ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চুক্তিভঙ্গ ॥ চুয়াডাঙ্গায় ৭৬ চালকল কালো তালিকাভুক্ত

প্রকাশিত: ০০:৩০, ১৬ অক্টোবর ২০২০

চুক্তিভঙ্গ ॥ চুয়াডাঙ্গায় ৭৬ চালকল কালো তালিকাভুক্ত

নিজস্ব সংবাদদাতা, চুয়াডাঙ্গা, ১৫ অক্টোবর ॥ চুয়াডাঙ্গায় চুক্তি অনুযায়ী সরকারী খাদ্য গুদামে চাল সরবরাহ না করায় ৭৬ চালকল মালিককে কালো তালিকাভুক্ত করেছে খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। ৭৬ চালকল মালিকের মধ্যে ৪২ জন চুক্তি অনুযায়ী আংশিক ও ৩৪ জন কোন চালই সরবরাহ করেনি। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে তিনটি অটোরাইস মিলসহ জেলার ১৯৭ চালকল মালিক ৭ হাজার ৬০৫ মেট্রিকটন চাল সরবরাহের জন্য সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়। গত ১৩ মে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা খাদ্য গুদামে চাল সরবরাহের মধ্য দিয়ে সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে গত ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চাল সংগ্রহের শেষ সময় নির্ধারণ করা হলে পরবর্তীতে তা ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। চাল উৎপাদনে ৪৫ থেকে ৪৬ টাকা খরচ হলেও সেখানে সরকার ব্যবসায়ীদের ৩৬ টাকায় চাল সরবরাহের নির্দেশ দেয়। সরকারের সঙ্গে ব্যবসা টিকিয়ে রাখার স্বার্থে চাল মালিকদের একটি বড় অংশই লোকসান গুনেছে। জেলায় ৩ স্বয়ংক্রিয় চালকলসহ ১২১টি চালকল মালিক তাদের চুক্তি করা ৪ হাজার ৮৮৭ দশমিক ৫১০ টন চালের শতভাগ সরবরাহ করে। ৪২ চালকল মালিক তাদের ২ হাজার ১৫৪ দশমিক ১৫০ টন চুক্তির বিপরীতে আংশিক ৯৮৩ দশমিক ৭৬০ টন (প্রায় ৪৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ) সরবরাহ করে। বাকি ৩৪ মালিক ৫৬৩ দশমিক ৩১০ মেট্টিক টন চাল সরবরাহের জন্য চুক্তি করলেও কোন চালই তারা সরবরাহ করেনি। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রেজাউল ইসলাম জানান, কালো তালিকাভুক্ত চালকল মালিকরা ২ বছর সরকারী খাদ্য গুদামে চাল সরবরাহ করতে পারবে না। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত চাল সরবরাহে ব্যর্থ মালিকদের ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না। চুয়াডাঙ্গা জেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি এম আব্দুল্লা শেখ বলেন, প্রান্তিক পর্যায়ে চালকল মালিকরা কিভাবে সরকারী গুদামে তাদের চুক্তি অনুযায়ী চাল সরবরাহ করে তা কেন্দ্রীয় খাদ্য অধিদফতর থেকে সরেজমিনে দেখা উচিত। যে কোন সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে বাস্তবসম্মত ভাবনা না থাকলে কোন কিছুই ঠিকমতো হবে না। বাজারের সঙ্গে সঙ্গতি নেই চালের বাজার দর, সেখানে মালিকরা কেন এত লোকসান দেবে? যেখানে চাল উৎপাদন খরচ ৪৫ থেকে ৪৬ টাকা সেখানে চালকল মালিকদের ৩৬ টাকায় চাল সরবরাহ করতে বলাটা কতটা সঙ্গতিপূর্ণ তা ভেবে দেখা উচিত।
×