ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

স্বস্তির পাশাপাশি সুযোগ দেখছেন দিনা স্মিথ

প্রকাশিত: ২৩:৪১, ১৫ অক্টোবর ২০২০

স্বস্তির পাশাপাশি সুযোগ দেখছেন দিনা স্মিথ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ পূর্ব নির্ধারিত সূচী অনুযায়ী চলতি বছরের ২৪ জুলাই থেকে ৯ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে হওয়ার কথা ছিল ক্রীড়ার মহাযজ্ঞ টোকিও অলিম্পিক। কিন্তু বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ রোগের বিস্তারে প্রতিযোগিতাটি স্থগিত করার চাপ বাড়লে শেষ পর্যন্ত এক বছরের জন্য পিছিয়ে দেয়া হয়। যার ফলে আগামী বছরে অনুষ্ঠিত হবে ‘টোকিও অলিম্পিক ২০২০।’ প্রতি চার বছর পর আসে একটা সুযোগ। সেজন্য ক্রীড়াবিদদের প্রস্তুতিও চলে দীর্ঘ চার বছর ধরে। আসর না হলে সব কষ্ট মাটি। স্বাভাবিকভাবে অনেক এ্যাথলেটের সব স্বপ্নও ধূলিসাৎ হয়ে যায়! তবে ব্যতিক্রম গ্রেট ব্রিটেনের দিনা এ্যাশার স্মিথ! হ্যাঁ, টোকিও অলিম্পিক স্থগিত করায় স্বস্তি অনুভব করেছিলেন গ্রেট ব্রিটেনের এই তারকা এ্যাথলেট। এ প্রসঙ্গে ২৪ বছর বয়সী দিনা এ্যাশার স্মিথ বলেন, ‘এখনও সুস্পষ্টভাবেই মনে করতে পারি যখন তা স্থগিত করা হয় তখন ব্যক্তিগতভাবে আমি কিছুটা হলেও স্বস্তিবোধ করেছিলাম। একজন এ্যাথলেট হিসেবে এটা বললে হয়তো অদ্ভূত শুনার তারপরও আমার স্থগিত করার সময়টার কথা একদম মনে আছে। সব ধরনের খেলা এমনকি ট্র্যাক এ্যান্ড ফিল্ডরও বন্ধ করে দেয়া হয়। কোথাও অনুশীলন করারও সুযোগ ছিল না। আমার ফ্ল্যাটের ভেতরে থেকে অলিম্পিকের মতো বিশাল এক টুর্নামেন্টের জন্য কীভাবে কী করব তার কোন ধারণাই নিতে পারছিলাম না সেই সময়ে। সেইসব দৃষ্টিকোন থেকেই বিষয়টাকে আমার কাছে স্বস্তির মনে হয়েছিল।’ নতুন সূচী অনুয়ায়ী আগামী বছরের জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত হবে টোকিও অলিম্পিক। এরপর ২০২২ এবং ২০২৩ সালে পরপর দুটি বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপ পাচ্ছেন এ্যাথলেটরা। ধারাবাহিকভাবে ২০২৪ সালে আরও একটি অলিম্পিক! অর্থাৎ এই অল্প সময়ের মধ্যেই দেখা যাবে চারটি মেগা ইভেন্ট। আর এটাকে এ্যাথলেটদের জন্য বিশাল সুযোগ হিসেবেই দেখছেন দিনা স্মিথ। এ প্রসঙ্গে ব্রিটিশ তারকার অভিমত, ‘আমি মনে করি সব এ্যাথলেটদের বিশেষ করে ব্রিটেনের এ্যাথলেটদের জন্য এই সময়টাতে একটা দারুণ সুযোগ তৈরি হয়েছে। এই রদ বদল করার কারণে এ্যাথলেটদের জন্য বিশাল সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি।’ বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯ নামের ভয়ঙ্কর ভাইরাসের কারণে এক বছর পিছিয়ে গেছে টোকিও অলিম্পিক। তবে আগামী বছরও সংক্রমণ কমবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এ অবস্থায় আগামী বছর অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হওয়া নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সহ-সভাপতি জন কোটস বলেছেন, কোভিড থাকুক আর না থাকুক, আগামী বছরের ২৩ জুলাই অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হবে। তিনি জানান, অলিম্পিক গেমস হবে করোনাজয়ী। এর মধ্যে করোনা নির্মূল হলে ভাল, না হলে কোভিডকে সঙ্গে নিয়েই আয়োজিত হবে অলিম্পিক গেমস। এটা হলো অন্ধকার সুড়ঙ্গের শেষে আশার আলো। ২০১১ সালে জাপানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় ভয়াবহ ভূমিকম্প ও সুনামির কথা উল্লেখ করে কোটস বলেছিলেন, গেমস অনুষ্ঠিত হবে। জাপানের অতীত ইতিহাস থেকে বলা যায়, ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পরও গেমস অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত জুলাইয়ে টোকিও ২০২০-এর প্রধান নির্বাহী তোশিরো মুটো বলেছিলেন, গেমসটি সীমিত দর্শক নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে। গেমসের উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠানগুলো ‘সাধারণ’ করা হতে পারে। পাশাপাশি প্রতিটি দেশ থেকে কর্মী ও প্রতিনিধিদের সংখ্যা হ্রাস করা হতে পারে। এদিকে, টোকিও অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিক কমিটি ক্রীড়া প্রতিযোগিতার খরচ প্রায় ২৮ কোটি ডলার হ্রাস করার বিষয়ে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটিকে জানিয়েছে। করোনার কারণে আয়োজক কমিটি বলছে, করোনার কারণে দর্শক আসন সংখ্যা হ্রাস করাসহ এ সংক্রান্ত অস্থায়ী বিভিন্ন স্থাপনা পর্যালোচনা করার মধ্য দিয়ে প্রায় ১৪ কোটি ডলার সাশ্রয় করা হবে। কমিটির কার্যালয় ও কর্মচারীর সংখ্যা কমিয়ে এনে আরও প্রায় ২ কোটি ৮০ লাখ ডলার ব্যয় কমানো হবে। বিভিন্ন ভেন্যু এবং সাজসজ্জা সীমিত রাখা বাবদ প্রায় ৯৪ লাখ ডলার সাশ্রয় হবে।
×