ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চুয়াডাঙ্গার ঠাকুরপুর সীমান্তে এক বাংলাদেশী নিহত

প্রকাশিত: ১৫:১৫, ১৮ অক্টোবর ২০২০

চুয়াডাঙ্গার ঠাকুরপুর সীমান্তে এক বাংলাদেশী নিহত

নিজস্ব সংবাদদাতা, চুয়াডাঙ্গা ॥ চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ঠাকুরপুর সীমান্তে ভারতের অভ্যন্তরে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে বিএসএফের ছোঁড়া গুলিতে এক বাংলাদেশী যুবক নিহত হয়েছে। নিহত যুবক ওমিদুল (১৯) উপজেলার ঠাকুরপুর গ্রামের শফিকুল ইসলাম শহীদের ছেলে। চুয়াডাঙ্গা- ৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান পিএসসি জানান, রবিবার ভোরের দিকে বিজিবির একটি টহল দলের সদস্যরা চুয়াডাঙ্গার ঠাকুরপুর সীমান্তের ৮৯ নম্বর মেইন খুঁটির কাছে গুলির শব্দ শুনতে পেয়ে তাদের টহল আরো জোরদার করে। এরপর এদিন সকালে ওই সীমান্ত খুঁটির কাছে বিজিবি সদস্যরা ভারতের মালুয়াপাড়া বিএসএফ ক্যাম্প কমান্ডেন্টের গাড়ীসহ একটি এম্বুলেন্স দেখতে পায়। তার কিছুক্ষণপর বিএসএফ সদস্যরা ভারতের অভ্যন্তর থেকে মোবাইল ফোনে গুলিতে নিহত যুবকের ছবি তুলে সেটা বিজিবির কাছে পাঠায়। বিজিবি ওই ছবি ঠাকুরপুর গ্রামবাসীদের দেখালে নিহত ওমিদুলের বাবা সেটা তার ছেলে বলে নিশ্চিত করে। ছবি বিজিবির কাছে পাঠিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ সদস্যরা জানায় নিহত ব্যক্তি অবৈধভাবে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে বিএসএফ সদস্যদের চ্যালেঞ্জ করে। ওই সময় বিএসএফ গুলি ছুঁড়লে সে নিহত হয়। এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফ মালুয়াপাড়া বরাবর প্রতিবাদ পত্র ও পতাকা বৈঠকের জন্য আহবান জানানো হয়েছে। পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ওমিদুলের লাশ ফেরত পাওয়া যাবে বলে তিনি জানান। তিনি আরো বলেন, নিহত ওমিদুলের বাবা বলেছে যে, তার ছেলে রাজমিস্ত্রীর সহযোগী হয়ে কাজ করে জিবিকা নির্বাহ করতো। কাদের প্ররচনায় পড়ে সে অভৈধভাবে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছিলো তা তার জানা নেই। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত পতাকা বৈঠকের বিষয়ে বিএসএফ এর পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পায়নি বিজিবি। তবে, আশা করা হচ্ছে যেকোনো সময় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফ ওমিদুললের লাশ ফেরত দিতে পারে।
×