ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চুয়াডাঙ্গায় ধানের বাম্পার ফলন

প্রকাশিত: ১৭:১৯, ১৮ অক্টোবর ২০২০

চুয়াডাঙ্গায় ধানের বাম্পার ফলন

নিজস্ব সংবাদদাতা, চুয়াডাঙ্গা ॥ সোনালী আউশ ধান সোনা হয়ে হাসি ফুটাচ্ছে চুয়াডাঙ্গা জেলার কৃষকদের মুখে। এ জেলায় এবার সর্বোচ্চ পরিমাণ আউশের আবাদ হয়েছে এবং ফলন হয়েছে প্রচুর। তাছাড়া ধানের বাজারদর ভাল পাওয়ায় কৃষকরা খুশি। বিগত ৬ বছরে চুয়াডাঙ্গায় আউশ আবাদ বেড়েছে প্রায় দ্বিগুন। চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে এ জেলায় আউশ ধানের আবাদ হয়েছিলো ২১ হাজার ৩২৫ হেক্টর আর বর্তমান ২০২০-২১ অর্থবছরে আউশ ধানের আবাদ হয়েছে ৪৩ হাজার ১৭৩ হেক্টর জমিতে। দেশের ৬৩টি জেলার মোট আউশের আবাদ যেখানে ১৩ লাখ ৩৪ হাজার হেক্টর সেখানে মাত্র ৪টি উপজেলা নিয়ে গঠিত চুয়াডাঙ্গা জেলাতেই আউশ আবাদ হয়েছে ৪৩ হাজার ১৭৩ হেক্টর। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় সবচেয়ে বেশী পরিমাণ অর্থাৎ ১৫ হাজার ৬৮৫ হেক্টর জমিতে আউশের আবাদ হয়েছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে যেখানে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় আউশ ধানের আবাদ ছিল ৬ হাজার ৮০০ হেক্টর সেখানে ২০২০-২১ অর্থবছরে আবাদ হয়েছে ১৫ হাজার ৬৮৫ হেক্টর। ৬ বছর পর ৮ হাজার ৮৮৫ হেক্টর জমিতে আউশ ধানের আবাদ হয়েছে যা দ্বিগুণেরও বেশী। চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আলী হাসান বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলায় আউশ ধানের আবাদ সবচেয়ে বেশি হয়। এরপর এ জেলায় এবার উচ্চফলনশীল ব্রিধান-৪৮ জাতের ধান ১৬ হাজার ৭২৯ হেক্টর, তারপরই রয়েছে উচ্চফলনশীল জাতের স্থানীয় ভাষায় খাটোবাবু ধান ১২ হাজার ৭২৪ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে যা উচ্চফলনশীল ও রোগ-বালাই প্রতিরোধী। তাছাড়া অধিক ফলনশীল হাইব্রিড জাতের ধান ৭ হাজার ৪৭৩ হেক্টরসহ উচ্চফলনশীল আধুনিক জাত যেমন ব্রিধান-৮২, ব্রিধান-৮৫ ইত্যাদি ধানেরও আবাদ হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলার ভূমি প্রকৃতি, মাঝারি উঁচু এবং আবহাওয়া বৃষ্টি নির্ভর হওয়ায় আউশ ধান চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। ভূগর্ভস্থ পানির অপচয় রোধ করে ও উৎপাদন ব্যয় কমিয়ে বৃষ্টি নির্ভর আউশ ধান আবাদকে জনপ্রিয়করার জন্য বর্তমান সরকারের নানান পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে আউশ ধান আবাদ ক্রমাগত বেড়ে যাচ্ছে। বিগত কয়েক বছরে সরকারি প্রণোদনায় বিনামূল্যে আউশ ধানের বীজ ও সার কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা, উচ্চফলনশীল আধুনিক জাতের আউশ ধানের বীজের পাওয়া নিশ্চিত হওয়া, কৃষি উপকরণের (সার ও বালাইনাশক) সহজলভ্যতা এবং মাঠ পর্যায়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তাগণের মাধ্যমে কৃষক উদ্বুদ্ধকরণ, নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও পরামর্শ সেবা দেয়ার ফলে লাভজনক আউশ ধান আবাদ প্রতিবছরই বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারের সঠিক পরিকল্পনা ও মাঠপর্যায়ে তার যথাযথ বাস্তবায়নে সুফল পাচ্ছে কৃষক।
×