাদেরকে এসব নিয়ম অনুসরণ করে শীতে কোভিডের প্রাদুর্ভাব বাড়ার যে সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি সেটা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। অনুষ্ঠানে বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী, স্বাচিপের সাধারণ সম্পাদক ডা. এমএ আজিজ, শিশু হাসপাতালের সাবেক পরিচালক এমএ আজিজ এমপি, সোসাইটি অব সার্জনস অব বাংলাদেশ-এর সভাপতি অধ্যাপক এএইচএম তৌহিদুল আলম, সাধারণ সম্পাদক ডা. এসএম কামরুল চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।
×