ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

জীবনের স্বরলিপি জিন কোড উৎপল দত্ত

প্রকাশিত: ০০:২৪, ১৬ অক্টোবর ২০২০

জীবনের স্বরলিপি জিন কোড উৎপল দত্ত

যে ধ্বনি-তরঙ্গে জীবন বেজে যায় তার নিয়ন্তা জিন কোড। সুর বা বেসুরো হোক, জীবন এক অর্থে সঙ্গীতের মতো। জীবনের সুর আছে। তাল ও লয় আছে। ছন্দ আছে, ছন্দপতন আছে। জীবনে ওঠাপড়া আছে। আমরা যাকে বলি, আপস অ্যান্ড ডাউনস। ব্যক্তি মানুষের স্বভাব, শারীরবৃত্তীয় সকল বৈশিষ্ট্য, মানসগঠন - সবই নির্ধারিত বা লিখিত থাকে এই জিন কোডে। শুধু মানুষের নয় ব্যাপক অর্থে জীবের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। জীবের ব্যাধি, জড়া বার্ধক্য মুদ্রিত থাকে জিন কোডে। বংশ পরম্পরায় তা প্রবহমান থাকে। সন্তান বা উত্তরসুরী যে বৃত্তি ও বৈশিষ্ট্য নিয়ে জন্মায় তা আসে তার পূর্বসুরীদের জিন কোড থেকে। জিন কোড জীবনের রহস্যময় বিধান। এ রহস্য এখন উন্মোচিত। রহস্যের আবরণ খসিয়ে তাকে আরও স্বচ্ছ ও সুস্পষ্ট করে দেখিয়েছেন দুই বিজ্ঞানী। এ বছর কেমিস্ট্রিতে নোবেল পেলেন তারা। যুগল নারীর নাম ম্যনুয়েল শার্পেন্টিয়র এবং জেনিফার দাউদনা। শার্পেন্টিয়র ফ্রেঞ্চ এবং জেনিফার দাউদনা আমেরিকান। নোবেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, জিন প্রযুক্তির মধ্যে সেরা সিআরআইএসপিআর-ক্যাস ৯ (ঈজওঝচজ-ঈঅঝ ৯)। এটা একটি টুল যাকে বলা হচ্ছে সিজার বা কাঁচি। জিন প্রযুক্তি নিয়ে দীর্ঘদিন শ্রমসাধ্য গবেষণা সত্ত্বেও গবেষকরা স্বপ্ন-ঘোরের বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছিলেন। একটা রহস্যের কূলকিনারা করা বাকি ছিলো। সেটা সম্পন্ন করলেন শার্পেন্টিয়র ও দাউদনা জিন প্রযুক্তিতে জেনেটিক সিজার আবিষ্কার করে বিপ্লব ঘটালেন শার্পেন্টিয়র ও জেনিফার দাউদনা। ক্যান্সার সহ সকল জেনেটিক রোগের উপশম হাতে মুঠোয় এসে যাচ্ছে। একটি কাঁচি যা দিয়ে দুষ্ট জিন কোড কেটে তার প্রোগ্রামে পরিবর্তন আনা যাবে। শুধু মানুষ বা প্রাণী নয়, উদ্ভিদের ডিএনএ পরিবর্তন করে সাফল্য পাওয়া সম্ভব। প্রকৃতি ও পরম্পরা ছেলেটি মায়ের আদল পেয়েছে বা মেয়েটি ঠিক বাবার মতো। এরকম কথা আমরা প্রায়শ শুনতে পাই। শুনে অভ্যস্ত। ছেলে- মেয়ে তো বাবার মতোই হবে। এই সরলীকরণ সিদ্ধান্ত আমাদের ভুলিয়ে রাখে। তলিয়ে দেখিনা এর পেছনে প্রকৃতির নিয়মটি কী! বিজ্ঞান বা দর্শনের কাজ একটু বেশি তলিয়ে দেখা। যেমন আপেল পড়লো কেন! আপেল তো পড়বেই, যেহেতু শূন্যে কোন বাধা নেই। নিউটন বললেন, ভুমি টানে তাই আপেল পড়ে। ভূমির এই টান মাধ্যকর্ষণ শক্তির টান। অনন্ত বিশ্ব চরাচরে যেখানে মাধ্যকর্ষণ শক্তি নেই সেখানে আপেল খসে পড়ে না। ভাসে। মাধ্যাকর্ষণ শক্তিহীন শূন্যে সবকিছুই ভাসে। এ দৃশ্য আমরা দেখেছি। নভোচারিদের শূন্যে ভাসতে দেখেছি। শক্তির বিনাশ নেই রূপান্তর আছে। প্রকৃতির এ নিয়মকে বিজ্ঞান উন্মেচন করে দেখিয়েছে। বিজ্ঞানও নতুন কিছুই সৃষ্টি বা আবিষ্কার করে না। প্রকৃতির নিয়মকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও গবেষণায় অনাবৃত ও ব্যখ্যা করে মাত্র। এই ব্যখ্যা থেকে বের হয় সত্য। তাকে কার্যকর করতে ব্যবহৃত হয় উপযোগী প্রযুক্তি। সেই প্রাপ্তি নিয়ে আমরা জীবনকে নিরাপদ ও স্বচ্ছন্দ করার উপায় খুঁজে বের করি। প্রকৃতির কোলে-পিঠে মানুষ বলে আমরা তার সন্তান। একজন বায়োলজিক্যাল মাদার এর সমান্তরালে আরেকটি মাদার বা মা আছে আমাদের। সে হলো প্রকৃতি। তার নিয়ম বা শাসনের বাইরে গেলেই বিপত্তি। তার নিয়ম বা শাসনের ভাষাকে উদ্ধার বা অনূদিত করতে পারলে জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য আসে। তার জন্য আামাদের পাশে আছে বিজ্ঞান ও দর্শন। প্রমিত প্রমিথিউস প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে মানুষ যা কিছু আবিষ্কার করেছে তার সবই জীবনকে নিরাপদ ও ছন্দময় করার জন্য। এই আবিষ্কারের ধারায় মানবকূলের প্রথম ও শ্রেষ্ঠ আবিষ্কার আগুন। পাথর ঘষে ঘষে আগুন জ্বালানো। কাচা মাংসের পরিবর্তে আগুনে পুড়িয়ে খাওয়া। শুধু সুস্বাদু নয়, প্রাণ ধারণের জন্য যা অনেক নিরাপদ। কারণ আগুনে পোড়োনো খাদ্য ক্ষতিকর জীবাণুমুক্ত। আগুনের আবিষ্কারের গুরুত্ব সম্পর্কে গ্রিকপুরাণে মিথ আছে। মানুষকে আগুনের সন্ধান দিয়েছিল প্রমিথিউস। দেবরাজ জিয়াস তাকে মর্মান্তিক শাস্তি দিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে পারসি বিশি শেলি লিখেছিলেন প্রমিথিউস আনবাউন্ড। অর্থাৎ মানুষের মুুক্তিদাতা কখনও শৃঙ্খলিত হতে পারে না। প্রমিথিউসকে পাথরে বেঁধে রাখা হয়েছিল। প্রতিদিন জিয়াসের পাঠানো একটি ঈগল এসে তার কলিজা বা লিভার খুবলে খেয়ে যেত। রাতে সুস্থ কলিজা গজিয়ে উঠতো পরদিন আবার ওই ঈগল যাতে খুবলে খেতে পারে। প্রমিত ভাষা ও ইঙ্গিতে মানুষের মুক্তির কথাই বলা হয়েছে। প্রমিথিউস শৃঙ্খলিত হতে পারে না। সে মুক্ত, সে আনবাউন্ড। জীবন যাপনকে সরল, সুষম, ছন্দিত ও নিরাপদ করার ধারবাহিকতাই হয়তো সভ্যতা। সেই অর্থে সভ্যতাকে প্রকৃতির নিয়ম আবিষ্কার করার প্রবহমানতার মধ্যেই সুচিহ্নিত ও সংঙ্গায়িত করা যায়। প্রকৃতি জীবনের বিরুদ্ধে নয়। প্রকৃতির সাথে লড়াই নয়, জীবন ও প্রকৃতির নিয়ম বা বিধানকে সমান্তরালে আনার মধ্যেই রয়েছে প্রাণ বা জীবের টিকে থাকা বা বেঁচে থাকার আনুপাতিক হিসাব-নিকাশ। বিজ্ঞান ও দর্শন ওই কাজটিই করে ও করছে। এভাবেই সম্ভব হয়েছে ব্যধি নিরাময়। সম্ভব হয়েছে বেঁচে থাকা ও বেঁচে থাকার নিয়ামক উপাদনগুলি সনাক্ত ও সংহত করা। একবিংশের একদেশদর্শিতা এর উল্টো পিঠও আছে যা ক্ষতিকর ও দুঃখজনক। লোভ, ক্ষমতা, শক্তিবলয় বিস্তার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অপব্যবহার, বাজার সম্প্রসারণ করতে এই গ্রহের মানুষ প্রকৃতির নিয়মকে কাজে লাগিয়েই প্রকৃতি ধ্বংসে উঠে পড়ে লেগেছে। এটা কী অভিশাপ নাকি পরিহাস! বিষয়টি শুধু একটি রাষ্ট্রের নয়, এই গ্রহের মানবজাতির ভাবনার সুযোগ সৃষ্টি করেছে, অন্তত কভিড -১৯ প্রসূত প্যানডমিকের কালে। একবিংশ শতাব্দীতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ফলাফল হাতে মানুষ যেখানে স্থিত সেখানে তার প্যনডমিকে প্রাণহানির কথা ছিলো না। জীবাণুকে মারনাস্ত্র করার কথা ছিলো না। কামোন্মাদ বা ধর্ষকামী হওয়ার কথা ছিলো না। মধ্যযুগ বলে যে কথাটি প্রচলিত, ইডিয়মেটিক অর্থে তা অন্ধকার। একবিংশ শতকে সেই অন্ধকার আরও গাঢ়ও হয়ে ওঠার কথা ছিলো না। জিন কোড ও অন্যরকম কাঁচি ঈজওঝচজ/ঈঅঝ ৯ বা জেনেটিক সিজার ডিএনকে সফলভাবে কাটতে পারে নির্ভুল স্থান থেকে। খারাপ জিন তার কার্যকারিতা হারায় অথবা তাকে সম্পাদনা করে তার খোল-নলচে বদলে দেয়া যায়। ব্যক্টেরিয়ার মধ্যে প্রাচীন ইমিউন সিস্টেম প্রথমে নজরে আসে দাওদানার। সেখানে একই ডিনএর পুনরাবৃত্তি দেখা দেয় যা ভাইরাস দ¦ারা ক্ষতিগ্রস্থ হলেও তকে চিরে ফেলতে সক্ষম। জেনটিক সিজার বা কাঁচির ধারণাটি এভাবেই আসে। কাঁচি বা টুলটি আবিষ্কার করে বহুকাল পর বিজ্ঞানে নোবেল পেলেন যুগল নারী। কেমেস্ট্রি বা রসায়নে। সংবাদটি সরস এবং খুবই আনন্দের কথা। স্বদেশে যখন নারী ধর্ষণের জোয়ার তখন রসায়নে নোবেল পেলেন দু’জন নারী। মানব সভ্যতাকে দিলেন সেই বার্তা যা পারমাণবিক শক্তি আবিষ্কারের মতো। জিন কোড কে সম্পদনা করার দ্রুত ও সহজ উপায়। তারা একই বিষয় নিয়ে গবেষণা করছিলেন। জিন কোডকে ব্যখ্যা ও বদলে দেয়ার প্রচেষ্টাও অনেকদিন ধরেই ছিলো। কিন্তু শার্পেন্টিয়র ও দাউদানা প্রায়োগিক কাজটি করে দেখালেন। তারা আবিষ্কার করলেন একটি টুল বা যন্ত্র। সোজাকথায় একটি কাঁচি বা সিজার। এই কাঁচি অন্যরকম কাঁচি। চুল বা ফিতে কাটার কাঁচি নয়। এর বিজ্ঞান সম্মত নাম সিআরআইএসপিআর-ক্যাস ৯ (ঈজওঝচজ-ঈঅঝ ৯)। খটোমটো মনে হলে জিন কোড সম্পাদনার কাঁচি কথাটি মনে রাখা ভালো। সম্পাদনার একটি অর্থ তো ছেঁটে ফেলা তারপর তাকে পুননির্মাণ বা পুনর্লিখন করা। এর জন্য একটি মোক্ষম অস্ত্রের দরকার ছিলো। জিন কোড সম্পাদনার জন্য তারা ওই জেনেটিক কাঁচি আবিষ্কার করেছেন। যা বদলে দিতে পারে জীবনের ভাষা ও যাবতীয় লক্ষণ সমূহ। এই প্রযুক্তি সংশোধন করতে পারে দুষ্ট বা খারাপ কোড যা জীবনে অনাকাঙ্খিত রোগ-বালাই এর জন্য দায়ী। বংশগত ত্রুটি এবং এতোকাল নিরাময়ের অযোগ্য বংশগত রোগের নিরাময় সম্ভব করতে পারে। অনূজীবের ডিএনএ পরিবর্তন করতে পারে। উদ্ভিদের জিন কোডে পরিবর্তন আনতে পারেন। রোগ-বালাই দূর করে যোগ করতে পারে ফসলে পছন্দমতো বৈশিষ্ট্য। এই কাঁচি দিতে পারে সতেজ ও স্বাস্থ্যকর ফসলের সম্ভার। বিজ্ঞানীরা বলছেন, সম্ভবনা অপরিমেয়। সময় বলে দেবে এই সম্ভবনাকে কী করে কাজে লাগাতে হবে। ২০১১ সালে পুয়ের্তোরিকোর ক্যাফেতে ইমানুয়েল শার্পেন্টার ও দাউদনার যখন প্রথম সাক্ষাৎ হয়, তখন তাদের ধারণাও ছিলো দুজনে মাত্র ৮ বছরে পৃথিবী বদলে দিতে যাচ্ছেন। নিরন্তর অনুসন্ধান, ল্যাবে অসংখ্য সময় ব্যায়, পরষ্পরের মতবিনিময় শেষে অবশেষে শ্রমের ফসল ঘরে উঠলো। বিধিলিপি সংশোধন ‘জীবন যদি আবার শুরু করা যেত তাহলে অন্যরকম করে শুরু করতাম’ বা ‘কপালের লিখন না যায় খ-ন’- প্রবাদ-প্রবচন ও আক্ষেপের মতো এ রকম হাহাকার আমরা সমাজে শুনি। দুর্ভাগ্যকে মেনে নেই, কারণ জীবন নতুন করে শুরু করা যায় না। খাতায় যা লেখা হয়ে গেছে তার একটি অক্ষরও পরিবর্তন করা যায় না। বিজ্ঞানীরা অন্য কথা বলছেন। বিধিলিপি বা কপালের লিখন নয়, জীবন কী হবে আর তার গতি¯্রােত ও তরঙ্গের রূপ ও আকার-উচ্চতা কী, সবই লেখা থাককে জিন কোডে। শারীরবৃত্তীয় বিষয়-আশয় থেকে মনস্তত্ত্ব ও মনোভঙ্গীর নিয়ন্তা জিন কোড। দুষ্ট জিনকোডকে সম্পাদনা করে ব্যধির নিরাময় সম্ভব, মনোভঙ্গীর পরিবর্তনও সম্ভব। তাহলে কী যার দস্যু হওয়ার কথা তাকে বিজ্ঞানমনস্ক বা কাব্যলোকের যাত্রী বানানো সম্ভব! এর উত্তর আগামীকাল পাওয়া যাবে। এই মুহূর্তে যা বলা যেতে পারে বিজ্ঞানীরা এই জেনেটিক টুলকে বা কাঁচিকে ব্যবহার করতে চাইেেছন জেনেটিক রোগের নিরাময়ের ক্ষেত্রে। খুবই আশার কথা। ক্যান্সারসহ অনেক রোগ রয়েছে যা জেনেটিক। বংশগত রোগ, নিরাময়যোগ্য নয়। পরম্পরা বাহিত হয়ে ওই রোগ দুষ্ট বা খারাপ জিন কোডে থাকে। মেটাবলিক ডিসঅর্ডার বা ডায়াবেটিস সহ মেন্টাল ডিসঅর্ডার, নিউরোলজিক্যাল ব্যাধি তার মধ্যে অন্যতম। প্রচলিত চিকিৎসায় যার নিরাময় হয় না, জিন কোড সংশোধন করে তার নিরাময় সম্ভব। এরকম আবিষ্কার আণবিক শক্তি আবিষ্কারের মতোই। অপব্যবহার সর্বত্র, তাই শঙ্কা হয়। আণবিক শক্তিকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের শক্তিশালী উৎস বানানো যায় আবার পারমাণবিক ওয়াহেডও বানানো যায়। একবিংশ শতাব্দীতে কোনটি বেশি হয়েছে তা সমীক্ষা ও জরিপ সাপেক্ষ। এই জেনেটিক কাঁচি আবিষ্কারও একই সংশয়ের জন্ম দেয়। জেনেটিক সিজারকে জেনিটিক্যালি মডিফায়েড এমব্রায়ো (এবহঃরপধষষু গড়ফরভরবফ ঊসনৎুড়) সৃষ্টির কাজে ব্যবহার অর্থাৎ ভ্রুণ এর জিন পরিবর্তন করে অস্তিত্বকে রূপানন্তর করার সম্ভবনাকে উড়িয়ে দিচ্ছেন না গবেষকরা। এটা প্রকৃতির স¦াভাবিক পরম্পরার ধারাকে ক্ষতিগ্রস্থ বা নিশ্চিহ্ন করতে পারে। জেনেটিক কাঁচির জন্য তাই রেগুলেশন মা নীতিমালা প্রণয়ন প্রয়োজন। দঋরহধষষু, রঃ ংযড়ঁষফ নব বসঢ়যধংরংবফ ঃযধঃ ঃযব ঢ়ড়বিৎ ড়ভ ঃযব ঈজঝচজ - ঈধং৯ ধষংড় ৎধরংবং ংবৎরড়ঁং বঃযরপধষ ধহফ ংড়পরবঃধষ রংংঁবং. ওঃ রং ড়ভ ঁঃসড়ংঃ রংংঁবং ঃযধঃ ঃযব ঃবপযহড়ষড়মু রং পধৎবভঁষষু ৎবমঁধষঃবফ ধহফ ঁংবফ ধহ ৎবংঢ়ড়হংরনষব সধহহবৎ.ঞড় ঃযরং বহফ, ঃযব ডড়ৎষফ ঐবধষঃয ঙৎমধহরুধঃরড়হ যধং ৎবপবহঃষু বংঃধনষরংযবফ ধ মষড়নধষ সঁষঃর-ফরংপরঢ়ষরহধৎু বীঢ়ধৎঃ ঢ়ধহহবষ ঃড় বীধসরহব ঃযব ংপরবহঃরভরপ, বঃযরপধষ, ংড়পরধষ ধহফ ষবমধষ পযধষষবহমবং ধংংড়পরধঃবফ রিঃয যঁসধহ মবহড়স বফরঃরহম ... ... ...’ ঞযব জড়ুধষ ঝবিফরংয অপধসবু ড়ভ ঝপরবহপবং. এর সরল মর্মার্থ বৈজ্ঞানিক সাফল্য হাতে পাওয়ার সাথে সাথে আমাদের নতুন নৈতিক যুদ্ধের সাথে এঁটে উঠতে হবে। কোন লক্ষ্যে ব্যবহৃত হবে কাঁচি! আসল কথা মনোভঙ্গীর। বিশ্বজুড়ে বাজার অর্থনীতির দাপট। শক্তিবলয় বিস্তারের অপপ্রয়াস। পুঁজিবাদ এমনি যে, হৃদয়বৃত্তিকেও সে সুদৃশ্য মোড়কে বাজারজাত করে। প্রযুক্তির সাথে সে শক্ত গাঁটছড়া বেঁধেছে। যে প্রযুক্তি মানুষের কল্যাণের পথকে মসৃণ করাতে পারতো সে এখন বাজার অর্থনীতির দাস। কল্যাণের কণা বা প্রত্যাশিত ভোরের শিশির বিশ্বজোড়া আক্রান্ত প্রান আজ দেখতে চায়। কী করে দেখবে যদি সমাজ ও সমাজ-অন্তর্গত মানুষ তার মনোভঙ্গী পরিবর্তন না করে! রাষ্ট্র বা বিশ্বজুড়ে মানুষই সকল শক্তির উৎস ও আধার। মানুষই তার পরিবর্তনের ইতিহাস লেখে। শুধু বিধিলিপি, জিন কোড সম্পাদনা বা পুনর্লিখন নয়। মানুষ লেখে তার পরিবর্তনের ইতিহাস। মুক্তির ইতিহাস।
×